সুন্দরগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ

- Update Time : ০৫:৫০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
- / 214
এনামুল হক,সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ সহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নে সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ভাটি কাপাসিয়া ২ নং আশ্রয়ন প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি ও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দেয়া তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে ভাটি কাপাসিয়ার ২নং আশ্রয়ন প্রকল্প সম্পর্কে জানা যায়, ভাটি কাপাসিয়ায় ২নং আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১’শ টি ঘর বরাদ্দ থাকলেও সেখানে বসবাস ৫০টি পরিবারের বাকি ৪৯টি ঘরে মানুষ তো দূরে থাক ঘরে নেই কোন আসবাবপত্র ঘরগুলো জনশুন্য তালাবদ্ধ। বাকি ১টি ঘর। সে ঘরে মানুষ নয় বরং বসবাস করে গরু, ছাগল, মহিষ।
এই আশ্রয়ন প্রকল্পে চেয়ারম্যানের স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কেউ পেয়েছেন ঘর কেউবা হয়েছে যাযাবর।
অপরদিকে চেয়ারম্যান এবং তার ছোট ভাই (আয়নাল হক) একাধিক লোকের কাছে ঘর বরাদ্দ সহ বিভিন্ন ভাতা কার্ড করে দেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন নগদ টাকা তবে দেয়নি তাদের ঘর। অন্যদিকে, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড মহিলা ইউপি সদস্য সাজেদা বেগম তার শ্বাশুড়ি সায়েরা বেওয়ার নামে ঘর বরাদ্দ নিয়েছেন। অথচ সেই মহিলা ইউপি সদস্য’র রয়েছে দ্বিতল ভবন বাড়ী। তবে সেই আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে বাসাভাড়ায় থাকেন আলপনা বেগম ও তাঁর স্বামী মইনুল হোসেন।
স্থানীয় সুত্রে আরো জানা যায়, ভাটি কাপাসিয়ায় এমন ও অসহায় গরীব মানুষের বসবাস আছে যার ঘরে শিয়াল কুকুর অনায়াসে যাতায়াত করে এমনকি বৃষ্টি এলে ঘরের ভিতরে পানি পরে।কেউবা পরিবার নিয়ে বাস কওে রাস্তার ধারে ছোট্ট খুপরি ঘরে। দয়া হয়নি চেয়ারম্যান, মেম্বারের পায়নি তারা আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর। হাছেন আলী বলেন, আমি চেয়ারম্যানকে নিজে টাকা দিয়েছি ঘরের জন্য কিন্তু আমি এখন পর্যন্ত কোন ঘর পায়নি। শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘরের জন্য টাকা দিয়েছি এখন ঘরও নাই টাকা নাই।ভুক্তভোগীরা আরো অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান টাকা নিয়েছে কারো কাছে ৫হাজার কারো কাছে ৩ হাজার কারো কাছে ৭ হাজার ঘর দেয় নাই।
অন্যদিকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ফজলার রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু আমাকে চেয়ারম্যান অনেক অপমান ও অসন্মান করেন যেন তার কাছে আমার কোন দাম নাই। এসব ঘর বরাদ্দের বিষয়ে একাধিক বার কথা বলতে গেলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন ও মহিলা সদস্য সাজেদা বেগম ক্যামেরার সামনে এসে কথা বলতে রাজি হননি বরং তারা সাংবাদিকদেরকে হয়রানি করেছেন এবং বলেছেন কি করতে পারেন করেন দেখবো।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাকিল আহমেদ বলেন, খুব শীঘ্রই আমি ভাটি কাপাসিয়া যাবো এবং তদন্ত স্বাপেক্ষে ভুক্তভোগীদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী লুতফুল হাসান বলেন, তদন্ত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যদি ঘর বরাদ্দে টাকা নেয়ার বিষয়টি প্রমানিত হয় বা কোন অনিয়ম দূর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।