পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ধানমন্ডি শাখার কল সেন্টারের বর্ষবরণ ও পিঠা উৎসব
- Update Time : ১০:০০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / 264
“নতুন বছর, নতুন স্বপ্ন, নতুন সম্ভাবনা” এ স্লোগানকে সামনে রেখে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি. ধানমন্ডি শাখার কল সেন্টারের বর্ষবরণ ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠান।
খ্রিষ্টীয় নতুন বছর এবং শীতকে বরণ করে নেওয়া উপলক্ষে কল সেন্টার এ বর্ষবরণ এবং পিঠা উৎসব আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলো: মেয়েরা এক ডিজাইন কালারের শাড়ি এবং ছেলেরাও এক ডিজাইন কালারের পাঞ্জাবি।
নতুন বছরের আমেজে নান্দনিকভাবে পুরো বিভাগ সাজানো। বাহারি রকমের দেশীয় পিঠার স্বাদ নেয়া। পুরো টিমের এক্সাইটমেন্ট সৃষ্টিকরা আয়োজনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে অংশটি হচ্ছে লটারি অনুষ্ঠিত এবং বিজয়ী ঘোষণা পরবর্তী পুরুষ্কার প্রদান। অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক সুন্দর হচ্ছে চার জন এজেন্টের একই সাথে জন্মদিন পালন।
দ্বিতীয় দিন ছিল অনুষ্ঠানের আরেকটি আকর্ষণীয় পর্ব কুইজ প্রতিযোগিতা পরবর্তী পুরুষ্কার প্রদান। নতুন বছরে সবার মাঝে সহযোগিতা ভালোবাসা সৌহার্দপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টি করা। পুরোনো ট্রেডিশন কে ধারণ ও সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া এবং সঞ্চয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে হাজার বছর ধরে চলে আসা টাকা পয়সা সঞ্চয় করার মাটির ব্যাংক বিতরণ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেছেন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ম্যানেজমেন্ট টিমের এ.জি.এম/এইচ.আর.এডমিন প্রধান অচিন্ত্য কুমার নাগ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কল সেন্টার বিভাগের অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার মুহাম্মদ সালমান খান এবং এইচ.আর.এডমিন এর অফিসারদের উপস্তিতি পুরো অনুষ্ঠানে এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
প্রধান অতিথি সবার সাথে কুশল বিনিময় করে সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর বক্তব্যে সম্প্রতি গত হওয়া বছর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, নানা উৎকন্ঠা অনিশ্চয়তা ভয়াল ও ভয়াবহ এক খারাপ সময় গেল ২০২৪ সাল। তিনি আশা ও বিশ্বাস নিয়ে বলেন ২০২৫ যেন সবার ভালো যায়।
তিনি আরো বলেন- মহা পরিকল্পনার জন্য মহা আয়োজনের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট পরিকল্পনা করুন এবং নিয়মিত বাস্তবায়নের অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। যেকোন কাজের সফল হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাস একজন মানুষকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে। আত্মবিশ্বাসী মানুষই সবসময় সামনে একধাপ এগিয়ে থাকে। অতি আত্মবিশ্বাস অনেক সময় ব্যক্তির ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। কিন্তু যার আত্মবিশ্বাস নেই সেতো আর সামনে এগোতেই পারবে না।
তিনি বলেন জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে অন্যের পরিকল্পনার অংশ না হয়ে নিজে পরিকল্পনা করুন। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং তার সঠিক বাস্তবায়ন জীবনের সঠিক গন্তব্য নিশ্চিত করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সব নারীদের এক ডিজাইন কালারের শাড়ি পরা দেখে বলেন,সারা ভারতবর্ষ বাংলাদেশ বা এশিয়া মহাদেশের নারীদের শাড়ি পড়াতে যতটা সুন্দর দেখায় যা নারীকে করে তোলে একই সঙ্গে রমণীয় ও অপরূপ।
সব দেশের মেয়েদের শাড়িতে এমন অপরূপ লাগে না। জার্মান বা ইংরেজ নারীর উদ্ধত সৌন্দর্যেও এ পোশাক হয়তো খাপ খাবে না। যদি বাঙালি মেয়েদের প্রশ্ন ওঠে তবে বলব, এটি ভালো লাগে প্রায় প্রত্যেকটি বাঙালি মেয়েকে। সত্যি কথা বলতে কি, অধিকাংশ বাঙালি মেয়েকে শাড়ি ছাড়া আর হয়তো কিছুতেই মানায় না। বাঙালি ছেলেদের পোশাকে পাঞ্জাবীটাই বেশি মানায়।
