‘সন্ত্রাসবাদ-দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছে ব্রিটেন-বাংলাদেশ’

  • Update Time : ০৩:৫১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০
  • / 191

 

লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবর রশীদ বলেছেন, ব্রিটেন ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক খুবই চমৎকার। এক্ষেত্রে উভয় দেশের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট ও আন্তরিক। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ, দুর্যোগ মোকাবেলাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশ যৌথভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত ৪৯তম সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রশীদ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠার পটভূমি তুলে ধরেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে পরবর্তীতে জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অংশ নেয়াসহ দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রশিদ বলেন, দেশের সশস্ত্র বাহিনী দেশ সুরক্ষার পাশাপাশি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

লন্ডন্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী ডিফেন্স অ্যাডভাইজার লে. কর্ণেল সোহেল আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আলোচনায় লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ পূনঃগঠনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকেও একটি আধুনিক ও চৌকষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জাতির জনকের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বের একটি অন্যতম আধুনিক বাহিনী হিসেবে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর উপর একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। হাইকমিশন আয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সাতজন বীর শ্রেষ্ট, সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


‘সন্ত্রাসবাদ-দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছে ব্রিটেন-বাংলাদেশ’

Update Time : ০৩:৫১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০

 

লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবর রশীদ বলেছেন, ব্রিটেন ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক খুবই চমৎকার। এক্ষেত্রে উভয় দেশের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট ও আন্তরিক। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ, দুর্যোগ মোকাবেলাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশ যৌথভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত ৪৯তম সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রশীদ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠার পটভূমি তুলে ধরেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে পরবর্তীতে জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অংশ নেয়াসহ দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রশিদ বলেন, দেশের সশস্ত্র বাহিনী দেশ সুরক্ষার পাশাপাশি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

লন্ডন্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী ডিফেন্স অ্যাডভাইজার লে. কর্ণেল সোহেল আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আলোচনায় লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ পূনঃগঠনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকেও একটি আধুনিক ও চৌকষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জাতির জনকের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বের একটি অন্যতম আধুনিক বাহিনী হিসেবে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর উপর একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। হাইকমিশন আয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সাতজন বীর শ্রেষ্ট, সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।