পোষ্যবিড়াল

  • Update Time : ০১:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
  • / 232
মেঘমতী মৌ:
মেয়েটির নাম তন্দ্রা।সবেমাত্র চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে।বয়স আর কত হবে?সাত বা আট হতে পারে।তার বাবা একজন ছোট ব্যবসায়ী,আর মা একজন গৃহিণী।তন্দ্রার বাসা থেকে বিদ্যালয় ও বিদ্যালয় থেকে বাসা পর্যন্ত গন্তব্যস্থল।সে ভালোভাবে পড়াশোনা করে,মা-বাবার কথামতো চলে।সে বই পড়তে ভালোবাসে।সে খুব ভালো নাচতে পারে। একদিন এক বর্ষাকালের কথা ।তন্দ্রা সেদিন বিদ্যালয় থেকে একা একা বাসায় আসতে নেয়।তার আসার সময় প্রচুর বৃষ্টির জন্য সে ছাতা নিয়ে আসতে থাকে।
.
সে রাস্তায় জমে যাওয়া পানি দেখতে থাকে।জমা পানির বিষয়টা নতুনের মতো লাগে।সে তার কালো জুতা ও মোজা নিয়েই পানিতে লাফালাফি করে।তার জমে যাওয়া পানির স্র্রোতটা ভালো লাগে,যদিও পানিটা ছিল ময়লা।লাফালাফির সময় তার ছাতা কিছুটা তার মাথা থেকে সরে যায়।তার মাথায় বৃষ্টি ফোঁটা পড়ে।সে একবার খেলার ছলে মাথা থেকে ছাতা সরিয়ে বৃষ্টির পানি উপভোগ করে,আবার ময়লা পানিতে একটি লাফ দেয়।এমন সময় সে একটি অর্ধ ভিজেভিজে বিড়ালের বাচ্চা পায়।তার বিড়ালের প্রতি খুব মায়া হয়।সে বিড়ালটিকে কোলে নিতে নেয়। কিন্তু এক হাতে ছাতা,আর এক হাতে বিড়াল নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।সে তার বিদ্যালয়ের পোশাকে কোনোমতে বিড়ালকে কোলে নিয়ে হাঁটতে থাকে।
.
সে বাসায় এসে দেখে তার মা ঘরে নেই।সে চুপিচুপি ঘরে ঢুকে বিড়ালটিকে তার গামছা দিয়ে মুছিয়ে তার খাটের নিচে রেখে দেয়।তার মা জানতে পারে না।সে নিজে তাড়াতাড়ি করে গোসল করে ।কিছুক্ষণ পর তার মা ঘরে এসে তন্দ্রাকে বলে– তন্দ্রা,তোমার কাপড়-চোপড় ও জুতাতে কাঁদা কেন? বৃষ্টিতে ভিঁজেছিলাম। কেন ,ছাতা নিয়ে যাসনি? নিয়েছিলাম।কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজেছি। তুই জানিস না,বৃষ্টিতে ভিজলে তোর ঠান্ডা লাগবে? আর করব না।একদিন বৃষ্টিতে গোসল করলে কিছু হয় না। বৃষ্টিতে গোসল পরে আর করবি না। ঠিক আছে।
.
খাবার পরিবেশন করা আছে।খেয়ে নে। হুম। তন্দ্রা খাবার নিয়ে সরাসরি তার ঘরে চলে যায়।সে ঘরে ঢুকে আলতোভাবে খাটের নিচে থেকে বিড়ালটিকে বের করে।সে তার খাবার থেকে কিছু অংশ বিড়ালকে দেয়।বিড়াল খাবার শেষ করলে সে আবার বিড়ালটিকে খাটের নিচে একটি রশিতে আটকে দেয়।সে তারপর স্থীরভাবে ঘর থেকে বের হয় ও মাকে বলে– মা,কি করো? কিছু না।খাবার খেয়েছিস। হুম। দরজা বন্ধ করেছিলি কেন?
.
এমনেই।একটু একা নিরিবিলি খেতে মন চেয়েছিল। আর দরজা বন্ধ করবি না। বুঝতে পারছি। তারপর তন্দ্রা পড়ার জন্য টেবিলে যায়।দুপুরের সময়টা সে বিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে।বিকালে তার একজন শিক্ষিকা পড়াতে আসে।শিক্ষিকার কথাবার্তা তন্দ্রার ভালো লাগে।সে শিক্ষিকার সব কথা শোনে।তবে আজকে কথার ছলে তন্দ্রা তার শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করে– মেম,একটি প্রশ্ন ছিল। কি প্রশ্ন? মেম,বিড়াল মানে কি? বিড়াল একটি পশুর অর্ন্তভুক্ত। বিড়াল নামটি কীভাবে আসে ? বিড়াল শব্দটি cat বলা হয়ে থাকে।তবে ল্যাটিন শব্দ cattus থেকে এসেছে। বিড়াল কি আগে গৃহপালিত ছিল? না।বিড়াল খ্রিষ্টপূর্ব ৭৫০০ সালে প্রথম গৃহে পালন করা শুরু হয়েছিল। বিড়ালের কি কোনো ইতিহাস ছিল? হুম।খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০০ সালে মিশরের বিড়ালকে পূজা করা হতো।
.
