নীলফামারীতে মালটা চাষে আগ্রহী চাষীরা

  • Update Time : ০৫:০০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
  • / 169

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:

মালটা ফলটি পুষ্টিকর ও খেতেও সুস্বাদু। বাজার মুল্যও ভাল হওয়ায় নীলফামারী জেলার চাষি ভাইয়েরা এই ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। নীলফামারী সদর উপজেলার খোকসাবাড়ি ইউনিয়নের ঢাকাইয়াপাড়া গ্রামের প্রবাসী শফিকুল ইসলাম ইউটিউব চ্যানেলে মালটা চাষের ভিডিও দেখে তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে উদ্বুদ্ধ করে।

গত ২০১৮ সালে তারা ২১ শতাংশ জমিতে ৯০ টি গাছ লাগান। গত বছর যে পরিমান ফল ধরেছে তারচেয়ে দ্বিগুণ ফল ধরেছে এবছর । শফিকুল ও মনোয়ারা জানান, বারি-১ জাতের মালটা অনেক মিষ্টি। আমরা ভাবতে পারিনি। আগামীতে ৫ বিঘা জমিতে চাষ করব।

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে বলে তিনি আশা করেন। এদিকে জেলার ডোমার উপজেলার পাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী কৃষি শিক্ষক সুকুমার রায় শখের বশে বিদ্যালয়ের ছাদ বাগানে অন্যান্য ফল ও ফুলের চারার সাথে টবের মধ্যে কয়েকটি মাল্টার চারা লাগান। চারা লাগানোর তিন বছরের মধ্যে এবারে দ্বিতীয় বারের মতো মাল্টার গাছে ফল ধরেছে।

ছাদের টবেই জমিনের চেয়েও মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে ভীষণ খুশি বিদ্যালয়ের ছাদ বাগানের উদ্দ্যেক্তা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুকুমার রায়। কৃষি শিক্ষার শিক্ষক হওয়ার সুবাদে শখের বশে ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিদ্যালয়ের ছাদে বাগান করার উদ্দ্যেগ নেন। বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছের সাথে মাল্টার গাছ লাগিয়ে বিদ্যালয়ের ছাদটি সৌন্দর্যমন্ডিত করে তুলেছেন।

শিক্ষক সুকুমার রায়ের সাথে আলাপচারিতায় তিনি জানান, দ্বিতীয়বারের মতো এবারে মালটার ফলনে আমি খুব খুশি। তাই আগামী মৌসুমে বেশি করে মাল্টার চারা লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছি।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মাজেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে মালটা ফল বিদেশি ফল হিসেবে পরিচিত ছিলো।

কিন্তু সম্প্রতি কৃষিবান্ধব শেখ হাসিনার সরকার মালতাকে দেশী ফলে রুপান্তরিত করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। আমাদের দেশে চাষ উপযোগী বারি-১ নামের মালতা পেয়েছি। এই মালতা বীজ দেশের সব জেলায় চাষ উপযোগী, বিদেশ থেকে আমদানীকৃত মালটার চেয়ে এই মালটা অধিক মিষ্টি।

নীলফামারী জেলায় এখন পর্যন্ত ৭ একর জমিতে প্রায় ২০ টি বানিজ্যিক মালতা বাগান হয়েছে।আমরা সচরাচর মালতা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলছি। প্রত্যাশা করছি আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সরকারের প্রচেষ্টায় দেশে মালতা আমদানি প্রায় পুরোটাই বন্ধ করতে সক্ষম হব।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নীলফামারীতে মালটা চাষে আগ্রহী চাষীরা

Update Time : ০৫:০০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:

মালটা ফলটি পুষ্টিকর ও খেতেও সুস্বাদু। বাজার মুল্যও ভাল হওয়ায় নীলফামারী জেলার চাষি ভাইয়েরা এই ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। নীলফামারী সদর উপজেলার খোকসাবাড়ি ইউনিয়নের ঢাকাইয়াপাড়া গ্রামের প্রবাসী শফিকুল ইসলাম ইউটিউব চ্যানেলে মালটা চাষের ভিডিও দেখে তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে উদ্বুদ্ধ করে।

গত ২০১৮ সালে তারা ২১ শতাংশ জমিতে ৯০ টি গাছ লাগান। গত বছর যে পরিমান ফল ধরেছে তারচেয়ে দ্বিগুণ ফল ধরেছে এবছর । শফিকুল ও মনোয়ারা জানান, বারি-১ জাতের মালটা অনেক মিষ্টি। আমরা ভাবতে পারিনি। আগামীতে ৫ বিঘা জমিতে চাষ করব।

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে বলে তিনি আশা করেন। এদিকে জেলার ডোমার উপজেলার পাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী কৃষি শিক্ষক সুকুমার রায় শখের বশে বিদ্যালয়ের ছাদ বাগানে অন্যান্য ফল ও ফুলের চারার সাথে টবের মধ্যে কয়েকটি মাল্টার চারা লাগান। চারা লাগানোর তিন বছরের মধ্যে এবারে দ্বিতীয় বারের মতো মাল্টার গাছে ফল ধরেছে।

ছাদের টবেই জমিনের চেয়েও মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে ভীষণ খুশি বিদ্যালয়ের ছাদ বাগানের উদ্দ্যেক্তা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুকুমার রায়। কৃষি শিক্ষার শিক্ষক হওয়ার সুবাদে শখের বশে ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিদ্যালয়ের ছাদে বাগান করার উদ্দ্যেগ নেন। বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছের সাথে মাল্টার গাছ লাগিয়ে বিদ্যালয়ের ছাদটি সৌন্দর্যমন্ডিত করে তুলেছেন।

শিক্ষক সুকুমার রায়ের সাথে আলাপচারিতায় তিনি জানান, দ্বিতীয়বারের মতো এবারে মালটার ফলনে আমি খুব খুশি। তাই আগামী মৌসুমে বেশি করে মাল্টার চারা লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছি।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মাজেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে মালটা ফল বিদেশি ফল হিসেবে পরিচিত ছিলো।

কিন্তু সম্প্রতি কৃষিবান্ধব শেখ হাসিনার সরকার মালতাকে দেশী ফলে রুপান্তরিত করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। আমাদের দেশে চাষ উপযোগী বারি-১ নামের মালতা পেয়েছি। এই মালতা বীজ দেশের সব জেলায় চাষ উপযোগী, বিদেশ থেকে আমদানীকৃত মালটার চেয়ে এই মালটা অধিক মিষ্টি।

নীলফামারী জেলায় এখন পর্যন্ত ৭ একর জমিতে প্রায় ২০ টি বানিজ্যিক মালতা বাগান হয়েছে।আমরা সচরাচর মালতা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলছি। প্রত্যাশা করছি আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সরকারের প্রচেষ্টায় দেশে মালতা আমদানি প্রায় পুরোটাই বন্ধ করতে সক্ষম হব।