অবিলম্বে পাথর কোয়ারী খোলে দিতে হবে

  • Update Time : ০৩:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 18

ভারতীয় আগ্রাসনে বন্ধ থাকা পাথরালয় হতে পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি অগ্রগামি করার দাবিতে গতকাল বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে দেশীয় পাথর ব্যবসায়ীদের এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব মাওলানা রশিদ আহমদ ফেরদৌস, মুফতি ইমাম উদ্দিনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীগণ। সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব হামিদুল্লাহ। এসময় পাথর ব্যবসায়ীগণ মানববন্ধনে অংশ নেন।

এ সময় তারা বলেন, অনতিবিলম্বে পাথর কোয়ারী খোলে দিয়ে ঋণ খিলাপিতে ধ্বসে পড়া ব্যবসায়িদের ঋণ মওকুফ করতে হবে। দেশি ভালো ও মানসম্মত পাথর না উঠিয়ে ভারতের পাথর আমদানি করা বন্ধ করুন, রিজার্ভ বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসুন।
মানববন্ধনে তারা বলেন, বিগত আওয়ামী সরকার ভারতের তাঁবেদারী করতে গিয়ে আমাদের দেশীয় খনিজ সম্পদকে বিকল করে কোটি কোটি ডলার খরচ করে বিভিন্ন দেশ থেকে নিম্নমানের পাথর আমদানি করেছে। নিকট অতীতে বাণিজ্যিকভাবে পাথর উত্তোলন একটি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছিল। ফলে সিলেটসহ সারা দেশের বিভিন্ন পাথর অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নিজ দেশের পাথর কোয়ারী সমূহ থেকে উন্নত মানের পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে চিহ্নিত ভারতীয় আগ্রাসন ও মোদী সরকারের চাপে ভারতের পাথর নিয়েছে, রিজাভ সংকটতায় কাতরাচ্ছে, ডলার সংকটের এই দুঃসময়ে বিদেশ থেকে কোটি কোটি ডলার খরচ করে নিম্ন মানের পাথর আমদানি করা হচ্ছে।

জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা হয়নি। ফলে একদিকে যেমন দেশের রিজার্ভের মূল্যবান ডলার ব্যয় হচ্ছে একই সাথে পাথর উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন পেশায় নিয়োজিত লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। হাজার হাজার স্টোন ক্রাশার মালিকেরা ব্যাংকে ঋণ খেলাপিতে লিপ্ত হয়েছে, লোকজন অর্ধাহার অনাহারের জীবন যাপন করছে। ক্রম হ্রাসমান ডলার তথা আমাদের রিজার্ভ সুরক্ষিত রাখতে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের স্বার্থে দেশীয়/আভ্যন্তরীন সম্পদ আহরণ ও তার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্ররিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিসাধন না করে পাথর উত্তোলন এখন সময়ের দাবী। নিজ দেশের পাথর কোয়ারী সমূহ থেকে উন্নত মানের পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়া দরকার। এতে যেমন কর্ম সংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে তেমনি দেশের অর্থনীতিও হবে সমৃদ্ধ।

সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী খুলে দিয়ে সহযোগীতা করে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি করতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

অবিলম্বে পাথর কোয়ারী খোলে দিতে হবে

Update Time : ০৩:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতীয় আগ্রাসনে বন্ধ থাকা পাথরালয় হতে পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি অগ্রগামি করার দাবিতে গতকাল বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে দেশীয় পাথর ব্যবসায়ীদের এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব মাওলানা রশিদ আহমদ ফেরদৌস, মুফতি ইমাম উদ্দিনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীগণ। সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব হামিদুল্লাহ। এসময় পাথর ব্যবসায়ীগণ মানববন্ধনে অংশ নেন।

এ সময় তারা বলেন, অনতিবিলম্বে পাথর কোয়ারী খোলে দিয়ে ঋণ খিলাপিতে ধ্বসে পড়া ব্যবসায়িদের ঋণ মওকুফ করতে হবে। দেশি ভালো ও মানসম্মত পাথর না উঠিয়ে ভারতের পাথর আমদানি করা বন্ধ করুন, রিজার্ভ বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসুন।
মানববন্ধনে তারা বলেন, বিগত আওয়ামী সরকার ভারতের তাঁবেদারী করতে গিয়ে আমাদের দেশীয় খনিজ সম্পদকে বিকল করে কোটি কোটি ডলার খরচ করে বিভিন্ন দেশ থেকে নিম্নমানের পাথর আমদানি করেছে। নিকট অতীতে বাণিজ্যিকভাবে পাথর উত্তোলন একটি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছিল। ফলে সিলেটসহ সারা দেশের বিভিন্ন পাথর অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নিজ দেশের পাথর কোয়ারী সমূহ থেকে উন্নত মানের পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে চিহ্নিত ভারতীয় আগ্রাসন ও মোদী সরকারের চাপে ভারতের পাথর নিয়েছে, রিজাভ সংকটতায় কাতরাচ্ছে, ডলার সংকটের এই দুঃসময়ে বিদেশ থেকে কোটি কোটি ডলার খরচ করে নিম্ন মানের পাথর আমদানি করা হচ্ছে।

জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা হয়নি। ফলে একদিকে যেমন দেশের রিজার্ভের মূল্যবান ডলার ব্যয় হচ্ছে একই সাথে পাথর উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন পেশায় নিয়োজিত লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। হাজার হাজার স্টোন ক্রাশার মালিকেরা ব্যাংকে ঋণ খেলাপিতে লিপ্ত হয়েছে, লোকজন অর্ধাহার অনাহারের জীবন যাপন করছে। ক্রম হ্রাসমান ডলার তথা আমাদের রিজার্ভ সুরক্ষিত রাখতে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের স্বার্থে দেশীয়/আভ্যন্তরীন সম্পদ আহরণ ও তার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্ররিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিসাধন না করে পাথর উত্তোলন এখন সময়ের দাবী। নিজ দেশের পাথর কোয়ারী সমূহ থেকে উন্নত মানের পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়া দরকার। এতে যেমন কর্ম সংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে তেমনি দেশের অর্থনীতিও হবে সমৃদ্ধ।

সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী খুলে দিয়ে সহযোগীতা করে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি করতে হবে।