প্রথম বিড়ালের গৃহপালিত সংখ্যা কত ছিল? যুক্তরাষ্ট্রে ৪২.৭ মিলিয়ন গৃহপালিত বিড়ালের সংখ্যা ছিল। বিড়ালের আকার কেমন? এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৬ সে.মি,আর উচ্চতা প্রায় ২৩-২৫ সে.মি। বিড়াল কি কি খাবার খায়? বিড়াল মাংসাশী প্রাণী।সব ধরণের খাবার খেতে পছন্দ করে।তবে দুধ খাবারটা তাঁদের প্রিয়। ধন্যবাদ ,মেম। বল তো,আজকে কেন আমাকে বিড়ালের প্রশ্ন করেছো? একটু জানতে মন চেয়েছে। ও আচ্ছা। তন্দ্রা তার শিক্ষিকা যাওয়ার পর ভাবতে থাকে,বিড়াল ভালো ও ভদ্র প্রাণী।তন্দ্রার কাছে বিড়ালটা খুব শান্ত।তন্দ্রা শান্তবিড়ালটাকে অনেক পছন্দ করে।তন্দ্রার কোনো ভালো বন্ধু নেই।তবু তন্দ্রার বন্ধু হিসেবে বিড়ালকে বেছে নেয়।রাতে পড়াশোনার সময় বিড়ালের আওয়াজ শোনে তন্দ্রার ঘরে তার মা আসে- তন্দ্রা ,বিড়ালের আওয়াজ পাচ্ছিস? হুম.. বিড়াল কোথা থেকে ডাকছে? জানালা পাশে থেকে ডাকছে। আমার মনে হয় ঘর থেকে ডাকছে। আরে না।
.
ঘরে বিড়াল আসবে কীভাবে? সত্যি কথা বলছিস নাকি? হুম।আমি সবসময় সত্য কথা বলিস। তন্দ্রার মা ঘর থেকে যাওযার পর কিছুক্ষণ তন্দ্রার ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ্য করে।তার মা কিছুটা বিচলিত থাকে।তার তন্দ্রার বিষয়ে শুধু শুধু দুুঃচিন্তা হতে থাকে। রাত ১০ টায় তন্দ্রার বাবা আসে।তন্দ্রার বাবা একজন ছোট চাকুরীজীবী।তাই সে সারাদিন কাজ করে। তন্দ্রার পরিবর্তনের বিষয়ে তার মা তন্দ্রার বাবাকে সব বলে।তন্দ্রাকে তার বাবা ডাক দেয়- তন্দ্রা ,তুমি কই? বাবা,এই যে আমি। তুই কোথায় থাকিস? বাসায় থাকি। তুই নাকি পরিবর্তন হয়ে গেছিস? আমার সবকিছু ঠিক আছে।নাক নাকের জায়গায়,চোখ চোখের জায়গায় আছে। তোর কি কোনো সমস্যা হয়েছে? না। তোর কিছু কি লাগবে? না। খেতে বস। ঠিক আছে। তন্দ্রা তার বাবার সাথে খেতে বসেছে।তার বাবা তাকে খুব আদর করে।তার মা তাকে ভালোবাসে,কিন্তু একটু শাসন করে।তন্দ্রা দুজনের মন জয় করে চলাচল করে।কিন্তু কিছুক্ষণ পর একটি বিড়াল তাঁদের সামনে আসে।তন্দ্রার বাবা বলে- বিড়াল এসেছে কোন জায়গা থেকে? জানি না ,বাবা। সত্যি বল,তন্দ্রা। হয়তো জানালা থেকে এসেছে।
.
তন্দ্রা,মিথ্যা বলছ কেন? আসলে বাবা আমি রাস্তা থেকে এনেছি।বৃষ্টিতে ভিঁজে যদি জ্বর আসতে পারে বিড়ালটার।আর বর্ষাকারে চারপাশে পানি।ছোট বাচ্চা বিড়াল থাকবে কোথায়?সেজন্য আমি নিয়ে এসেছি। শোন,তোর কাজটা খারাপ না।তবে তোর মায়ের অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাবা.. তুই বিড়ালটা তোর কাছে রাখিস।বিড়ালটাকে অনেক আদর করবি। এ তো আমার ভদ্র বাবা। এবার খেয়ে নে ,বিড়ালটাকে ও খাবার দে। ঠিক আছে। তারপর থেকে তন্দ্রার কাছে বিড়ালটি থাকে।তন্দ্রা বিড়ালটিকে যত্ন করে।তন্দ্রা বিদ্যালয়ে গেলে তার মা বিড়ালটির যত্ন করে।তন্দ্রার সাথে বিড়ালের ভালো একটি সম্পর্ক গড়ে উঠে।আর তন্দ্রার দিন এভাবে কেটে যায়।
.
