সেই সুবাদেই বন্ধুকে দেয়া হয় তার র্দুঘটনায় আহত হওয়ার মিথ্যা তথ্য। চাওয়া হয় জরুরি অর্থ সহায়তা। এভাবে গেলো দু’বছরে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে রেব গ্রেপ্তার করেছে মাশুক নামে যুবককে।
মাশুক মিয়া, কিন্তু ফেসবুকের বন্ধুদের কাছে পরিচিতি সোনিয়া আক্তার কেয়া। লন্ডন প্রবাসী- বাড়ি সিলেট। তার ফেসবুক প্রোফাইলে একই নারীর সাড়ে ৭ শোরও বেশি ছবি দিয়ে তৈরি করেছেন ভুয়া আইডি। মাশুক মিয়া বলেন, যে সব মেয়ের ছবি ফেসবুকে বেশি আছে। তাদের ছবি ডাউনলোড করতাম আর কি।’
এই পরিচয়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে ফেসবুকেই গড়ে তোলেন সখ্যতা। প্রথম ধাপ ফেসবুক যোগাযোগ। পরে মেসেঞ্জারে ছবি পাঠানো- এরপর কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা। তদের কেউ ভিডিও কলে কথা বলতে চাইলে এড়িয়ে যান। এভাবেই তৈরি করেন ঘনিষ্ঠতা। মাশুক মিয়া আরও বলেন,’ম্যাসেঞ্জারে বন্ধুত্ব করতে চাই। একা থাকি। তোমার সঙ্গে ভালো একটা সম্পক গড়তে চাই।’
দেশে ফেরার কথা জানিয়ে বন্ধুর সাথে দেখা করতে ঢাকায় আসার পথে কেয়া সেজে অভিনয় করেন দুর্ঘটনার। সাহায্য চাওয়া হয় বন্ধুর। মোবাইলের বিশেষ সুবিধা নিয়ে মা অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সেজে কথা বলেন নিজেই। টাকা চায় একসময় বন্ধুও রাজি হয়।
র্যাব বলছে এভাবে কয়েকশ লোকের সঙ্গে প্রতারণা করে মাশুক হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। ভুক্তভোগী একজনের অভিযোগের পর অনুসন্ধানে নরসিংদী থেকে মাশুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন,’দুই থেকে আড়াই বছরে আঠারো থেকে বিশ লাখ টাকা সে এভাবে আত্মসাত করেছে। সুন্দর, সুশ্রী চেহারার তুরুণীর ছবি ব্যবহার করে এগুলো করা হচ্ছে।’
ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতারণার এই অভিনব কৌশল থেকে সাবধানে থাকতে বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক থাকা পরামর্শ এই কর্মকর্তার। মোজাম্মেল হক আরও বলেন,’মার সঙ্গে, বোনের সঙ্গে, সার্জেন্টের সঙ্গে কথা বলিয়ে এক ধরণের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। যার সঙ্গে দেখা হয়নি। পরিচয় হয়নি, সে টাকা চেয়ে বসলো, টাকা পাঠালাম, এটি উচিত না।’
২৮ বছর বয়সী মাশুক মিয়ার সাথে আরও কেউ প্রতারণায় যুক্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।