জর্ডানে বাংলাদেশিদের আন্দোলনে আতঙ্ক

  • Update Time : ০২:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০
  • / 206

কয়েকদিন যাবৎ জর্ডানের রামথা শহরে একটি কারখানায় বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন ও ধর্মঘট করছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ এখন তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে। বিবিসি।

জর্ডানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান জানিয়েছেন, শহরটির আল হাসান শিল্প এলাকায় অবস্থিত ক্লাসিক ফ্যাশন অ্যপারেলে এই আন্দোলন চলার সময় কিছু ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে।

জর্ডানে বাংলাদেশ থেকে পুরুষ শ্রমিক নেবার ব্যাপারে আগ্রহ কম। কারণ তাদের বিরুদ্ধে এর আগে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এছাড়া একটি ডাস্টবিনে একজন বাংলাদেশি নারী অভিবাসীর মরদেহ পাওয়া গেছে যা নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পোশাক শ্রমিকরা তাকে নিজেদের একজন দাবি করে এনিয়ে ক্ষোভ এবং আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন।

আম্মানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় কোন বাংলাদেশি আটক হননি, তবে ঘটনা সামাল দিতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

দেশটির সবচেয়ে বড় তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান এই ক্লাসিক ফ্যাশন অ্যপারেল। কারখানার শ্রমিকদের বেশিরভাগ নেয়া হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সেখানে তিরিশ হাজারের মতো শ্রমিক রয়েছে।

দেশটিতে মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা দেয় এমন একটি সংস্থা তামকিন ফর লিগাল এইড অ্যন্ড হিউম্যান রাইটস বলছে, এই শ্রমিকদের অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি নারী শ্রমিক। দূতাবাসের তথ্যমতে জর্ডানে আনুমানিক ৭০ হাজারের মতো বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে যার অর্ধেকের বেশি পোশাক শ্রমিক।

আম্মানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান জানিয়েছেন, দূতাবাস কর্মকর্তারা শ্রমিকদের সাথে কথা বলার পর যতটুকু বুঝতে পেরেছেন, বিচ্ছিন্ন কতগুলো ঘটনা পরপর ঘটেছে। যার সাথে বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের কোন সম্পর্ক না থাকলেও শ্রমিকদের বিষয়টি আতঙ্কিত করে তুলেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জর্ডানে বাংলাদেশিদের আন্দোলনে আতঙ্ক

Update Time : ০২:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০

কয়েকদিন যাবৎ জর্ডানের রামথা শহরে একটি কারখানায় বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন ও ধর্মঘট করছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ এখন তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে। বিবিসি।

জর্ডানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান জানিয়েছেন, শহরটির আল হাসান শিল্প এলাকায় অবস্থিত ক্লাসিক ফ্যাশন অ্যপারেলে এই আন্দোলন চলার সময় কিছু ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে।

জর্ডানে বাংলাদেশ থেকে পুরুষ শ্রমিক নেবার ব্যাপারে আগ্রহ কম। কারণ তাদের বিরুদ্ধে এর আগে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এছাড়া একটি ডাস্টবিনে একজন বাংলাদেশি নারী অভিবাসীর মরদেহ পাওয়া গেছে যা নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পোশাক শ্রমিকরা তাকে নিজেদের একজন দাবি করে এনিয়ে ক্ষোভ এবং আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন।

আম্মানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় কোন বাংলাদেশি আটক হননি, তবে ঘটনা সামাল দিতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

দেশটির সবচেয়ে বড় তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান এই ক্লাসিক ফ্যাশন অ্যপারেল। কারখানার শ্রমিকদের বেশিরভাগ নেয়া হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সেখানে তিরিশ হাজারের মতো শ্রমিক রয়েছে।

দেশটিতে মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা দেয় এমন একটি সংস্থা তামকিন ফর লিগাল এইড অ্যন্ড হিউম্যান রাইটস বলছে, এই শ্রমিকদের অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি নারী শ্রমিক। দূতাবাসের তথ্যমতে জর্ডানে আনুমানিক ৭০ হাজারের মতো বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে যার অর্ধেকের বেশি পোশাক শ্রমিক।

আম্মানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান জানিয়েছেন, দূতাবাস কর্মকর্তারা শ্রমিকদের সাথে কথা বলার পর যতটুকু বুঝতে পেরেছেন, বিচ্ছিন্ন কতগুলো ঘটনা পরপর ঘটেছে। যার সাথে বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের কোন সম্পর্ক না থাকলেও শ্রমিকদের বিষয়টি আতঙ্কিত করে তুলেছে।