গুনীজনদের পদচারণায় মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস
- Update Time : ০৬:৪১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
- / 76
ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তা সমিতির আয়োজনে গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) দুপুর দুইটায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণায় মুখরিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর।
এর আগে, বেলা সোয়া ১১ টায় ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ মুর্যালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন অতিথিরা। পরে অ্যাটর্নি জেনারেলকে গার্ড অব অনার প্রদান করে ইবি থানা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে বৃক্ষরোপন করেন অতিথিরা। বৃক্ষরোপণ শেষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে আলোচনাসভায় মিলিত হন তারা।
অনুষ্ঠানে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি দেওয়ান টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এতে আলোচক ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম। এসময় বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাড. কে এম মাসুদ রুমী এবং এ্যাড. বি এম আব্দুর রাফেল উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন সাবেক এমপি ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান আলম সাজু।
এছাড়াও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ মনজুরুল হক ও কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনছারী। এসময় স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) এ.টি.এম এমদাদুল আলম। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আপনারা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত কোর্টে নিয়ে যাবেন। সেখানে যদি শিক্ষার্থীদের মাসে কিংবা ছয় মাসে একদিন করেও যদি শিক্ষার্থীদের কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে তারা জানতে পারবে কীভাবে আদালত পরিচালনা হয়, কীভাবে মামলা পরিচালনা করতে হয় এবং কীভাবে শাস্তি দিতে হয়। যেটি তাদের পরবর্তী সময়ে জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ মনজুরুল হক বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি একটা মানুষের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শেষ জীবন পর্যন্ত থাকবে। তাই নিজ প্রতিষ্ঠানকে মনে প্রাণে ধারণ করা প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণেই মানুষ বড় পরিসরে পরিচিতি লাভ করতে পারে। আমি যখন আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তখন আমার চলাফেরা, যুক্তিতর্ক দেখে কেউ বুঝতো না আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সবাই মনে করতো আমি হয়তো অনেক বড় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছি। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করি আমাদের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম, গৌরব ও সার্বিক পরিস্থিতি সবার সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা।