২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনকারীদের একজনও বিসিএসে উত্তীর্ণ হতে পারেননি : ছাত্রলীগ সভাপতি

  • Update Time : ১০:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
  • / 47

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনকারীদের একজনও বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে কোটা ইস্যুতে ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন শীর্ষক মিট দ্য প্রেসে একথা বলেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ।

সাদ্দাম আরও বলেন, ২০১৮ এর পর কোটা না থাকায় চাকরিতে নারীদের হার কমেছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সংখ্যাও কমেছে। বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ চাকরিই পায়নি।

আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে যারা ঘরে ফিরেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রফেশনাল আন্দোলনকারী’রা এখনও রাজপথে আছে। তারা ‘ব্লকেড ব্লকেড’ খেলা খেলছে। ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল রাখার পরও তারা আন্দোলন করছে। ক্ষণে ক্ষণে কথা পাল্টাচ্ছে, দাবি পাল্টাচ্ছে। তারা কি চাকরিজীবী হতে চায় নাকি আন্দোলনজীবী হতে চায়?

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, এই কোটা আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এখানে সন্ত্রাসীদের গেট টুগেদার হয়েছে। আমরা সেখানে ছাত্রদলের ক্যাডারদেরও দেখেছি। তাদের মূল লক্ষ্য রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন। তারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, যারা জনদুর্ভোগ তৈরি করছে, শিক্ষার্থীদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরতে দিচ্ছে না, আমরা তাদেরকে সাবধান করে দিতে চাই। তারা মূলত ষড়যন্ত্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।

এসময় কোটা আন্দোলনের নাম করে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাঁ হাত ঢুকানোর ফলাফল ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারী জানান শেখ ইনান।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সৈকত প্রমুখ ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনকারীদের একজনও বিসিএসে উত্তীর্ণ হতে পারেননি : ছাত্রলীগ সভাপতি

Update Time : ১০:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনকারীদের একজনও বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে কোটা ইস্যুতে ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন শীর্ষক মিট দ্য প্রেসে একথা বলেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ।

সাদ্দাম আরও বলেন, ২০১৮ এর পর কোটা না থাকায় চাকরিতে নারীদের হার কমেছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সংখ্যাও কমেছে। বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ চাকরিই পায়নি।

আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে যারা ঘরে ফিরেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রফেশনাল আন্দোলনকারী’রা এখনও রাজপথে আছে। তারা ‘ব্লকেড ব্লকেড’ খেলা খেলছে। ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল রাখার পরও তারা আন্দোলন করছে। ক্ষণে ক্ষণে কথা পাল্টাচ্ছে, দাবি পাল্টাচ্ছে। তারা কি চাকরিজীবী হতে চায় নাকি আন্দোলনজীবী হতে চায়?

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, এই কোটা আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এখানে সন্ত্রাসীদের গেট টুগেদার হয়েছে। আমরা সেখানে ছাত্রদলের ক্যাডারদেরও দেখেছি। তাদের মূল লক্ষ্য রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন। তারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, যারা জনদুর্ভোগ তৈরি করছে, শিক্ষার্থীদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরতে দিচ্ছে না, আমরা তাদেরকে সাবধান করে দিতে চাই। তারা মূলত ষড়যন্ত্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।

এসময় কোটা আন্দোলনের নাম করে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাঁ হাত ঢুকানোর ফলাফল ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারী জানান শেখ ইনান।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সৈকত প্রমুখ ।