ফেব্রুয়ারিতে নোবিপ্রবিতে উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স
- Update Time : ১২:০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
- / 565
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে টেকসই ব্যবসায়িক সমৃদ্ধি অর্জনে উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ‘ইআইএসবিজি ২০২৪’ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ।
আগামী বছরের ২৮ এবং ২৯ ফেব্রুয়ারি এ কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
কনফারেন্সটিতে ব্যবসা ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে নির্ধারিত কিছু বিষয় থাকবে। যার মধ্যে রয়েছে একাউন্টিং, ব্যাংকিং ও ইন্সুরেন্স, ম্যানেজমেন্ট, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক্স, ফলিত বিজ্ঞান, সাইবার সিকিউরিটি, ইনফরমেশন টেকনোলজি ও ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস ইন্টিলিজেন্স, অপারেশনাল রিসার্চ, ইন্টারনেট অফ থিংস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং।
আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বিশ্বব্যাপী উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার ও গুরুত্ব বাড়ছে। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রযুক্তি জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে টেকসই ব্যবসায়িক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে ব্যবসায়িক ধারণা নির্ধারণের কলাকৌশল ও উপায়কে তুলে ধরতে মূলত এ কনফারেন্সটি আয়োজন করা হচ্ছে।
আয়োজকরা আরো জানান, কনফারেন্সে পেপার জমা দেওয়ার সময় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচিত পেপারের তালিকা প্রকাশ হবে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি। ক্যামেরা রেডি সাবমিশন ৩০ জানুয়ারি এবং রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কনফারেন্সের পাবলিসিটির দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুস সালাম।
কনফারেন্সের অর্গানাইজিং চেয়ার অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ব্যবসা বাণিজ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। উচ্চতর গবেষণা ও উৎকর্ষ সাধনে আন্তর্জাতিকভাবে গবেষকদের সম্মিলন প্রয়োজন। আমরা আশা করি এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে অনন্য ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও কনফারেন্সের পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ভার্চুয়াল জগতের আরও বিস্তৃত পরিসর নিয়ে চর্চিত হচ্ছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব-সম্পর্কিত গবেষণা ও উদ্ভাবনকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্মার্ট কমার্স ও স্মার্ট ইকোনমি বিনির্মাণে এই কনফারেন্স ভূমিকা রাখবে। এতে বিভিন্ন দেশের গবেষকরা কোলাবোরেশনের সুযোগ পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, ডিজিটাল বিপ্লবে ফলে প্রায় সকল কাজের ধরণ পরিবর্তিত হচ্ছে। আধুনিক ও স্মার্ট প্রযুক্তি বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নতুন করে জ্ঞান বিজ্ঞানের নতুন নতুন দিক উন্মোচিত করছে যা মূলতঃ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অন্যতম নির্দেশক। টেকসই ও স্মার্ট ব্যবসায়ের উন্নয়নের জন্য নতুন নতুন আইডিয়া উন্মোচনের জন্য আমরা এই কনফারেন্সের আয়োজন করছি যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকরা তাদের গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপন করবেন এবং এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে।