অ্যান্টার্কটিকায় স্থায়ী ঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা ইরানের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:০৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১১২ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে সামরিক ও বৈজ্ঞানিক মিশনের জন্য স্থায়ী ঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা করেছে ইরান।

বৃহস্পতিবার ইরানের চ্যানেল ওয়ান টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান দেশটির নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি। খবর প্রেসটিভি’র।

শাহরাম ইরানি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে যে, অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে ইরানের পতাকা উত্তোলন। সেখানে আমরা সামরিক ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাতে সহযোগীর ভূমিকা পালন করবো।

তার এ বক্তব্যের সূত্র ধরে জানতে চাওয়া হয়- এর অর্থ কী অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে ইরান স্থায়ী ঘাঁটি গড়বে? জবাবে নৌবাহিনীর প্রধান বলেন, “ইনশাআল্লাহ” অর্থাৎ যদি আল্লাহ্‌র ইচ্ছা হয়।

তিনি বলেন, এটা শুধু সামরিক কর্মকাণ্ড নয়, সেখানে বৈজ্ঞানিক কাজকর্ম থাকবে এবং আমাদের বিজ্ঞানীরা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনির দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের উচ্চাভিলাষী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইরানের নৌবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বিপুল সম্ভাবনার ইঙ্গিত করে।

নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলা, নিহত তিননেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলা, নিহত তিন
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরানের এ উদ্যোগকে কীভাবে দেখছে তা জানা যায়নি। অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে যেকোনো ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড এবং খনিজ সম্পদ খনন এক অর্থে নিষিদ্ধ।

১৯৫৯ সালে ১২টি দেশের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি (এটিএস) স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকায় সামরিক কর্মকাণ্ড এবং খনিজ সম্পদ খনন নিষিদ্ধ করা হয়। চুক্তিতে সই করা দেশগুলো ছিলো- আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, চিলি, ফ্রান্স, জাপান, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই দেশগুলো পরবর্তীতে অ্যান্টার্কটিকায় ৫৫টিরও বেশি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ওই চুক্তিতে সই করা দেশের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৪

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

অ্যান্টার্কটিকায় স্থায়ী ঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা ইরানের

Update Time : ০৬:০৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে সামরিক ও বৈজ্ঞানিক মিশনের জন্য স্থায়ী ঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা করেছে ইরান।

বৃহস্পতিবার ইরানের চ্যানেল ওয়ান টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান দেশটির নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি। খবর প্রেসটিভি’র।

শাহরাম ইরানি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে যে, অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে ইরানের পতাকা উত্তোলন। সেখানে আমরা সামরিক ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাতে সহযোগীর ভূমিকা পালন করবো।

তার এ বক্তব্যের সূত্র ধরে জানতে চাওয়া হয়- এর অর্থ কী অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে ইরান স্থায়ী ঘাঁটি গড়বে? জবাবে নৌবাহিনীর প্রধান বলেন, “ইনশাআল্লাহ” অর্থাৎ যদি আল্লাহ্‌র ইচ্ছা হয়।

তিনি বলেন, এটা শুধু সামরিক কর্মকাণ্ড নয়, সেখানে বৈজ্ঞানিক কাজকর্ম থাকবে এবং আমাদের বিজ্ঞানীরা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনির দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের উচ্চাভিলাষী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইরানের নৌবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বিপুল সম্ভাবনার ইঙ্গিত করে।

নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলা, নিহত তিননেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলা, নিহত তিন
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরানের এ উদ্যোগকে কীভাবে দেখছে তা জানা যায়নি। অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে যেকোনো ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড এবং খনিজ সম্পদ খনন এক অর্থে নিষিদ্ধ।

১৯৫৯ সালে ১২টি দেশের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি (এটিএস) স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকায় সামরিক কর্মকাণ্ড এবং খনিজ সম্পদ খনন নিষিদ্ধ করা হয়। চুক্তিতে সই করা দেশগুলো ছিলো- আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, চিলি, ফ্রান্স, জাপান, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই দেশগুলো পরবর্তীতে অ্যান্টার্কটিকায় ৫৫টিরও বেশি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ওই চুক্তিতে সই করা দেশের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৪