শখের কফি বাগানে লাখ টাকা আয়

  • Update Time : ১২:২২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০
  • / 201

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি গ্রামে শখ করে কফি চাষে সফলতা পেয়েছেন মোখলেছুর রহমান। বাড়ির পাশে গড়ে তুলেছেন অ্যারাবিকা জাতের কফির বাগান। কফি ফল বিক্রি করে এরই মধ্যে লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি।

তারাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মোখলেছুর  রহমানের বাড়ি। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। কফি গাছ থেকে ফল তুলছেন। কাজের ফাঁকেই জানালেন কফি চাষের আদ্যোপান্ত।

মোখলেসুর জানান, স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে তার সংসার। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানির শো-রুমের জেলা পরিদর্শক। চাকরির পাশাপাশি তিনি কফি চাষ করছেন।

প্রতিটি গাছে দুই কেজি করে কফি ফল পাওয়া যাচ্ছে। ২০০ টাকা কেজি হিসেবে এ ফল চট্টগ্রামের কফি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন

প্রতিটি গাছে দুই কেজি করে কফি ফল পাওয়া যাচ্ছে। ২০০ টাকা কেজি হিসেবে এ ফল চট্টগ্রামের কফি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি দেশের পার্বত্য অঞ্চলে কফি চাষ হচ্ছে। আমি মনে করি- পার্বত্য অঞ্চলের মতো তারাগঞ্জেও তো উঁচু জমি আছে। এখানেও কফি চাষ করা সম্ভব। সেই ভাবনা থেকে শখ করে কফি চাষের পরিকল্পনা করি। ২০১৭ সালের মে মাসে চট্টগ্রামের জাহানারা গ্রিন অ্যাগ্রো ফার্মের মাধ্যমে ভারত থেকে অ্যারাবিকা জাতের কফি চারা এনে বাড়ির পাশে রোপণ করি।

মোখলেছুর আরো বলেন, আমার ২৮ শতক আয়তনের বাগানে ৪৫০টি কফি গাছ আছে। এ বাগান করতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিন বছর পর ভালো ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে দুই কেজি করে কফি ফল পাওয়া যাচ্ছে। ২০০ টাকা কেজি হিসেবে এ ফল চট্টগ্রামের কফি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে এক লাখ টাকার কফি ফল বিক্রি হয়েছে। গাছে আরো প্রায় এক লাখ টাকার কফি ফল আছে।

তারাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঊর্মি তাবাসসুম বলেন, কফি সাধারণত পাহাড়ি ফসল। উঁচু এবং যেখানে পানি জমে না, এমন সমতল জমিতে কফি চাষ করা যাবে। তারাগঞ্জের মাটি বেলে-দোআঁশ হওয়ায় কফি চাষের উপযোগী।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


শখের কফি বাগানে লাখ টাকা আয়

Update Time : ১২:২২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি গ্রামে শখ করে কফি চাষে সফলতা পেয়েছেন মোখলেছুর রহমান। বাড়ির পাশে গড়ে তুলেছেন অ্যারাবিকা জাতের কফির বাগান। কফি ফল বিক্রি করে এরই মধ্যে লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি।

তারাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মোখলেছুর  রহমানের বাড়ি। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। কফি গাছ থেকে ফল তুলছেন। কাজের ফাঁকেই জানালেন কফি চাষের আদ্যোপান্ত।

মোখলেসুর জানান, স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে তার সংসার। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানির শো-রুমের জেলা পরিদর্শক। চাকরির পাশাপাশি তিনি কফি চাষ করছেন।

প্রতিটি গাছে দুই কেজি করে কফি ফল পাওয়া যাচ্ছে। ২০০ টাকা কেজি হিসেবে এ ফল চট্টগ্রামের কফি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন

প্রতিটি গাছে দুই কেজি করে কফি ফল পাওয়া যাচ্ছে। ২০০ টাকা কেজি হিসেবে এ ফল চট্টগ্রামের কফি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি দেশের পার্বত্য অঞ্চলে কফি চাষ হচ্ছে। আমি মনে করি- পার্বত্য অঞ্চলের মতো তারাগঞ্জেও তো উঁচু জমি আছে। এখানেও কফি চাষ করা সম্ভব। সেই ভাবনা থেকে শখ করে কফি চাষের পরিকল্পনা করি। ২০১৭ সালের মে মাসে চট্টগ্রামের জাহানারা গ্রিন অ্যাগ্রো ফার্মের মাধ্যমে ভারত থেকে অ্যারাবিকা জাতের কফি চারা এনে বাড়ির পাশে রোপণ করি।

মোখলেছুর আরো বলেন, আমার ২৮ শতক আয়তনের বাগানে ৪৫০টি কফি গাছ আছে। এ বাগান করতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিন বছর পর ভালো ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে দুই কেজি করে কফি ফল পাওয়া যাচ্ছে। ২০০ টাকা কেজি হিসেবে এ ফল চট্টগ্রামের কফি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে এক লাখ টাকার কফি ফল বিক্রি হয়েছে। গাছে আরো প্রায় এক লাখ টাকার কফি ফল আছে।

তারাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঊর্মি তাবাসসুম বলেন, কফি সাধারণত পাহাড়ি ফসল। উঁচু এবং যেখানে পানি জমে না, এমন সমতল জমিতে কফি চাষ করা যাবে। তারাগঞ্জের মাটি বেলে-দোআঁশ হওয়ায় কফি চাষের উপযোগী।