আয় বেড়েছে চামড়া খাতের কোম্পানিগুলোর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:০২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪
  • / 25

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর চলতি (২০২৩-২৪) হিসাববছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে বেশিরভাগের আয় বেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যয় মেটানোর পর কর-পরবর্তী নিট মুনাফাও ভালো করেছে কোম্পানিগুলো। চামড়া খাতে নেতৃত্ব দেয়া কোম্পানিগুলোরও এ সময়ে ভালো আয় ও মুনাফা এসেছে। পাশাপাশি একটি কোম্পানি আগের প্রান্তিকে লোকসানে থাকলেও আলোচ্য প্রান্তিকে মুনাফায় ফিরেছে। কোম্পানিগুলোর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের শুরুটা তাদের ব্যবসার জন্য বেশ অনুকূল পরিবেশ ছিল। মূলত তুলনামূলক বিক্রয়মূল্য বাড়ার পাশাপাশি বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে এসময়ে। এতে ভালো আয় ও মুনাফা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে আলোচ্য সময়ে স্কুল-কলেজ চালু থাকা, শীত মৌসুমের অতিরিক্ত চাহিদা এবং ঈদুল ফিতরের আমেজ জুতা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

দেশের পুঁজিবাজারে চামড়া খাতের কোম্পানি সংখ্যা ছয়টি। এগুলো হলো- এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড, বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, ফরচুন সুজ লিমিটেড, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড ও সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড। এরমধ্যে সমতা লেদার বাদে সবগুলো কোম্পানি চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় মুলধনী কোম্পানি এপেক্স ফুটওয়্যার। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৩৯৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৩৬১ কোটি ২২ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে আলোচ্য তিন মাসে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। এসময়ে কোম্পানির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে নিট মুনাফা বেড়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের বছরে একই সময়ে এ আয় ছিল ৮৮ পয়সা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ২৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আর বাকি ৪৩ দশমিক ৪০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

এপেক্স গ্রুপের আরেক কোম্পানি এপেক্স ট্যানারি জানুয়ারি-মার্চ সময়ে আয় করেছে ২২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যেখানে আয় হয়েছিল ১৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যেখানে নিট লোকসান হয়েছিল ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। আগের বছরে একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৯২ পয়সা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩০ দশমিক ৪০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আর বাকি ৩১ দশমিক ৯২ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

এ বিষয়ে এপেক্স ট্যানারির কোম্পানি সচিব সুশান্ত কুমার পাল বলেন, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে পণ্যের বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভালো আয় এসেছে। এছাড়া উৎপাদন ব্যয় কমানোর পাশাপাশি পণ্য বিক্রির পরিমানও বেড়েছে। ফলে কোম্পানি লোকসান কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

তালিকাভুক্ত খাত সংশ্লিষ্ট একমাত্র বহুজাতিক কোম্পানি বাটা সু চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ২৮০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বিক্রি বাবদ আয় করেছে। আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ২৪৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য হিসাব মাসে কোম্পানির আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ সময় কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ৪২ পয়সা। আগের বছরে একই সময়ে এ আয় ছিল ৯ টাকা ৯৬ পয়সা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের রয়েছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ আর বাকি ৯ দশমিক ৫ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

এ বিষয়ে বাটা সু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে তাদের আয় বাড়ায় নিট মুনাফায়ও বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ চালু থাকা, শীত মৌসুমের অতিরিক্ত চাহিদা এবং ঈদুল ফিতরের আমেজ তাদের আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ফরচুন সুজের আয় হয়েছে ৩০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ৪০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে নিট মুনাফা হয়েছে ৯৮ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৩৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে আলোচ্য সময়ে কেবল ফরচুন সুজের আয় ও মুনাফা দুটোই কমেছে।

এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছরে একই সময়ে এ আয় ছিল ৯ পয়সা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আর বাকি ৫০ দশমিক ২ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির আয় বেড়েছে ২২৫ শতাংশ। আয় বাড়ার পাশাপাশি আলোচ্য সময়ে কোম্পানির লোকসানও কিছুটা বেড়েছে। এসময়ে নিট লোকসান হয়েছে ২৮ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যেখানে লোকসান হয়েছিল ১৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে কোম্পানির লোকসান বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছরে একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১৩ পয়সা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ৩৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আর বাকি ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

