“দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে শিক্ষিত যুবকদের কৃষি ব্যবসায় যুক্ত হতে হবে”

  • Update Time : ০৫:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 182

আহসান হাবীব, জাককানইবি প্রতিনিধি:

ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইডিআরও), দৈনিক বণিক বার্তা এবং সিনজেন্টা ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার (এসএফএসএ) যৌথভাবে ‘দক্ষিণ এশিয়ায় যুব উদ্যোক্তা ও কৃষি উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার আয়োজন করে। জুম মিটিংয়ে ওয়েবিনারটি ১৮ই সেপ্টেম্বর (শনিবার) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা বিষয় ছিলো ‘দক্ষিণ এশিয়ায় তরুণ উদ্যোক্তাদের চালক’। বক্তারা দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষিত তরুণদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর উচিত নিজেদেরকে ব্যবসার সাথে সংযুক্ত করা। এছাড়া বেকার সমস্যা সমাধানের তেমন কোনো উপায় নেই। বেকার সমস্যা সমাধান, কৃষি উন্নয়নবিষয়ক নানা বিষয়ে কথা হয় সেমিনারে।

ইডিআরও এর কার্যনির্বাহী পরিচালক তানজিল হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের এত বিশাল একটা বেকারত্বের অবসান ঘটাতে হলে উদ্যোক্তা হওয়ার বিকল্প নেই। তাই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে শিক্ষিত যুবকদের কৃষি ব্যবসায় যুক্ত হতে হবে।”

উক্ত ওয়েবিনারে সুরেশ বাবু মূল বক্তব্যে বলেন, “যুব ব্যবসা উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারী বিষয়গুলো হলো ব্যবসার অবকাঠামো, জমি ও বাজার ব্যবস্থায় অবাধে অংশগ্রহণ। রপ্তানি বাজারও ব্যবসার উদ্যোগ গ্রহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যুবকদের ব্যবসায় অংশগ্রহনে প্রভাব বিস্তার করে ঋন দান, নতুন ব্যবসার শুরু ও পরিচালনার উপর। নতুন উদ্যোক্তা তৈরীর জন্য প্রশিক্ষণ ও নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। বাজার ব্যবস্থায় যাতে গ্রামের ছোট ব্যবসায়িক অংশগ্রহন করতে পারে তার জন্য পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। এনজিও ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে প্রশিক্ষন প্রযুক্তি, কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সেবা দিতে হবে। উদ্যোক্তারা যে কৃষিপণ্য উৎপাদন করবে তার গুনগত মান মনিটরিং এর মাধ্যমে উন্নয়ন করতে হবে। একাডেমিক কারিকুলামে কৃষিব্যবসার সুযোগ ও অর্থায়ন সম্পর্কে কোর্স চালু করা যেতে পারে। সর্বোপরি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যবসায়িদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে কৃষি ব্যবসা বাড়াতে হবে।”

ব্রাক ব্যাংকের চেয়্যারম্যান আহসান এইচ মনসুর বলেন, “শিক্ষিত ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে, অর্থের সংস্থান বাড়াতে হবে।”

জনাব মেন্ডু শ্রীনিবাস বলেন, ‘ভারতে ৫০-৬০% লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল কিন্ত জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৭%।’ ড. ডিলিনি হেমচন্দ্র বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় ৩০% লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল কিন্ত জিডিপিতে অবদান মাত্র ৭% লোকের।’

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তানজিল হোসেন। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা (ইডিআরও) এর নির্বাহী পরিচালক।

এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পেরাদেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার ড. দিলিনী হেমচন্দ্র,পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এর নির্বাহী পরিচালক ড.আহসান এইচ মনসুর এবং ব্রাক ব্যাংক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মেন্ডু শ্রীনিবাস।

এছাড়াও সেমিনারটি তে উপস্থিত ছিলেন মো. ফরহাদ জামিল (কান্ট্রি ডিরেক্টর, সিনজেন্টা ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার), সুরেশ বাবু (হেড অব ক্যাপাসিটি স্ট্রেন্টিং অ্যান্ড সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র) এবং মো. হেলাল আহম্মেদ জনি, (রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, ইডিআরও, বাংলাদেশ)

