৯ মাস পর সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি

  • Update Time : ০২:১৫:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
  • / 129

বিশেষ সংবাদদাতা:

রাজধানীতে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১৯৯। এরপর আগস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৮ জন ভর্তি হন। কিন্তু চলতি মাসের ২০ দিনে ৬৯ জন ভর্তি হয়েছেন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে আটজন ও ঢাকার বাইরে দুইজনসহ মোট ১০ জন ভর্তি হন। এ নিয়ে বর্তমানে ঢাকার হাসপাতালে ১৮ ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে দুইজনসহ ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইর্মাজেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তার মধ্যে গত ১৪ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৪ জন রোগী ভর্তি হন। এ সময়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে সাতজন, তিনজন, একজন, আটজন, দুইজন, তিনজন ও ১০ জন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ) মশক নিবারণী দফতর থেকে অন্য বছরের তুলনায় কার্যক্রম গতিশীল থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই বাসাবাড়িতে মশা ঢুকে পড়ছে। অনেক এলাকায় দিনের বেলাতেও মশা কামড়াচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তারা তথ্যগুলো সিটি করপোরেশনকে জানিয়ে দিচ্ছে। বর্তমান করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে স্বাস্থ্য বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৫৩৩ জন আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫১১ জন।

মাসওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জানুয়ারি থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ১৯৯, ৪৫, ২৭, ২৫, ১০, ২০, ২৩, ৬৮, ৪৭ ও ৬৯ জন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

৯ মাস পর সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি

Update Time : ০২:১৫:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০

বিশেষ সংবাদদাতা:

রাজধানীতে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১৯৯। এরপর আগস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৮ জন ভর্তি হন। কিন্তু চলতি মাসের ২০ দিনে ৬৯ জন ভর্তি হয়েছেন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে আটজন ও ঢাকার বাইরে দুইজনসহ মোট ১০ জন ভর্তি হন। এ নিয়ে বর্তমানে ঢাকার হাসপাতালে ১৮ ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে দুইজনসহ ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইর্মাজেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তার মধ্যে গত ১৪ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৪ জন রোগী ভর্তি হন। এ সময়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে সাতজন, তিনজন, একজন, আটজন, দুইজন, তিনজন ও ১০ জন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ) মশক নিবারণী দফতর থেকে অন্য বছরের তুলনায় কার্যক্রম গতিশীল থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই বাসাবাড়িতে মশা ঢুকে পড়ছে। অনেক এলাকায় দিনের বেলাতেও মশা কামড়াচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তারা তথ্যগুলো সিটি করপোরেশনকে জানিয়ে দিচ্ছে। বর্তমান করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে স্বাস্থ্য বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৫৩৩ জন আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫১১ জন।

মাসওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জানুয়ারি থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ১৯৯, ৪৫, ২৭, ২৫, ১০, ২০, ২৩, ৬৮, ৪৭ ও ৬৯ জন।