আয় বেড়েছে চামড়া খাতের কোম্পানিগুলোর

Update Time : ০৩:০২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর চলতি (২০২৩-২৪) হিসাববছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে বেশিরভাগের আয় বেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যয় মেটানোর পর কর-পরবর্তী নিট মুনাফাও ভালো করেছে কোম্পানিগুলো। চামড়া খাতে নেতৃত্ব দেয়া কোম্পানিগুলোরও এ সময়ে ভালো আয় ও মুনাফা এসেছে। পাশাপাশি একটি কোম্পানি আগের প্রান্তিকে লোকসানে থাকলেও আলোচ্য প্রান্তিকে মুনাফায় ফিরেছে। কোম্পানিগুলোর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের শুরুটা তাদের ব্যবসার জন্য বেশ অনুকূল পরিবেশ ছিল। মূলত তুলনামূলক বিক্রয়মূল্য বাড়ার পাশাপাশি বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে এসময়ে। এতে ভালো আয় ও মুনাফা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে আলোচ্য সময়ে স্কুল-কলেজ চালু থাকা, শীত মৌসুমের অতিরিক্ত চাহিদা এবং ঈদুল ফিতরের আমেজ জুতা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

দেশের পুঁজিবাজারে চামড়া খাতের কোম্পানি সংখ্যা ছয়টি। এগুলো হলো- এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড, বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, ফরচুন সুজ লিমিটেড, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড ও সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড। এরমধ্যে সমতা লেদার বাদে সবগুলো কোম্পানি চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় মুলধনী কোম্পানি এপেক্স ফুটওয়্যার। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৩৯৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৩৬১ কোটি ২২ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে আলোচ্য তিন মাসে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। এসময়ে কোম্পানির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে নিট মুনাফা বেড়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের বছরে একই সময়ে এ আয় ছিল ৮৮ পয়সা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ২৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আর বাকি ৪৩ দশমিক ৪০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

এপেক্স গ্রুপের আরেক কোম্পানি এপেক্স ট্যানারি জানুয়ারি-মার্চ সময়ে আয় করেছে ২২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যেখানে আয় হয়েছিল ১৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যেখানে নিট লোকসান হয়েছিল ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। আগের বছরে একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৯২ পয়সা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩০ দশমিক ৪০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আর বাকি ৩১ দশমিক ৯২ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

এ বিষয়ে এপেক্স ট্যানারির কোম্পানি সচিব সুশান্ত কুমার পাল বলেন, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে পণ্যের বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভালো আয় এসেছে। এছাড়া উৎপাদন ব্যয় কমানোর পাশাপাশি পণ্য বিক্রির পরিমানও বেড়েছে। ফলে কোম্পানি লোকসান কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

তালিকাভুক্ত খাত সংশ্লিষ্ট একমাত্র বহুজাতিক কোম্পানি বাটা সু চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ২৮০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বিক্রি বাবদ আয় করেছে। আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ২৪৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য হিসাব মাসে কোম্পানির আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ সময় কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ৪২ পয়সা। আগের বছরে একই সময়ে এ আয় ছিল ৯ টাকা ৯৬ পয়সা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের রয়েছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ আর বাকি ৯ দশমিক ৫ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

এ বিষয়ে বাটা সু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে তাদের আয় বাড়ায় নিট মুনাফায়ও বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ চালু থাকা, শীত মৌসুমের অতিরিক্ত চাহিদা এবং ঈদুল ফিতরের আমেজ তাদের আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ফরচুন সুজের আয় হয়েছে ৩০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ৪০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে নিট মুনাফা হয়েছে ৯৮ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৩৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে আলোচ্য সময়ে কেবল ফরচুন সুজের আয় ও মুনাফা দুটোই কমেছে।

এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছরে একই সময়ে এ আয় ছিল ৯ পয়সা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আর বাকি ৫০ দশমিক ২ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির আয় বেড়েছে ২২৫ শতাংশ। আয় বাড়ার পাশাপাশি আলোচ্য সময়ে কোম্পানির লোকসানও কিছুটা বেড়েছে। এসময়ে নিট লোকসান হয়েছে ২৮ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যেখানে লোকসান হয়েছিল ১৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে কোম্পানির লোকসান বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছরে একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১৩ পয়সা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ৩৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আর বাকি ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।