ঈদের আগের দিনেও বাড়তি ভাড়া, ট্রেনের ছাদে যাত্রী
- Update Time : ১০:৩০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
- / 60
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার জন্য একদিন আগে বুধবার রাজধানী ছেড়েছে লাখো মানুষ। বাস-লঞ্চ-ট্রেনের ছাদেও অসংখ্য মানুষ। কেউ কেউ দেখা গেছে খালি পিকআপ বা ট্রাকেও চেপে বসেছেন।
প্রতিটি টার্মিনাল এলাকাতেই দেখা গেছে যানজট ও পরিবহন চালক-শ্রমিক-কর্মীদের বেপরোয়া আচরণ। টার্মিনাল এলাকায় এলোমেলো গাড়ি রাখার কারণে অন্য যানবাহনের চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
গত কয়েক দিনের মতো আজও বাড়তি ভাড়া আদায় করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। আবার কয়েকটি টার্মিনালে দেখা গেছে, গাড়ি আছে। কিন্তু যাত্রী নেই। তারপরও তারা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করেছেন। বিভিন্ন পরিবহনের কর্মীদের যাত্রীদের জন্য হাকডাক শোনা গেছে।
গাবতলী টার্মিনালের ভালো পরিবহন কোম্পানিগুলোর টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে নিয়মিত যাত্রীর চাপ ছিল কম। কাউন্টারগুলোতে তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। মহাখালী টার্মিনাল থেকে যানবাহনগুলো নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি। দেশের উত্তরাঞ্চলের সড়কগুলোতে যানজট থাকায় গাড়িগুলো টার্মিনালে ঢুকতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহগামী গাড়িগুলোর যাত্রীদের পড়তে হয়েছে মহা বিড়ম্বনায়। অনেককে টিকিট কেটে টার্মিনালেই বসে থাকতে দেখা যায়। নির্ধারিত সময়ের তিন থেকে চার ঘণ্টা পরও গাড়ি ছেড়েছে। বাসে ওঠার পরও জয়দেবপুর চৌরাস্তা পার হতেই দু-তিন ঘণ্টা সময় পার হয়ে যায়। তীব্র গরমে নারী-শিশু ও বৃদ্ধিদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
ফুলবাড়িয়া টার্মিনালে যাত্রীর চাপ না থাকলেও বাসশ্রমিকরা বেশি ভাড়া আদায় করেছে। এক যাত্রী জানান, অন্য সময়ে তিনি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বরিশালে যান। বুধবার তার কাছে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের ম্যানেজার ১ হাজার টাকা ভাড়া দাবি করেন। কাউন্টার ম্যানেজার ইসমত আলী জানান, বাসগুলো খালি ফিরছে। এজন্য বেশি ভাড়া রাখতে হচ্ছে। এ ছাড়া তাদের কোনো করণীয় নেই।
যাত্রাবাড়ী ও সায়দাবাদ এলাকায় দেখা গেছে, হানিফ ফ্লাইওভার ও ফ্লাইওভারের ওপরে গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়েছে। অখ্যাত কোম্পানির বাসগুলো যাত্রীদের শরীয়তপুর, মাইজদী করে ডাকাডাকি করছে। স্বরূপকাঠিগামী ওয়েলকাম পরিবহনের চালক আলী হাসান জানান, এবার যাত্রীরা আগেভাগেই ঢাকা ছেড়েছে। এ জন্য ঈদের আগের দিনটায় যাত্রী নেই বললেই চলে। আর যারা যেদিন যাবেন আগে থেকেই অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছেন। পদ্মা সেতু হওয়ায় অনেকে নিজের মোটরসাইকেলে করেই চলে যান।
লঞ্চশ্রমিকরা জানান, পদ্মা সেতু হবার পর থেকেই লঞ্চমালিকদের দুর্দিন শুরু হয়েছে। আগের মতো লঞ্চে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এবার ঈদেও তেমন যাত্রী নেই।
কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। কমলাপুর থেকে কোনো যাত্রীর ছাদে ওঠার সুযোগ না থাকলেও বিমানবন্দর স্টেশনে গিয়ে থামার পরই অনেককে ব্যাগ-বোচকা নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠতে দেখা গেছে। গাজীপুর গিয়ে ছাদের যাত্রীর সংখ্যা আরও বেড়েছে।