প্রত্যাবর্তন : আনিস ফারদীন

  • Update Time : ১২:৫৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • / 369

তার লিখা প্রত্যাবর্তন গল্পে এক অবাস্তব ভালোবাসা যেন বাস্তবে পরিপূর্নতা পেয়েছে।

পূর্নতার গল্প পড়তে কার না ভালোলাগে।যেন মন ভালো হয়ে যায়।

বিষাদময় ভালোবাসা,মন খারাপ,অপেক্ষা আর ভালোবাসাহীনতাই যেন এ গল্পের মূল বিষয়।
না……শুধু যে অপেক্ষা,মন খারাপের মেঘ ঝরিয়ে বৃষ্টি কিংবা প্রেমের বন্যায় প্রেমিকের হৃদয় কে বিষাদময় করে তুলে তা কিন্তু না।শেষটা কিন্তু বেশ সুন্দর ছিল।

গল্প:প্রত্যাবর্তন।
প্রকাশিত হয়েছে ১১-০৬-২০২২।
দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকায়।

তার প্রত্যাবর্তন গল্পটি আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েছি।অসম্ভব সুন্দর ছিল।
শুধু প্রত্যাবর্তন ই না।তার লিখা সব গল্প এবং কবিতায় অসম্ভব সুন্দর লিখনি।যেনো যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় লিখা।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ”দ্রোহ ও ভালোবাসা”মাধ্যমেই তার সাহিত্য অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ।

তার লিখা প্রত্যাবর্তন গল্প নিয়ে আমার ছোট্র একটি রিভিউ।

এ গল্পের মূল চরিএ হলো নীলা এবং স্বপ্নীল।তাদের প্রথম দেখা নীলার ইউনিভার্সিটিতে।
কি ভাবছেন।প্রথম দেখাতেই দুজনের প্রেম।না,,,,,একদমই না।নীলা স্বপ্নীল কে পছন্দ করতো তবে তা ছিলো এক পক্ষীক।নীলা ভাবতো স্বপ্নীল ইউনিভার্সিটির কেনো সিনিয়র বড় ভাই।কিন্তু পরবর্তীতে নীলা জানতে পরে স্বপ্নীল আসলে স্বপ্নীল নয়।তার ইউনিভার্সিটির স্যার।

ব্যাপার টা মজার না?
কি ভাবছেন….তার পর কি হতে পারে!

তার পর নীলার মুগ্ধতা বাড়তেই থাকে স্যারের প্রতি। আর হঠাৎ প্রপোজ করে ফেলে।
নীলা কোন উওর পায় নি।
হঠাৎ স্যার পিএইচডি করার জন্য কানাডায় চরে যায়।এর মধ্যে নীরার সাথে তার কোন যোগাযোগ হয় নি।নীলা জানতো স্যার দেশ ছেড়ে চলে গেছে আর আসবেন না।
সেই থেকেই শুরু নীলার অপেক্ষার প্রহর গোনা।
কিন্তু অপেক্ষা কই করতে পারলো।
পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধেই বিয়ে ঠিক হয়।
বিয়ে হয়।বিয়ে টা হয়ে যায়।

কি ভাছেন।এতো অপেক্ষা যন্তনা সহ্য করে শেষ পর্যন্ত অন্য কাউকে বিয়ে করতে হলো।

না।আসলে এইরকম না।বিয়ে টা স্বপ্নীল স্যারের সাথেই হয়।নীলা জানতো না।এ সব টা ছিলো নীলার জন্য সারপ্রাইজ।

শ্বশুর বাড়িতে পদার্পন করার পর থেকেই নিলার মনে যেন নিদারুন কষ্ট বাড়তেই থাকে।হঠাৎ তখনি কে যেন পেছন থেকে পরিচিত কন্ঠে নীলা কে ডাকল।নীলা তাকিয়ে অবাক……..।নীলার অপেক্ষার অবসান হলো।পূর্ন তা পেলো নীলার ভালোবাসার।জয় হলো বিশ্বাসের।

তবে স্বপ্নীল স্যারের এতোটা ভাব নেওয়া উচিত হয় নি।কানাডায় যাওয়ার আগে একবার বলে যেতে পারতো বা মাঝে মাঝে দু’এক।
একবার কল দিয়ে খোঁজ নেওয়া উচিত ছিল।এতো সময় কাওকে অপেক্ষা করিয়ে সারপ্রাইজ দিতে হয় না।মেয়ে টা কতটা মানসিক যন্তনা
সহ্য করছে।এতোটা কষ্ট দেওয়া ঠিক হয় নি।

তবে বেশ ভালোলেগেছে গল্পটা।শেষ পর্যন্ত তো কেউ কাউকে ছেড়ে
যেতে হয় নি।
ভালোথাকুক ভালোবাসারা।