Please Share This Post in Your Social Media


“দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে শিক্ষিত যুবকদের কৃষি ব্যবসায় যুক্ত হতে হবে”

Update Time : ০৫:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

আহসান হাবীব, জাককানইবি প্রতিনিধি:

ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইডিআরও), দৈনিক বণিক বার্তা এবং সিনজেন্টা ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার (এসএফএসএ) যৌথভাবে ‘দক্ষিণ এশিয়ায় যুব উদ্যোক্তা ও কৃষি উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার আয়োজন করে। জুম মিটিংয়ে ওয়েবিনারটি ১৮ই সেপ্টেম্বর (শনিবার) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা বিষয় ছিলো ‘দক্ষিণ এশিয়ায় তরুণ উদ্যোক্তাদের চালক’। বক্তারা দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষিত তরুণদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর উচিত নিজেদেরকে ব্যবসার সাথে সংযুক্ত করা। এছাড়া বেকার সমস্যা সমাধানের তেমন কোনো উপায় নেই। বেকার সমস্যা সমাধান, কৃষি উন্নয়নবিষয়ক নানা বিষয়ে কথা হয় সেমিনারে।

ইডিআরও এর কার্যনির্বাহী পরিচালক তানজিল হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের এত বিশাল একটা বেকারত্বের অবসান ঘটাতে হলে উদ্যোক্তা হওয়ার বিকল্প নেই। তাই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে শিক্ষিত যুবকদের কৃষি ব্যবসায় যুক্ত হতে হবে।”

উক্ত ওয়েবিনারে সুরেশ বাবু মূল বক্তব্যে বলেন, “যুব ব্যবসা উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারী বিষয়গুলো হলো ব্যবসার অবকাঠামো, জমি ও বাজার ব্যবস্থায় অবাধে অংশগ্রহণ। রপ্তানি বাজারও ব্যবসার উদ্যোগ গ্রহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যুবকদের ব্যবসায় অংশগ্রহনে প্রভাব বিস্তার করে ঋন দান, নতুন ব্যবসার শুরু ও পরিচালনার উপর। নতুন উদ্যোক্তা তৈরীর জন্য প্রশিক্ষণ ও নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। বাজার ব্যবস্থায় যাতে গ্রামের ছোট ব্যবসায়িক অংশগ্রহন করতে পারে তার জন্য পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। এনজিও ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে প্রশিক্ষন প্রযুক্তি, কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সেবা দিতে হবে। উদ্যোক্তারা যে কৃষিপণ্য উৎপাদন করবে তার গুনগত মান মনিটরিং এর মাধ্যমে উন্নয়ন করতে হবে। একাডেমিক কারিকুলামে কৃষিব্যবসার সুযোগ ও অর্থায়ন সম্পর্কে কোর্স চালু করা যেতে পারে। সর্বোপরি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যবসায়িদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে কৃষি ব্যবসা বাড়াতে হবে।”

ব্রাক ব্যাংকের চেয়্যারম্যান আহসান এইচ মনসুর বলেন, “শিক্ষিত ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে, অর্থের সংস্থান বাড়াতে হবে।”

জনাব মেন্ডু শ্রীনিবাস বলেন, ‘ভারতে ৫০-৬০% লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল কিন্ত জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৭%।’ ড. ডিলিনি হেমচন্দ্র বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় ৩০% লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল কিন্ত জিডিপিতে অবদান মাত্র ৭% লোকের।’

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তানজিল হোসেন। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা (ইডিআরও) এর নির্বাহী পরিচালক।

এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পেরাদেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার ড. দিলিনী হেমচন্দ্র,পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এর নির্বাহী পরিচালক ড.আহসান এইচ মনসুর এবং ব্রাক ব্যাংক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মেন্ডু শ্রীনিবাস।

এছাড়াও সেমিনারটি তে উপস্থিত ছিলেন মো. ফরহাদ জামিল (কান্ট্রি ডিরেক্টর, সিনজেন্টা ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার), সুরেশ বাবু (হেড অব ক্যাপাসিটি স্ট্রেন্টিং অ্যান্ড সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র) এবং মো. হেলাল আহম্মেদ জনি, (রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, ইডিআরও, বাংলাদেশ)