ঢাবিতে চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- Update Time : ০৯:৩২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
- / 58
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে প্রত্যাখ্যান করে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। ‘কোটা পদ্ধতি মানি না’, ‘হাইকোর্টের রায় মানি না’, ‘কোটা বাতিল করো, করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে বলে জানান তারা। প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু, কলাভবন হয়ে রাজু ভাস্কর্যেে যান। এসময় তারা কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন বক্তব্য দেন।
রাজু ভাস্কর্যে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা আবার মিছিল নিয়ে কলাভবন হয়ে লাইব্রেরিতে যান। লাইব্রেরির সামনে গিয়ে তারা কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এসময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আমরা তখন রক্ত দিয়েছি। তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এ কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল। কিন্তু আবারও আজ হাইকোর্ট সেই কোটা পুনর্বহাল করেছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা হাইকোর্টের এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি।’
নাহিদ বলেন, ‘একটা দেশে কখনো ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। এটা সেই দেশের মেধাবীদের সঙ্গে তামাশা করার মতো। আমরা আমাদের সঙ্গে এ তামাশা মেনে নেবো না। আমরা রাজপথে এসেছি, আজকের এটা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। আমরা আবারও কালকে আসবো। যদি এ রায় বহাল থাকে তাহলে আমরা রাজপথে আবারও নামতে বাধ্য হবো। আমরা আমাদের দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরে যাবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো, এ রায় যেন বহাল না থাকে। শিক্ষার্থীরা এরকম বৈষম্য মানবে না।’
এসময় আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে রাজু ভাস্কর্যে আবারও একটি সমাবেশ করা হবে বলে ঘোষণা করেন নাহিদ হাসান ।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (৫ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।