রানীশংকৈলে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পিরা, প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে

  • Update Time : ০২:০৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
  • / 156

রাণীশংকৈল, (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত এখন মৃৎশিল্পিরা।

আগামী ২২ অক্টোবর থেকে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর দেবী দুর্গা দোলায় চড়ে পৃথিবীতে আসবেন এবং গজে (হাতি) চড়েই কৈলাসে ফিরবেন বলে সনাতন ধর্মীয় নেতারা জানান । দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে রানীশংকৈল উপজেলার প্রতিমা তৈরির কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে এ প্রতিমা তৈরির কারিগর শিল্পীদের মধ্যে এবার কিছু অসন্তোষ অভিযোগ রয়েছে ।

১৬ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, রাণীশংকৈল পৌরশহরের হাটখোলা সার্বজনিন মন্দিরের মৃৎশিল্পী কাদিহাট মালিবস্তি গ্রামের পরেশ মালাকার ও কেন্দ্রীক গোবিন্দ মন্দিরের প্রতিমা শিল্পী দিনাজপুর মির্জাপুরের মানিক রায় বলেন, করোনার কারণে এবারে আমাদের প্রতিমা নির্মাণে কম মুজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে। তাছাড়া আবহাওয়া খারাপ থাকায় কাজ ঠিকমত করা যাচ্ছে না ।

এদিকে বাঁশ, কাঠ, খড়, লোহা, রশি, মাটি, রংসহ প্রতিমা তৈরির সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো পোষায় না। তবুও জীবীকার তাগিদে ও বাপ-দাদার পেশা হিসেবে এ কাজকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। পূজা সন্নিকটে তাই প্রতিমা তৈরির বিভিন্ন ভাগের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছেন প্রতিমা শিল্পিরা।

রং-তুলির আঁচড়ে আর বাহারি সাজপোষাকে প্রতিমাকে মনের মতো করে সাজিয়ে তুলছেন তারা। তবে এবার করোনা কালের এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ দূর্গা পূজার আনন্দ কতটুকু উপভোগ করবে এ নিয়ে প্রশ্ন আছে।

জানা গেছে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই এবারের পূজা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু গতবারের মত ধুমধাম করে পূজা উদযাপন না হলেও আয়োজনের তেমন কোন কমতি থাকবেনা বলে জানান পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা ।

এবার রাণীশংকৈল উপজেলায় মোট ৫৪ টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যপারে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাধন কুমার বসাক বলেন, “প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার নিশ্চয়তায়, প্রতিটি মন্ডপে স্বাস্থবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং অশ্লীল গান ও নৃত্যকে পরিহার করে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।”

রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, “এবার করোনার কারণে সরকারি নির্দশানা মোতাবেক পুজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্ডপে পূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে আমরা পুলিশ প্রশাসন সকল প্রকার নজরদারির জন্য মনিটরিং টিম গঠন করেছি।”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

রানীশংকৈলে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পিরা, প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে

Update Time : ০২:০৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

রাণীশংকৈল, (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত এখন মৃৎশিল্পিরা।

আগামী ২২ অক্টোবর থেকে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর দেবী দুর্গা দোলায় চড়ে পৃথিবীতে আসবেন এবং গজে (হাতি) চড়েই কৈলাসে ফিরবেন বলে সনাতন ধর্মীয় নেতারা জানান । দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে রানীশংকৈল উপজেলার প্রতিমা তৈরির কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে এ প্রতিমা তৈরির কারিগর শিল্পীদের মধ্যে এবার কিছু অসন্তোষ অভিযোগ রয়েছে ।

১৬ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, রাণীশংকৈল পৌরশহরের হাটখোলা সার্বজনিন মন্দিরের মৃৎশিল্পী কাদিহাট মালিবস্তি গ্রামের পরেশ মালাকার ও কেন্দ্রীক গোবিন্দ মন্দিরের প্রতিমা শিল্পী দিনাজপুর মির্জাপুরের মানিক রায় বলেন, করোনার কারণে এবারে আমাদের প্রতিমা নির্মাণে কম মুজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে। তাছাড়া আবহাওয়া খারাপ থাকায় কাজ ঠিকমত করা যাচ্ছে না ।

এদিকে বাঁশ, কাঠ, খড়, লোহা, রশি, মাটি, রংসহ প্রতিমা তৈরির সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো পোষায় না। তবুও জীবীকার তাগিদে ও বাপ-দাদার পেশা হিসেবে এ কাজকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। পূজা সন্নিকটে তাই প্রতিমা তৈরির বিভিন্ন ভাগের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছেন প্রতিমা শিল্পিরা।

রং-তুলির আঁচড়ে আর বাহারি সাজপোষাকে প্রতিমাকে মনের মতো করে সাজিয়ে তুলছেন তারা। তবে এবার করোনা কালের এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ দূর্গা পূজার আনন্দ কতটুকু উপভোগ করবে এ নিয়ে প্রশ্ন আছে।

জানা গেছে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই এবারের পূজা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু গতবারের মত ধুমধাম করে পূজা উদযাপন না হলেও আয়োজনের তেমন কোন কমতি থাকবেনা বলে জানান পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা ।

এবার রাণীশংকৈল উপজেলায় মোট ৫৪ টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যপারে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাধন কুমার বসাক বলেন, “প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার নিশ্চয়তায়, প্রতিটি মন্ডপে স্বাস্থবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং অশ্লীল গান ও নৃত্যকে পরিহার করে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।”

রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, “এবার করোনার কারণে সরকারি নির্দশানা মোতাবেক পুজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্ডপে পূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে আমরা পুলিশ প্রশাসন সকল প্রকার নজরদারির জন্য মনিটরিং টিম গঠন করেছি।”