শুভকামনা লেখকের জন্য।

পাঠক
মাইমুনা ইসলাম।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


প্রত্যাবর্তন : আনিস ফারদীন

Update Time : ১২:৫৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

তার লিখা প্রত্যাবর্তন গল্পে এক অবাস্তব ভালোবাসা যেন বাস্তবে পরিপূর্নতা পেয়েছে।

পূর্নতার গল্প পড়তে কার না ভালোলাগে।যেন মন ভালো হয়ে যায়।

বিষাদময় ভালোবাসা,মন খারাপ,অপেক্ষা আর ভালোবাসাহীনতাই যেন এ গল্পের মূল বিষয়।
না……শুধু যে অপেক্ষা,মন খারাপের মেঘ ঝরিয়ে বৃষ্টি কিংবা প্রেমের বন্যায় প্রেমিকের হৃদয় কে বিষাদময় করে তুলে তা কিন্তু না।শেষটা কিন্তু বেশ সুন্দর ছিল।

গল্প:প্রত্যাবর্তন।
প্রকাশিত হয়েছে ১১-০৬-২০২২।
দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকায়।

তার প্রত্যাবর্তন গল্পটি আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েছি।অসম্ভব সুন্দর ছিল।
শুধু প্রত্যাবর্তন ই না।তার লিখা সব গল্প এবং কবিতায় অসম্ভব সুন্দর লিখনি।যেনো যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় লিখা।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ”দ্রোহ ও ভালোবাসা”মাধ্যমেই তার সাহিত্য অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ।

তার লিখা প্রত্যাবর্তন গল্প নিয়ে আমার ছোট্র একটি রিভিউ।

এ গল্পের মূল চরিএ হলো নীলা এবং স্বপ্নীল।তাদের প্রথম দেখা নীলার ইউনিভার্সিটিতে।
কি ভাবছেন।প্রথম দেখাতেই দুজনের প্রেম।না,,,,,একদমই না।নীলা স্বপ্নীল কে পছন্দ করতো তবে তা ছিলো এক পক্ষীক।নীলা ভাবতো স্বপ্নীল ইউনিভার্সিটির কেনো সিনিয়র বড় ভাই।কিন্তু পরবর্তীতে নীলা জানতে পরে স্বপ্নীল আসলে স্বপ্নীল নয়।তার ইউনিভার্সিটির স্যার।

ব্যাপার টা মজার না?
কি ভাবছেন….তার পর কি হতে পারে!

তার পর নীলার মুগ্ধতা বাড়তেই থাকে স্যারের প্রতি। আর হঠাৎ প্রপোজ করে ফেলে।
নীলা কোন উওর পায় নি।
হঠাৎ স্যার পিএইচডি করার জন্য কানাডায় চরে যায়।এর মধ্যে নীরার সাথে তার কোন যোগাযোগ হয় নি।নীলা জানতো স্যার দেশ ছেড়ে চলে গেছে আর আসবেন না।
সেই থেকেই শুরু নীলার অপেক্ষার প্রহর গোনা।
কিন্তু অপেক্ষা কই করতে পারলো।
পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধেই বিয়ে ঠিক হয়।
বিয়ে হয়।বিয়ে টা হয়ে যায়।

কি ভাছেন।এতো অপেক্ষা যন্তনা সহ্য করে শেষ পর্যন্ত অন্য কাউকে বিয়ে করতে হলো।

না।আসলে এইরকম না।বিয়ে টা স্বপ্নীল স্যারের সাথেই হয়।নীলা জানতো না।এ সব টা ছিলো নীলার জন্য সারপ্রাইজ।

শ্বশুর বাড়িতে পদার্পন করার পর থেকেই নিলার মনে যেন নিদারুন কষ্ট বাড়তেই থাকে।হঠাৎ তখনি কে যেন পেছন থেকে পরিচিত কন্ঠে নীলা কে ডাকল।নীলা তাকিয়ে অবাক……..।নীলার অপেক্ষার অবসান হলো।পূর্ন তা পেলো নীলার ভালোবাসার।জয় হলো বিশ্বাসের।

তবে স্বপ্নীল স্যারের এতোটা ভাব নেওয়া উচিত হয় নি।কানাডায় যাওয়ার আগে একবার বলে যেতে পারতো বা মাঝে মাঝে দু’এক।
একবার কল দিয়ে খোঁজ নেওয়া উচিত ছিল।এতো সময় কাওকে অপেক্ষা করিয়ে সারপ্রাইজ দিতে হয় না।মেয়ে টা কতটা মানসিক যন্তনা
সহ্য করছে।এতোটা কষ্ট দেওয়া ঠিক হয় নি।

তবে বেশ ভালোলেগেছে গল্পটা।শেষ পর্যন্ত তো কেউ কাউকে ছেড়ে
যেতে হয় নি।
ভালোথাকুক ভালোবাসারা।

শুভকামনা লেখকের জন্য।

পাঠক
মাইমুনা ইসলাম।