লেখক: শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল কলেজ।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পোষ্যবিড়াল

Update Time : ০১:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
মেঘমতী মৌ:
মেয়েটির নাম তন্দ্রা।সবেমাত্র চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে।বয়স আর কত হবে?সাত বা আট হতে পারে।তার বাবা একজন ছোট ব্যবসায়ী,আর মা একজন গৃহিণী।তন্দ্রার বাসা থেকে বিদ্যালয় ও বিদ্যালয় থেকে বাসা পর্যন্ত গন্তব্যস্থল।সে ভালোভাবে পড়াশোনা করে,মা-বাবার কথামতো চলে।সে বই পড়তে ভালোবাসে।সে খুব ভালো নাচতে পারে। একদিন এক বর্ষাকালের কথা ।তন্দ্রা সেদিন বিদ্যালয় থেকে একা একা বাসায় আসতে নেয়।তার আসার সময় প্রচুর বৃষ্টির জন্য সে ছাতা নিয়ে আসতে থাকে।
.
সে রাস্তায় জমে যাওয়া পানি দেখতে থাকে।জমা পানির বিষয়টা নতুনের মতো লাগে।সে তার কালো জুতা ও মোজা নিয়েই পানিতে লাফালাফি করে।তার জমে যাওয়া পানির স্র্রোতটা ভালো লাগে,যদিও পানিটা ছিল ময়লা।লাফালাফির সময় তার ছাতা কিছুটা তার মাথা থেকে সরে যায়।তার মাথায় বৃষ্টি ফোঁটা পড়ে।সে একবার খেলার ছলে মাথা থেকে ছাতা সরিয়ে বৃষ্টির পানি উপভোগ করে,আবার ময়লা পানিতে একটি লাফ দেয়।এমন সময় সে একটি অর্ধ ভিজেভিজে বিড়ালের বাচ্চা পায়।তার বিড়ালের প্রতি খুব মায়া হয়।সে বিড়ালটিকে কোলে নিতে নেয়। কিন্তু এক হাতে ছাতা,আর এক হাতে বিড়াল নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।সে তার বিদ্যালয়ের পোশাকে কোনোমতে বিড়ালকে কোলে নিয়ে হাঁটতে থাকে।
.
সে বাসায় এসে দেখে তার মা ঘরে নেই।সে চুপিচুপি ঘরে ঢুকে বিড়ালটিকে তার গামছা দিয়ে মুছিয়ে তার খাটের নিচে রেখে দেয়।তার মা জানতে পারে না।সে নিজে তাড়াতাড়ি করে গোসল করে ।কিছুক্ষণ পর তার মা ঘরে এসে তন্দ্রাকে বলে– তন্দ্রা,তোমার কাপড়-চোপড় ও জুতাতে কাঁদা কেন? বৃষ্টিতে ভিঁজেছিলাম। কেন ,ছাতা নিয়ে যাসনি? নিয়েছিলাম।কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজেছি। তুই জানিস না,বৃষ্টিতে ভিজলে তোর ঠান্ডা লাগবে? আর করব না।একদিন বৃষ্টিতে গোসল করলে কিছু হয় না। বৃষ্টিতে গোসল পরে আর করবি না। ঠিক আছে।
.
খাবার পরিবেশন করা আছে।খেয়ে নে। হুম। তন্দ্রা খাবার নিয়ে সরাসরি তার ঘরে চলে যায়।সে ঘরে ঢুকে আলতোভাবে খাটের নিচে থেকে বিড়ালটিকে বের করে।সে তার খাবার থেকে কিছু অংশ বিড়ালকে দেয়।বিড়াল খাবার শেষ করলে সে আবার বিড়ালটিকে খাটের নিচে একটি রশিতে আটকে দেয়।সে তারপর স্থীরভাবে ঘর থেকে বের হয় ও মাকে বলে– মা,কি করো? কিছু না।খাবার খেয়েছিস। হুম। দরজা বন্ধ করেছিলি কেন?
.
