শীতে মোজার দুর্গন্ধ দূর করার উপায়

  • Update Time : ০৩:১২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
  • / 255

ফিচার ডেস্ক:

শীতে পা গরম করার জন্য অনেকে সারাদিন জুতা-মোজা পরে থাকেন। পায়ের মোজার দুর্গন্ধের কারণে অফিসে বা বদ্ধ ঘরে বসে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ে। যাদের দীর্ঘ ক্ষণ মোজা পরে থাকলে পায়ে অসম্ভব দুর্গন্ধ হয়। সাধারণত পায়ের গ্রন্থিগুলো থেকে অতিরিক্ত ঘাম নিঃসরণ হলে এমন দুর্গন্ধ হতে পারে। বিভিন্ন কারণে পায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। দীর্ঘ সময় পা ঘামে ভিজে থাকলে দুর্গন্ধ ছড়াবে। ঘামে ভেজা স্যাঁতসেঁতে ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার দ্রুত হয়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গন্ধও বাড়তে থাকে।

সিনথেটিক মোজা পায়ে দুর্গন্ধ বাড়ায়। এসব মোজার ভেতর দিয় বাতাস চলাচল করতে পারে না। আবার ঘাম শোষণেও অকার্যকর। কৃত্রিম চামড়ার জুতা পরলে পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। কৃত্রিম চামড়ার ভেতর থেকে বাতাস চলাচল করতে না পারার কারণে পা ঘেমে যায় দ্রুত।

ফ্যাশনের জন্য অনেকেই কনভার্স কিংবা স্নিকার মোজা ছাড়াই পরেন। ঘামে ভিজে জুতার ভেতরটাই স্যাঁতসেঁতে ও নোংরা হয়ে থাকে। এভাবেও দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। পায়ের যত্নে উদাসিনতা কিংবা আলস্যের কারণে পায়ে নানা ধরনের রোগ হয় এবং উপসর্গ হিসেবে দুর্গন্ধ ছড়ায়।

পায়ে দুর্গন্ধ থেকে কীভাবে নিস্তার পাবেন? ছোটখাটো ঘরোয়া উপায়েই রয়েছে এর সমাধান।

বেকিং সোডা

বেকিং সোডা জীবাণু দূর করতে দারুণ কাজে দেয়। পায়ে পাউডারের মতো কর্ন ফ্লাওয়ার মিশিয়ে লাগান। সারা দিনের জমে থাকা ঘাম শুষে নিতে সাহায্য করবে।

লবণ গরম পানি

বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে হালকা গরম লবণ পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট ১৫। ছত্রাক রোধ করতে সক্ষম লবণ। ফলে পা ঘামার সমস্যাকে কমিয়ে দেয় অনেকটাই। একটু সময়সাপেক্ষ হলেও পা ঘামার সমস্যা দূর করতে লবণ পানির জুড়ি নেই।

র চা

র চা খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনই পায়ের দুর্গন্ধের জন্য কার্যকর। দুইটি টি ব্যাগ পানি ফুটিয়ে নিন। সেটা আরও কিছু পানি মিশিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পায়ে কোনও রকম ছত্রাকজাত সংক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা কমবে।

ল্যাভেন্ডার অয়েল

কয়েক ফোটা ল্যভেন্ডার অয়েল আপনার ফুট ক্রিমে মিশিয়ে পায়ে মাসাজ করুন। সব ক্লান্তি মুছে যাবে এবং পায়ের দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটাই কমবে। ল্যাভেন্ডার ছাড়াও চলতে পারে টি ট্রি অয়েল, লেমন অয়েল, পিপারমেন্ট অয়েলের মতো কিছু এসেনশিয়াল অয়েল।

ভিনেগার

একটা গামলায়ে গরম পানি নিন। কয়েক চামচ ভিনিগার এবং সি-সল্ট দিতে পারেন। পা ডুবিয়ে বসে থাকুন মিনিট ২০। পায়ের সব ধকল কেটে যাবে এবং দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটাই মিটবে।

লবঙ্গ

কয়েকটি লবঙ্গ ফেলে রাখলেও উপকার পাবেন। ফুটন্ত পানিতে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতার মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর টি ব্যাগ সরিয়ে জুতার ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন।

তবে এর সঙ্গে মেনে চলুন কিছু অভ্যাস। প্রতি দিন ব্যবহার করুন পরিষ্কার করে ধোয়া মোজা। একই মোজা পরপর দুই দিন ব্যবহারের বদভ্যাস তাড়ান। এতেও দুর্গন্ধ দূর না হলে জুতা বদলান। অনেক সময় কমদামি জুতার চামড়া থেকেও দুর্গন্ধ ছড়ায়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


