শনিবার ধোয়ামোছায় ব্যস্ত ছিল মার্কেট কর্তৃপক্ষ। কোনো দোকানি স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মালিক সমিতি। রবিবার দোকানপাটের বন্ধ দরজা খুলে যাবে। আবারও সরগরম হবে ক্রেতা বিক্রেতার দর কষাকষিতে।
তবে পুরোনো সেই মুখরতা কতটা ফিরবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। কেননা, স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি পুরোদমে রক্ষা করা হবে বলে জানাচ্ছেন মালিক সমিতি। কেনাবেচা জমজমাট হওয়ার সুযোগ দেখছে না বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপণ জারি করে।
এর আগে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সরকার ৫ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী বিধিনিষেধ আরোপ করলে এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা সরকারের সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার জন্য মাঠে নামে। আন্দোলনের মুখে সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। পবর্তীতে করোনায় মৃতের সংখ্যা রেকর্ড পরিমান বাড়তে থাকলে ১৪ই এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলে আবারও বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট ও শপিং মল। তবে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রি করা যাবে বলে জানানো হয়।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ই এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাত দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। তবে তার ধারাবাহিকতা চলে ১৩ই এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ১৪ই এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফয় কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়, যা চলে ২১শে এপ্রিল পর্যন্ত। এর পর ২২শে এপ্রিল থেকে আরো এক সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধের এই মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২৮শে এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।