রাণীশংকৈলে শিয়ালের কামড়ে ৭ জন আহত

  • Update Time : ০৮:১৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২
  • / 134

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় শিয়ালের আক্রমনের কামড়ে গত দুই দিনে ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলায় নেকমরদ ইউনিয়নের কুমোরগঞ্জ এলাকায় শিয়ালের কামড়ে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে ওই এলাকার মানুষ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গ্রামবাসী এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা করেছে এবং অনেকেই লাঠি হাতে চলাচল করতে শুরু করেছে।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) শিয়ালের আক্রমণের শিকার হয়েছেন কুমোরগঞ্জ এলাকায় দিনমজুর বনগাঁও গ্রামের আনসার, কুমোগঞ্জ গ্রামের মাজেদা, শরিফা, নবাব। একইভাবে শনিবার

(৯ এপ্রিল) শিয়ালের আক্রমণের শিকার হন, রেহেনা, মমিনুল ও সাজেদা বেগম।

কুমোরগঞ্জ গ্রামের হাসিনা বেগম বলেন, ‘শনিবার সকালে ভুট্টাখেতের পাশে আমার প্রতিবেশী রেহেনা ঘাস তুলছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি শিয়াল এসে রেহেনার হাঁটুর নিচে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। তাঁর চিৎকারে গ্রামবাসি এগিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্টার তাকে ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় বাজার থেকে ১৫৫০ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে রেহেনাকে দেওয়া হয়। তিনি এখন চিকিৎসাধীন। এলাকার আরও কয়েক জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যপারে নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন মাষ্টার জানান, গত দুইদিনে ইউনিয়নের কুমোরগঞ্জ এলাকায় কয়েকজনকে শিয়াল কামড়েছে। তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ আছে। ‘আগে অবশ্য শিয়াল কখনও কামড়ায়নি। কিন্তু এখন শিয়ালগুলো পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না। তাই তারা মানুষের বাড়ি পর্যন্ত এসে পড়ে, মানুষকে কামড়ায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘শিয়াল সাধারণত ২ কারণে মানুষকে আক্রমণ করে। পর্যাপ্ত খাবার না পেলে বা আক্রমণের শিকার হলে অথবা র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হলে।তিনি আরও বলেন, ‘পাগলা শিয়াল কাউকে কামড়ালে, তাকে জায়গাটা পরিষ্কার করতে হবে এবং ডাক্তারের কাছে গিয়ে জলাতঙ্ক টিকা নিতে হবে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা বিষয়ক কর্মকর্তা (এমটিইপিআই) নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় কুকুর ও শিয়াল কামড়ের ভ্যাকসিন সাপ্লাই নেই। তাই এসব রোগীদের আমরা ভ্যাকসিন দিতে পারছি না। সরকারিভাবে ভ্যাকসিন নিতে হলে ওই রোগীদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে যেতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

রাণীশংকৈলে শিয়ালের কামড়ে ৭ জন আহত

Update Time : ০৮:১৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় শিয়ালের আক্রমনের কামড়ে গত দুই দিনে ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলায় নেকমরদ ইউনিয়নের কুমোরগঞ্জ এলাকায় শিয়ালের কামড়ে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে ওই এলাকার মানুষ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গ্রামবাসী এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা করেছে এবং অনেকেই লাঠি হাতে চলাচল করতে শুরু করেছে।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) শিয়ালের আক্রমণের শিকার হয়েছেন কুমোরগঞ্জ এলাকায় দিনমজুর বনগাঁও গ্রামের আনসার, কুমোগঞ্জ গ্রামের মাজেদা, শরিফা, নবাব। একইভাবে শনিবার

(৯ এপ্রিল) শিয়ালের আক্রমণের শিকার হন, রেহেনা, মমিনুল ও সাজেদা বেগম।

কুমোরগঞ্জ গ্রামের হাসিনা বেগম বলেন, ‘শনিবার সকালে ভুট্টাখেতের পাশে আমার প্রতিবেশী রেহেনা ঘাস তুলছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি শিয়াল এসে রেহেনার হাঁটুর নিচে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। তাঁর চিৎকারে গ্রামবাসি এগিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্টার তাকে ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় বাজার থেকে ১৫৫০ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে রেহেনাকে দেওয়া হয়। তিনি এখন চিকিৎসাধীন। এলাকার আরও কয়েক জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যপারে নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন মাষ্টার জানান, গত দুইদিনে ইউনিয়নের কুমোরগঞ্জ এলাকায় কয়েকজনকে শিয়াল কামড়েছে। তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ আছে। ‘আগে অবশ্য শিয়াল কখনও কামড়ায়নি। কিন্তু এখন শিয়ালগুলো পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না। তাই তারা মানুষের বাড়ি পর্যন্ত এসে পড়ে, মানুষকে কামড়ায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘শিয়াল সাধারণত ২ কারণে মানুষকে আক্রমণ করে। পর্যাপ্ত খাবার না পেলে বা আক্রমণের শিকার হলে অথবা র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হলে।তিনি আরও বলেন, ‘পাগলা শিয়াল কাউকে কামড়ালে, তাকে জায়গাটা পরিষ্কার করতে হবে এবং ডাক্তারের কাছে গিয়ে জলাতঙ্ক টিকা নিতে হবে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা বিষয়ক কর্মকর্তা (এমটিইপিআই) নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় কুকুর ও শিয়াল কামড়ের ভ্যাকসিন সাপ্লাই নেই। তাই এসব রোগীদের আমরা ভ্যাকসিন দিতে পারছি না। সরকারিভাবে ভ্যাকসিন নিতে হলে ওই রোগীদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে যেতে হবে।