শীতে মোজার দুর্গন্ধ দূর করার উপায়

Update Time : ০৩:১২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২

ফিচার ডেস্ক:

শীতে পা গরম করার জন্য অনেকে সারাদিন জুতা-মোজা পরে থাকেন। পায়ের মোজার দুর্গন্ধের কারণে অফিসে বা বদ্ধ ঘরে বসে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ে। যাদের দীর্ঘ ক্ষণ মোজা পরে থাকলে পায়ে অসম্ভব দুর্গন্ধ হয়। সাধারণত পায়ের গ্রন্থিগুলো থেকে অতিরিক্ত ঘাম নিঃসরণ হলে এমন দুর্গন্ধ হতে পারে। বিভিন্ন কারণে পায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। দীর্ঘ সময় পা ঘামে ভিজে থাকলে দুর্গন্ধ ছড়াবে। ঘামে ভেজা স্যাঁতসেঁতে ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার দ্রুত হয়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গন্ধও বাড়তে থাকে।

সিনথেটিক মোজা পায়ে দুর্গন্ধ বাড়ায়। এসব মোজার ভেতর দিয় বাতাস চলাচল করতে পারে না। আবার ঘাম শোষণেও অকার্যকর। কৃত্রিম চামড়ার জুতা পরলে পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। কৃত্রিম চামড়ার ভেতর থেকে বাতাস চলাচল করতে না পারার কারণে পা ঘেমে যায় দ্রুত।

ফ্যাশনের জন্য অনেকেই কনভার্স কিংবা স্নিকার মোজা ছাড়াই পরেন। ঘামে ভিজে জুতার ভেতরটাই স্যাঁতসেঁতে ও নোংরা হয়ে থাকে। এভাবেও দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। পায়ের যত্নে উদাসিনতা কিংবা আলস্যের কারণে পায়ে নানা ধরনের রোগ হয় এবং উপসর্গ হিসেবে দুর্গন্ধ ছড়ায়।

পায়ে দুর্গন্ধ থেকে কীভাবে নিস্তার পাবেন? ছোটখাটো ঘরোয়া উপায়েই রয়েছে এর সমাধান।

বেকিং সোডা

বেকিং সোডা জীবাণু দূর করতে দারুণ কাজে দেয়। পায়ে পাউডারের মতো কর্ন ফ্লাওয়ার মিশিয়ে লাগান। সারা দিনের জমে থাকা ঘাম শুষে নিতে সাহায্য করবে।

লবণ গরম পানি

বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে হালকা গরম লবণ পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট ১৫। ছত্রাক রোধ করতে সক্ষম লবণ। ফলে পা ঘামার সমস্যাকে কমিয়ে দেয় অনেকটাই। একটু সময়সাপেক্ষ হলেও পা ঘামার সমস্যা দূর করতে লবণ পানির জুড়ি নেই।

র চা

র চা খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনই পায়ের দুর্গন্ধের জন্য কার্যকর। দুইটি টি ব্যাগ পানি ফুটিয়ে নিন। সেটা আরও কিছু পানি মিশিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পায়ে কোনও রকম ছত্রাকজাত সংক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা কমবে।

ল্যাভেন্ডার অয়েল

কয়েক ফোটা ল্যভেন্ডার অয়েল আপনার ফুট ক্রিমে মিশিয়ে পায়ে মাসাজ করুন। সব ক্লান্তি মুছে যাবে এবং পায়ের দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটাই কমবে। ল্যাভেন্ডার ছাড়াও চলতে পারে টি ট্রি অয়েল, লেমন অয়েল, পিপারমেন্ট অয়েলের মতো কিছু এসেনশিয়াল অয়েল।

ভিনেগার

একটা গামলায়ে গরম পানি নিন। কয়েক চামচ ভিনিগার এবং সি-সল্ট দিতে পারেন। পা ডুবিয়ে বসে থাকুন মিনিট ২০। পায়ের সব ধকল কেটে যাবে এবং দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটাই মিটবে।

লবঙ্গ

কয়েকটি লবঙ্গ ফেলে রাখলেও উপকার পাবেন। ফুটন্ত পানিতে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতার মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর টি ব্যাগ সরিয়ে জুতার ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন।

তবে এর সঙ্গে মেনে চলুন কিছু অভ্যাস। প্রতি দিন ব্যবহার করুন পরিষ্কার করে ধোয়া মোজা। একই মোজা পরপর দুই দিন ব্যবহারের বদভ্যাস তাড়ান। এতেও দুর্গন্ধ দূর না হলে জুতা বদলান। অনেক সময় কমদামি জুতার চামড়া থেকেও দুর্গন্ধ ছড়ায়।