আগামিকাল শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৭:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • / ১৯৮ Time View

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ:

আগামিকাল শুরু হতে চলেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

শরতের এ সর্বজনীন দুর্গোৎসব ঘিরে কুমিল্লায় প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগরেরা। কুমিল্লার ৭৮৭ টি মন্ডপেও কাজ শেষ প্রতিমা তৈরীর।। কাঠের উপরে খড়কুটো মুড়িয়ে মাটির প্রলেপের কাজ শেষ এখন শিল্পীর রংতুলিতে পূর্ণ অবয়ব পাবে দেবী রূপ।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতিবছর অসুরের বিনাশ করতে দেবী এ ধরাধামে আবির্ভূত হন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার ও গ্লানি দূর করার জন্যই এ পূজার আয়োজন।

এ মুহূর্তে কুমিল্লার প্রায় প্রতিটি এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দেবীকে বরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘরে ঘরে চলে আসছে পূজা আর উৎসবের আমেজ।এ বছর পঞ্জিকার তিথি অনুযায়ী, আগামিকাল ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। ১৫ অক্টোবর দশমীপূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।জেলার বিভিন্ন দুর্গা মন্দির ঘুরে দেখা যায়, শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।

জেলা পূজা উদযাপন কমিটির তথ্যমতে, এবার জেলার ৭৮৭টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।এ বিষয়ে কথা হয় শহরের ঠাকুরপাড়ায় কর্মরত প্রতিমা শিল্পীদের সঙ্গে। তারা চারজনের একটি টিম প্রতিবছর ২৫ থেকে ৩০ সেট প্রতিমা তৈরির ফরমাশ নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

পঞ্জিকা মতে, এবার দেবী দুর্গার আগমন হবে ঘোটকে চড়ে, আর যাবেন দোলায় চড়ে। এবছর দেবীর নিকট বৈশ্বিক করোনা মহামারি থেকে বিশ্ববাসীর মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।প্রতিমা কারিগর ভাস্কর রবীন্দ্র বাসসকে জানান, প্রথমে কাঠের উপরে খড়কুটো দিয়ে ভ্যালা তৈরি করে প্রতিমা প্রস্তুত করি। এর উপরে মাটির প্রলেপ দিয়ে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করেছি। দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ করে রংয়ের কাজ আজ থেকে শুরু করবো।

সময় মতো মন্ডপ কমিটির কাছে সেট হস্তান্তর করতে পারবো।কুমিল্লা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ট্রাষ্টি নির্মল পাল বাসসকে জানান, এক সপ্তাহ পরেই শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।

এবছর কুমিল্লা জেলায় ৭৮৭ টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন কারিগররা। এরইমধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুতই শিল্পীর রং-তুলির ছোঁয়ায় মূর্ত হয়ে উঠবেন দেবী। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা মন্ডপে মন্ডপে পাহারা দিচ্ছেন।

শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন সর্ম্পকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব, আনসার এর প্রতিনিধিগণ থাকবে। তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের পূজা মণ্ডপে প্রবেশ করার আহ্বান জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

আগামিকাল শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা

Update Time : ০৭:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ:

আগামিকাল শুরু হতে চলেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

শরতের এ সর্বজনীন দুর্গোৎসব ঘিরে কুমিল্লায় প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগরেরা। কুমিল্লার ৭৮৭ টি মন্ডপেও কাজ শেষ প্রতিমা তৈরীর।। কাঠের উপরে খড়কুটো মুড়িয়ে মাটির প্রলেপের কাজ শেষ এখন শিল্পীর রংতুলিতে পূর্ণ অবয়ব পাবে দেবী রূপ।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতিবছর অসুরের বিনাশ করতে দেবী এ ধরাধামে আবির্ভূত হন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার ও গ্লানি দূর করার জন্যই এ পূজার আয়োজন।

এ মুহূর্তে কুমিল্লার প্রায় প্রতিটি এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দেবীকে বরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘরে ঘরে চলে আসছে পূজা আর উৎসবের আমেজ।এ বছর পঞ্জিকার তিথি অনুযায়ী, আগামিকাল ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। ১৫ অক্টোবর দশমীপূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।জেলার বিভিন্ন দুর্গা মন্দির ঘুরে দেখা যায়, শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।

জেলা পূজা উদযাপন কমিটির তথ্যমতে, এবার জেলার ৭৮৭টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।এ বিষয়ে কথা হয় শহরের ঠাকুরপাড়ায় কর্মরত প্রতিমা শিল্পীদের সঙ্গে। তারা চারজনের একটি টিম প্রতিবছর ২৫ থেকে ৩০ সেট প্রতিমা তৈরির ফরমাশ নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

পঞ্জিকা মতে, এবার দেবী দুর্গার আগমন হবে ঘোটকে চড়ে, আর যাবেন দোলায় চড়ে। এবছর দেবীর নিকট বৈশ্বিক করোনা মহামারি থেকে বিশ্ববাসীর মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।প্রতিমা কারিগর ভাস্কর রবীন্দ্র বাসসকে জানান, প্রথমে কাঠের উপরে খড়কুটো দিয়ে ভ্যালা তৈরি করে প্রতিমা প্রস্তুত করি। এর উপরে মাটির প্রলেপ দিয়ে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করেছি। দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ করে রংয়ের কাজ আজ থেকে শুরু করবো।

সময় মতো মন্ডপ কমিটির কাছে সেট হস্তান্তর করতে পারবো।কুমিল্লা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ট্রাষ্টি নির্মল পাল বাসসকে জানান, এক সপ্তাহ পরেই শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।

এবছর কুমিল্লা জেলায় ৭৮৭ টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন কারিগররা। এরইমধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুতই শিল্পীর রং-তুলির ছোঁয়ায় মূর্ত হয়ে উঠবেন দেবী। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা মন্ডপে মন্ডপে পাহারা দিচ্ছেন।

শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন সর্ম্পকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব, আনসার এর প্রতিনিধিগণ থাকবে। তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের পূজা মণ্ডপে প্রবেশ করার আহ্বান জানান।