বিডি সমাচার কে এ আয়োজনের প্রধান কারিগর কৃষ্ণ কুমার বসাক জানান, চিন্তার পরিবর্তনে আমরা অনেক সময় অনেক কঠিন কাজকে সহজ ভাবে করতে পারি। আপনি যদি চিন্তায় বড় না হন, তাহলে বাস্তবে বড় হওয়া খুব কঠিন। কারণ চিন্তাই হলো আপনার কাজের ভিত্তি। যদি আপনি চিন্তায় হেরে যান, তাহলে সেই কাজে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই আপনার মস্তিষ্ককে সবসময় পজিটিভ বার্তা দিন। নিজেকে বার বার বলুন ‘আমি পারব, আমি পারব।’ এই পজিটিভ বার্তাগুলো আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং আপনাকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আপনি আপনার গুনগুলাকে এম্পাওয়ার করা এবং , লেকিংসগুলাকে দূর করার যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। মূলত গুনগুলাকে এম্পাওয়ার করলে লেকিংসগুলো এমনিতেই কমে যাবে।
আমরা যেন ভালো চিন্তা করি, ভালো মানুষের সাথে চলি, ভালো চিন্তা ও ভালো মানুষের সাথে চলা আমাদের চিন্তা শক্তি কে এম্পাওয়ার করতে সাহায্য করে।
তিনি বলেন মূলত এ চিন্তা থেকেই এমন একটি পরিকল্পনা মাথায় আসে। সেই আসা চাওয়া থেকেই ছোট ছোট পরিকল্পনা করা সবার সাথে শেয়ার করা সবার থেকে মতামত নেয়া এবং সবার সম অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আজকের এ সফল সুন্দর আয়োজন।
বিডি সমাচার কে এ আয়োজনের সহ-প্রধান কারিগর নুরুল আমিন জানান,আলহামদুল্লিাহ আমরা ২০২৪ সাল শেষ করে নতুন আরও একটি বছর ২০২৫ নিয়ে আমাদের জীবনের পথচলা শুরু হলো। নতুন বছরটি যেন আমার এবং আপনার পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে সফলতা, আনন্দ এবং শান্তি নিয়ে আসে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করার এই যাত্রা যেন আরও সুন্দর হয় এবং আমরা সম্মিলিতভাবে নতুন লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে পারি।
তিনি আরো বলেন- কল সেন্টার আয়োজিত পুরো টিমের ছিল অনুষ্টানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছবি তোলা, সবাই সবাইকে হেল্প করার মনোবৃত্তি, যা খুবই ভালোলাগার অনুভূতি প্রদান করে।
বর্ষবরণকে ঘিরে এমন সুন্দর আয়োজনের সবচেয়ে এক্সাইটমেন্ট ও আকর্ষণীয় যে পুরুষ্কার ছিল লটারি-ড্র। এ পুরুষ্কারে প্রথম হতে পারা PDCLCC ডিপার্টমেন্টের এজেন্ট শামীম বিডিসমাচার কে জানান –
নিঃসন্দেহে অসম্ভব সুন্দর একটি আয়োজন ছিল এটি। নতুন উদ্দিপনায় নতুন উদ্যোগে পুরাতন কে ভুলে সবকিছু নতুন ভাবে শুরু হলো বছরের প্রথম দিনটাতে যা খুবই ভালোলাগার এক অন্যরকম অনুভূতি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সফল সুন্দর আয়োজনের জন্য।
আসলে সব কলিগদের কন্ট্রিবিউশান ছিল অসম্ভব সুন্দর। দিনটি ছিল বছরের প্রথম দিন। সত্যি বলতে এ দিনটি ছিল আমার জন্মদিন। এমন একটি দিনে এত প্রতিযোগির মাঝে প্রথম হতে পারা সত্যিই আমার জন্য সৌভাগ্য ও আনন্দ বহন করে।
বিডিসমাচার কে বলতে চাই ইতিমধ্যে অনেকেই আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবাইকে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ ও ভালোবাসা। সবাই ভাল থাকবেন। আমার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন, “ঈমানের পথে অবিচল থাকতে পারি, মৃত্যুর পরও যাতে আমি আপনাদের মাঝে সৎকর্ম দিয়ে বেঁচে থাকতে পারি।”
আজ আমার সাথে আমার প্রিয় কলিগ লিপি আপু, রিনা আপু, আফসার ভাইয়েরও জন্মদিন ছিলো। তাঁদের জন্যও সবাই দোয়া করবেন। যাতে ওনারাও ওনাদের সৎকর্ম দিয়ে আমাদের মাঝে সবসময় বেঁচে থাকেন। আবারো সকলের প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা।
অনুষ্ঠানে এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের যাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয় ইয়াসিন আরাফাত, মো: ইমরান হোসেন, ইয়াসিন মনির।
PDCLCC. CSR. ডিপার্টমেন্টের যারা ছিলেন- শাহিনুর রহমান তুহিন, মিসেস নুরুন নাহার লিপি, মিসেস কাজি শাহরিন আক্তার রিনা, সুব্রত মিত্র, আমেনা, সাইদুর রহমান, আফসার উদ্দিন, অন্তরা, সোমা খাতুন, সানজিদা গাজী সুমা, ফাতেমা আক্তার, লাভলী আক্তার, জেবুন্নেসা জেবা, বিদ্যুৎ মিয়া, মিস মেহেরুন্নেসা দোলা, আল আমিন, নাহিদ পারভেজ, হোসেন আলি, শাহিন আলম, মেহেরুন্নেসা লিজা, রুমা রানি সরকার, নুসরাত জাহান, জুলফিকার আলি, আইরিন আশরাফি রিতু, রাজীব মোল্লা, ইসরাত জাহান, মালা রাণী দেবি প্রমুখ।