ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী নিয়ে সমালোচনা করলেন নুরুল হক নুর

  • Update Time : ০১:২০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 5

সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে অন্তত দুই বছর সময় দিতে চায় গণঅধিকার পরিষদ। শনিবার সকালে রাজধানীর এফডিসিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর।

এসময় জাতিসংঘে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গীরা কীভাবে এবং কেন গিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাবেক ভিপি নুর।

নুরুল হক নুর করেন, ‘আমি মনে করি যে, এই সরকারের ন্যূনতম ২ বছর থাকা দরকার। এখন যদি এক বছর ছয় মাসের মধ্যে একটা নির্বাচন হয়, তাহলে আপনাদের কি মনে হয়, বিদ্যমান ব্যবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন হবে? এখন যারা ক্ষমতায় আসার মতো সম্ভাব্য দল রয়েছে, আমরা দেখেছি অতীতেও এই দলগুলো ক্ষমতায় ছিল। তাদের কর্মকাণ্ড ও চরিত্র দেখেছি। রাতারাতি তো এই চরিত্রের বদল হবে না।’

তিনি বলেন, কোনো মাস্টারমাইন্ড বা কারো একার দ্বারা এই গণ-অভ্যুত্থান হয়নি। বিএনপি-জামায়াতের মতো বড় রাজনৈতিক দল ছাড়া এত বড় আন্দোলন সম্ভব ছিল না। তাই সবার ঐকমত্যের সরকার গঠন করতে হবে। সমন্বয়করা যেভাবে গার্ড অব অনার নিচ্ছে, ক্ষমতা ভোগ করছে তা বন্ধ করতে হবে।

রাতারাতি নির্বাচন দেয়া ঠিক হবে না মন্তব্য করে গণ-অধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার করে জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন কারণে সরকার সমর্থন হারাচ্ছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন নুরুল হক নুরু। তিনি বলেন, সরকার পরিচালনা করা রাজনৈতিক দলের কাজ, তাই অন্তর্বর্তী সরকারে রাজনৈতিক দলের নেতাদের যুক্ত করা জরুরি।

গণহারে মামলার কারণে গণহত্যায় জড়িত মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নুর বলেন, কয়েকজন সমন্বয়কের অযাচিত কর্মকাণ্ডের কারণে আন্দোলনের চেতনা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসীদের নির্মূলে সেনাবাহিনীকে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে নুর বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে হবে।

একই অনুষ্ঠানে গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খান বলেন, রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে এনজিও মার্কা চেহারা দিয়ে দেশ পরিচালনা সম্ভব না। প্রকৃতপক্ষে যদি রাষ্ট্র সংস্কার করা না যায়, তবে এই সরকারকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে জনগণ।

Please Share This Post in Your Social Media

ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী নিয়ে সমালোচনা করলেন নুরুল হক নুর

Update Time : ০১:২০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে অন্তত দুই বছর সময় দিতে চায় গণঅধিকার পরিষদ। শনিবার সকালে রাজধানীর এফডিসিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর।

এসময় জাতিসংঘে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গীরা কীভাবে এবং কেন গিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাবেক ভিপি নুর।

নুরুল হক নুর করেন, ‘আমি মনে করি যে, এই সরকারের ন্যূনতম ২ বছর থাকা দরকার। এখন যদি এক বছর ছয় মাসের মধ্যে একটা নির্বাচন হয়, তাহলে আপনাদের কি মনে হয়, বিদ্যমান ব্যবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন হবে? এখন যারা ক্ষমতায় আসার মতো সম্ভাব্য দল রয়েছে, আমরা দেখেছি অতীতেও এই দলগুলো ক্ষমতায় ছিল। তাদের কর্মকাণ্ড ও চরিত্র দেখেছি। রাতারাতি তো এই চরিত্রের বদল হবে না।’

তিনি বলেন, কোনো মাস্টারমাইন্ড বা কারো একার দ্বারা এই গণ-অভ্যুত্থান হয়নি। বিএনপি-জামায়াতের মতো বড় রাজনৈতিক দল ছাড়া এত বড় আন্দোলন সম্ভব ছিল না। তাই সবার ঐকমত্যের সরকার গঠন করতে হবে। সমন্বয়করা যেভাবে গার্ড অব অনার নিচ্ছে, ক্ষমতা ভোগ করছে তা বন্ধ করতে হবে।

রাতারাতি নির্বাচন দেয়া ঠিক হবে না মন্তব্য করে গণ-অধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার করে জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন কারণে সরকার সমর্থন হারাচ্ছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন নুরুল হক নুরু। তিনি বলেন, সরকার পরিচালনা করা রাজনৈতিক দলের কাজ, তাই অন্তর্বর্তী সরকারে রাজনৈতিক দলের নেতাদের যুক্ত করা জরুরি।

গণহারে মামলার কারণে গণহত্যায় জড়িত মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নুর বলেন, কয়েকজন সমন্বয়কের অযাচিত কর্মকাণ্ডের কারণে আন্দোলনের চেতনা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসীদের নির্মূলে সেনাবাহিনীকে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে নুর বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে হবে।

একই অনুষ্ঠানে গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খান বলেন, রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে এনজিও মার্কা চেহারা দিয়ে দেশ পরিচালনা সম্ভব না। প্রকৃতপক্ষে যদি রাষ্ট্র সংস্কার করা না যায়, তবে এই সরকারকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে জনগণ।