আন্দোলনে নামছেন কোটাবিরোধীরা

  • Update Time : ১০:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • / 68

গতকাল রোববার (৩০ জুন) আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর আজ সোমবার থেকে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামছেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের দাবিতে ছাত্র সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

লগতকাল রোববার (৩০ জুন) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

আন্দোলনের একাধিক মুখপাত্রের সাথে কথা বলে জানা যায়, একই সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উদ্যোগে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল আন্দোলন’ ব্যানারে আগামী বুধবার মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। ওই দিন বেলা ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে এই কর্মসূচি পালিত হবে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আল মামুন বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন কোটা করা হয় তখনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির আন্দোলন শুরু করেছিল। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এটা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্রের প্ররোচনায় আবারো আন্দোলন শুরু হয়। যা সফল হয় ২০১৮ সালে। আমরা মনে করি, কোটা কোনো বৈষম্য সৃষ্টি করে না। বরং কোটা নায্যতা নিশ্চিত করে। পিছিয়ে পড়া জেলা বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদেরও এই সুবিধা পাওয়া উচিত। নারী কোটা ছিল বলেই নারীরা আজ সচিব। অনেক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার এখনো পিছিয়ে আছেন। ফলে আমরা বলছি, শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি-নাতনিদের জন্য নয়, সবার জন্যই কোটা থাকা উচিত।’

গত ৫ জুন আদালতের আদেশ দেয়ার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ফাঁকা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ১০ জুন দাবি মানতে সরকারকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়ে আন্দোলনে বিরতি টানা হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আন্দোলনে নামছেন কোটাবিরোধীরা

Update Time : ১০:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

গতকাল রোববার (৩০ জুন) আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর আজ সোমবার থেকে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামছেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের দাবিতে ছাত্র সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

লগতকাল রোববার (৩০ জুন) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

আন্দোলনের একাধিক মুখপাত্রের সাথে কথা বলে জানা যায়, একই সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উদ্যোগে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল আন্দোলন’ ব্যানারে আগামী বুধবার মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। ওই দিন বেলা ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে এই কর্মসূচি পালিত হবে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আল মামুন বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন কোটা করা হয় তখনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির আন্দোলন শুরু করেছিল। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এটা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্রের প্ররোচনায় আবারো আন্দোলন শুরু হয়। যা সফল হয় ২০১৮ সালে। আমরা মনে করি, কোটা কোনো বৈষম্য সৃষ্টি করে না। বরং কোটা নায্যতা নিশ্চিত করে। পিছিয়ে পড়া জেলা বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদেরও এই সুবিধা পাওয়া উচিত। নারী কোটা ছিল বলেই নারীরা আজ সচিব। অনেক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার এখনো পিছিয়ে আছেন। ফলে আমরা বলছি, শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি-নাতনিদের জন্য নয়, সবার জন্যই কোটা থাকা উচিত।’

গত ৫ জুন আদালতের আদেশ দেয়ার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ফাঁকা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ১০ জুন দাবি মানতে সরকারকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়ে আন্দোলনে বিরতি টানা হয়।