ইবি রেজিস্ট্রারের আপত্তিকর ভিডিও কল ভাইরাল, অব্যাহতি চায় শাপলা

  • Update Time : ০৬:৩৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • / 73

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের চেহারাসদৃশ আপত্তিকর ভিডিও কলের স্ক্রিন রকর্ড ভাইরাল হয়েছে। শনিবার (১ জুন) ‘ইবির ত্রাস’ নামক ফেইসবুক আইডি থেকে ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অস্বস্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টজনেরা। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে শাস্তির দাবি তুলেছেন। এছাড়া ঘটনার সত্যতা উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রারকে তার পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে শাপলা ফোরাম। তবে প্রকাশিত এই ভিডিওকে ‘এআই এডিট’ বলে দাবি করছেন রেজিস্ট্রার আলী হাসান।

ভাইরাল হওয়া ভিডিও কলের স্ক্রিন রেকর্ডটিতে ইবি রেজিস্ট্রারের চেহারা স্পষ্ট বোঝা গেলেও বিপরীত পাশের মেয়েটিকে শনাক্ত করা যায়নি। ভিডিওতে দেখা যায়, ইবি রেজিস্ট্রার আলী হাসান অজ্ঞাত ঐ মেয়ের সঙ্গে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও কলে রয়েছেন। এসময় ভিডিওটিতে দুইজন বিভিন্ন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আমি ভিডিওটা দেখেছি। এগুলো এআই দিয়ে ইডিট করা ভিডিও। ইডিট করে অন্যজনের দেহে আমার মাথা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে হেনস্তা করতে আমার বিরোধী পক্ষ এটি করেছে।

এদিকে প্রকাশিত ভিডিওটির সত্যতা উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রারকে তার পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম। রোববার সকাল ১১ টায় বিষয়টি নিয়ে অনুষ্ঠিত ফোরামের এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সভায় অশ্লীল ভিডিও প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনা করা হয় এবং এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জোর দাবি জানানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রেজিস্ট্রারের অব্যাহতির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রার পদটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। পদাধিকারবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সভা ও দাপ্তরিক কাজে উপস্থিত থাকতে হয়। এমন একটি অশ্লীল ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সভা ও দাপ্তরিক কাজে উনার উপস্থিতি একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এমতাবস্থায় প্রকাশিত ঘটনার সত্যতা উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিষ্টার পদ থেকে তাঁকে সাময়িক ভাবে অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এছাড়াও সভায় ইতোপূর্বে রেজিস্ট্রারের সাথে জনৈক এক ঠিকাদারের অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত রিপোর্ট দ্রুতসময়ের মধ্যে প্রকাশ করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ভিডিওর বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে ভিডিওটা দেখিনি। এমন অশ্লীল ভিডিও দেখতেও চাই না। আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। তিনি জড়িত থাকলে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইবি রেজিস্ট্রারের আপত্তিকর ভিডিও কল ভাইরাল, অব্যাহতি চায় শাপলা

Update Time : ০৬:৩৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের চেহারাসদৃশ আপত্তিকর ভিডিও কলের স্ক্রিন রকর্ড ভাইরাল হয়েছে। শনিবার (১ জুন) ‘ইবির ত্রাস’ নামক ফেইসবুক আইডি থেকে ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অস্বস্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টজনেরা। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে শাস্তির দাবি তুলেছেন। এছাড়া ঘটনার সত্যতা উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রারকে তার পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে শাপলা ফোরাম। তবে প্রকাশিত এই ভিডিওকে ‘এআই এডিট’ বলে দাবি করছেন রেজিস্ট্রার আলী হাসান।

ভাইরাল হওয়া ভিডিও কলের স্ক্রিন রেকর্ডটিতে ইবি রেজিস্ট্রারের চেহারা স্পষ্ট বোঝা গেলেও বিপরীত পাশের মেয়েটিকে শনাক্ত করা যায়নি। ভিডিওতে দেখা যায়, ইবি রেজিস্ট্রার আলী হাসান অজ্ঞাত ঐ মেয়ের সঙ্গে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও কলে রয়েছেন। এসময় ভিডিওটিতে দুইজন বিভিন্ন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আমি ভিডিওটা দেখেছি। এগুলো এআই দিয়ে ইডিট করা ভিডিও। ইডিট করে অন্যজনের দেহে আমার মাথা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে হেনস্তা করতে আমার বিরোধী পক্ষ এটি করেছে।

এদিকে প্রকাশিত ভিডিওটির সত্যতা উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রারকে তার পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম। রোববার সকাল ১১ টায় বিষয়টি নিয়ে অনুষ্ঠিত ফোরামের এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সভায় অশ্লীল ভিডিও প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনা করা হয় এবং এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জোর দাবি জানানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রেজিস্ট্রারের অব্যাহতির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রার পদটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। পদাধিকারবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সভা ও দাপ্তরিক কাজে উপস্থিত থাকতে হয়। এমন একটি অশ্লীল ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সভা ও দাপ্তরিক কাজে উনার উপস্থিতি একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এমতাবস্থায় প্রকাশিত ঘটনার সত্যতা উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিষ্টার পদ থেকে তাঁকে সাময়িক ভাবে অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এছাড়াও সভায় ইতোপূর্বে রেজিস্ট্রারের সাথে জনৈক এক ঠিকাদারের অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত রিপোর্ট দ্রুতসময়ের মধ্যে প্রকাশ করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ভিডিওর বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে ভিডিওটা দেখিনি। এমন অশ্লীল ভিডিও দেখতেও চাই না। আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। তিনি জড়িত থাকলে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।