আজ পোশাক শ্রমিকদের মজুরি চূড়ান্ত হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:২৭:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৮৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অনেক পুরোনো। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। যাদের সুঁই-সুতায় টুকরো কাপড় জোড়া লেগে তৈরি পোশাকের অর্থনীতি আজ সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা পেরিয়েছে, তারাই আজ আন্দোলন করছেন যৌক্তিক মজুরির দাবিতে।

নিয়মানুযায়ী ৫ বছর পরপর শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে আসছে সরকার। ২০১৮ সালের পর চলতি বছর সপ্তমবারের মতো এ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় আগামী ৫ বছরের জন্য তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য মজুরি চূড়ান্ত হতে পারে। তবে নিম্নতম মজুরি ঠিক কত টাকা নির্ধারণ করা হবে, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও

মালিকপক্ষ ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকার প্রস্তাব দিতে পারে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। তাই এবার ন্যূনতম মজুরি কত শতাংশ বাড়ানো বা কত হবে, সে দিকে তাকিয়ে আছেন ৪০ লাখ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের আনুমানিকক ৫ কোটি সদস্য।

নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির লক্ষ্যেই মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মালিক-শ্রমিক মতপার্থক্য সব সময় ছিল। এখনো আছে। সেজন্য আমরা সব পক্ষকে বোর্ডে রেখেছি। আশা করছি, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে

পৌঁছতে পারব, যা পরে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে।

জানা গেছে, দেশের পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিক সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। তাদের দাবি, মালিক পক্ষের ১০ হাজার ৪০০ টাকার মজুরির প্রস্তাব বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য নয়। তারা ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছেন। যদিও মজুরি বোর্ডে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৯৯৩ টাকা মজুরি প্রস্তাব করেছেন, যা মানতে চাচ্ছে না মালিক পক্ষ। তবে আগের প্রস্তাব থেকে সরে এসে মজুরি বাড়াতে রাজি হলেও ঠিক কতটা বাড়ানো হবে, তা বোর্ড সভায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মালিক পক্ষের প্রতিনিধি বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

আজ পোশাক শ্রমিকদের মজুরি চূড়ান্ত হতে পারে

Update Time : ১১:২৭:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অনেক পুরোনো। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। যাদের সুঁই-সুতায় টুকরো কাপড় জোড়া লেগে তৈরি পোশাকের অর্থনীতি আজ সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা পেরিয়েছে, তারাই আজ আন্দোলন করছেন যৌক্তিক মজুরির দাবিতে।

নিয়মানুযায়ী ৫ বছর পরপর শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে আসছে সরকার। ২০১৮ সালের পর চলতি বছর সপ্তমবারের মতো এ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় আগামী ৫ বছরের জন্য তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য মজুরি চূড়ান্ত হতে পারে। তবে নিম্নতম মজুরি ঠিক কত টাকা নির্ধারণ করা হবে, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও

মালিকপক্ষ ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকার প্রস্তাব দিতে পারে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। তাই এবার ন্যূনতম মজুরি কত শতাংশ বাড়ানো বা কত হবে, সে দিকে তাকিয়ে আছেন ৪০ লাখ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের আনুমানিকক ৫ কোটি সদস্য।

নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির লক্ষ্যেই মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মালিক-শ্রমিক মতপার্থক্য সব সময় ছিল। এখনো আছে। সেজন্য আমরা সব পক্ষকে বোর্ডে রেখেছি। আশা করছি, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে

পৌঁছতে পারব, যা পরে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে।

জানা গেছে, দেশের পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিক সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। তাদের দাবি, মালিক পক্ষের ১০ হাজার ৪০০ টাকার মজুরির প্রস্তাব বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য নয়। তারা ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছেন। যদিও মজুরি বোর্ডে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৯৯৩ টাকা মজুরি প্রস্তাব করেছেন, যা মানতে চাচ্ছে না মালিক পক্ষ। তবে আগের প্রস্তাব থেকে সরে এসে মজুরি বাড়াতে রাজি হলেও ঠিক কতটা বাড়ানো হবে, তা বোর্ড সভায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মালিক পক্ষের প্রতিনিধি বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।