ইউক্রেনে সতর্কতা, ৩৫ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৯৬ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইউক্রেনে রাশিয়ার বড় পরিসরে সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

শুক্রবার সকালে যুদ্ধবিধ্বস্ত গোটা দেশে এয়ার সাইরেন সক্রিয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর জাপোরিঝিয়া ও খারকিভে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলেও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঝুঁকির ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিএনএন জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডেশার মেয়র মাকসিম মার্চেঙ্কো টেলিগ্রামে বলেছেন, আমাদের আকাশে শত্রুদের বিমান উড়ছে। এ ছাড়া সাগরে ক্যালিবার শ্রেণির মিসাইল নিয়ে অবস্থান করছে রুশ যুদ্ধ জাহাজ।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ অঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলী জাপোরিঝিয়ায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বাহিনীটির ফেসবুক পেইজে বলা হয়েছে, ‘শত্রুরা খারকিভ ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে অন্তত ৩৫টি এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। কিন্তু ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রলো ধ্বংস করতে পারেনি।’

ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী আরও দাবি করেছে, রুশ বাহিনী সীমান্তবর্তী এলাকা বেলগ্রোর্ড ও দখলকৃত দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর টকমাক থেকে সি-৩০০ সারফেস টু এয়ার (ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য) মিসাইল ছুড়েছে।

ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কৃষ্ণ সাগর থেকে রুশ বাহিনী রাতভর দেশটির গুরত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন এবং ৬টি ক্রুস মিসাইল ব্যবহার করেছে রাশিয়া।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাপোরিঝিয়ায় যে হামলা চালানো হয়েছে, সেটা যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে ভয়ংকর। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আর মাত্র কয়েকদিন আছে যুদ্ধের বর্ষপূর্তির। এর মধ্যেই নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে মস্কো। এ লক্ষ্যে ইউক্রেনে বিস্তৃত পরিসরে হামলা শুরু করতে পারে রাশিয়া।

খোদ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও দেশটির কর্মকর্তারা এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া পশ্চিমা গোয়েন্দা ও বিশেষজ্ঞরাও এ ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে কিয়েভ দাবি করছে, পশ্চিমা অস্ত্র এসে না পৌঁছলেও রুশ হামলা প্রতিহত করার মতো সক্ষমতা তাদের রয়েছে।

তবে খারকিভ ও জাপোরিঝিয়ায় সর্বশেষ রুশ হামলার যে দাবি করেছে ইউক্রেন, সে ব্যাপারে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

ইউক্রেনে সতর্কতা, ৩৫ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

Update Time : ০৫:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইউক্রেনে রাশিয়ার বড় পরিসরে সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

শুক্রবার সকালে যুদ্ধবিধ্বস্ত গোটা দেশে এয়ার সাইরেন সক্রিয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর জাপোরিঝিয়া ও খারকিভে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলেও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঝুঁকির ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিএনএন জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডেশার মেয়র মাকসিম মার্চেঙ্কো টেলিগ্রামে বলেছেন, আমাদের আকাশে শত্রুদের বিমান উড়ছে। এ ছাড়া সাগরে ক্যালিবার শ্রেণির মিসাইল নিয়ে অবস্থান করছে রুশ যুদ্ধ জাহাজ।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ অঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলী জাপোরিঝিয়ায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বাহিনীটির ফেসবুক পেইজে বলা হয়েছে, ‘শত্রুরা খারকিভ ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে অন্তত ৩৫টি এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। কিন্তু ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রলো ধ্বংস করতে পারেনি।’

ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী আরও দাবি করেছে, রুশ বাহিনী সীমান্তবর্তী এলাকা বেলগ্রোর্ড ও দখলকৃত দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর টকমাক থেকে সি-৩০০ সারফেস টু এয়ার (ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য) মিসাইল ছুড়েছে।

ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কৃষ্ণ সাগর থেকে রুশ বাহিনী রাতভর দেশটির গুরত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন এবং ৬টি ক্রুস মিসাইল ব্যবহার করেছে রাশিয়া।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাপোরিঝিয়ায় যে হামলা চালানো হয়েছে, সেটা যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে ভয়ংকর। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আর মাত্র কয়েকদিন আছে যুদ্ধের বর্ষপূর্তির। এর মধ্যেই নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে মস্কো। এ লক্ষ্যে ইউক্রেনে বিস্তৃত পরিসরে হামলা শুরু করতে পারে রাশিয়া।

খোদ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও দেশটির কর্মকর্তারা এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া পশ্চিমা গোয়েন্দা ও বিশেষজ্ঞরাও এ ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে কিয়েভ দাবি করছে, পশ্চিমা অস্ত্র এসে না পৌঁছলেও রুশ হামলা প্রতিহত করার মতো সক্ষমতা তাদের রয়েছে।

তবে খারকিভ ও জাপোরিঝিয়ায় সর্বশেষ রুশ হামলার যে দাবি করেছে ইউক্রেন, সে ব্যাপারে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।