এমনেই।একটু একা নিরিবিলি খেতে মন চেয়েছিল। আর দরজা বন্ধ করবি না। বুঝতে পারছি। তারপর তন্দ্রা পড়ার জন্য টেবিলে যায়।দুপুরের সময়টা সে বিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে।বিকালে তার একজন শিক্ষিকা পড়াতে আসে।শিক্ষিকার কথাবার্তা তন্দ্রার ভালো লাগে।সে শিক্ষিকার সব কথা শোনে।তবে আজকে কথার ছলে তন্দ্রা তার শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করে– মেম,একটি প্রশ্ন ছিল। কি প্রশ্ন? মেম,বিড়াল মানে কি? বিড়াল একটি পশুর অর্ন্তভুক্ত। বিড়াল নামটি কীভাবে আসে ? বিড়াল শব্দটি cat বলা হয়ে থাকে।তবে ল্যাটিন শব্দ cattus থেকে এসেছে। বিড়াল কি আগে গৃহপালিত ছিল? না।বিড়াল খ্রিষ্টপূর্ব ৭৫০০ সালে প্রথম গৃহে পালন করা শুরু হয়েছিল। বিড়ালের কি কোনো ইতিহাস ছিল? হুম।খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০০ সালে মিশরের বিড়ালকে পূজা করা হতো।
.
প্রথম বিড়ালের গৃহপালিত সংখ্যা কত ছিল? যুক্তরাষ্ট্রে ৪২.৭ মিলিয়ন গৃহপালিত বিড়ালের সংখ্যা ছিল। বিড়ালের আকার কেমন? এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৬ সে.মি,আর উচ্চতা প্রায় ২৩-২৫ সে.মি। বিড়াল কি কি খাবার খায়? বিড়াল মাংসাশী প্রাণী।সব ধরণের খাবার খেতে পছন্দ করে।তবে দুধ খাবারটা তাঁদের প্রিয়। ধন্যবাদ ,মেম। বল তো,আজকে কেন আমাকে বিড়ালের প্রশ্ন করেছো? একটু জানতে মন চেয়েছে। ও আচ্ছা। তন্দ্রা তার শিক্ষিকা যাওয়ার পর ভাবতে থাকে,বিড়াল ভালো ও ভদ্র প্রাণী।তন্দ্রার কাছে বিড়ালটা খুব শান্ত।তন্দ্রা শান্তবিড়ালটাকে অনেক পছন্দ করে।তন্দ্রার কোনো ভালো বন্ধু নেই।তবু তন্দ্রার বন্ধু হিসেবে বিড়ালকে বেছে নেয়।রাতে পড়াশোনার সময় বিড়ালের আওয়াজ শোনে তন্দ্রার ঘরে তার মা আসে- তন্দ্রা ,বিড়ালের আওয়াজ পাচ্ছিস? হুম.. বিড়াল কোথা থেকে ডাকছে? জানালা পাশে থেকে ডাকছে। আমার মনে হয় ঘর থেকে ডাকছে। আরে না।
.
ঘরে বিড়াল আসবে কীভাবে? সত্যি কথা বলছিস নাকি? হুম।আমি সবসময় সত্য কথা বলিস। তন্দ্রার মা ঘর থেকে যাওযার পর কিছুক্ষণ তন্দ্রার ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ্য করে।তার মা কিছুটা বিচলিত থাকে।তার তন্দ্রার বিষয়ে শুধু শুধু দুুঃচিন্তা হতে থাকে। রাত ১০ টায় তন্দ্রার বাবা আসে।তন্দ্রার বাবা একজন ছোট চাকুরীজীবী।তাই সে সারাদিন কাজ করে। তন্দ্রার পরিবর্তনের বিষয়ে তার মা তন্দ্রার বাবাকে সব বলে।তন্দ্রাকে তার বাবা ডাক দেয়- তন্দ্রা ,তুমি কই? বাবা,এই যে আমি। তুই কোথায় থাকিস? বাসায় থাকি। তুই নাকি পরিবর্তন হয়ে গেছিস? আমার সবকিছু ঠিক আছে।নাক নাকের জায়গায়,চোখ চোখের জায়গায় আছে। তোর কি কোনো সমস্যা হয়েছে? না। তোর কিছু কি লাগবে? না। খেতে বস। ঠিক আছে। তন্দ্রা তার বাবার সাথে খেতে বসেছে।তার বাবা তাকে খুব আদর করে।তার মা তাকে ভালোবাসে,কিন্তু একটু শাসন করে।তন্দ্রা দুজনের মন জয় করে চলাচল করে।কিন্তু কিছুক্ষণ পর একটি বিড়াল তাঁদের সামনে আসে।তন্দ্রার বাবা বলে- বিড়াল এসেছে কোন জায়গা থেকে? জানি না ,বাবা। সত্যি বল,তন্দ্রা। হয়তো জানালা থেকে এসেছে।
.
তন্দ্রা,মিথ্যা বলছ কেন? আসলে বাবা আমি রাস্তা থেকে এনেছি।বৃষ্টিতে ভিঁজে যদি জ্বর আসতে পারে বিড়ালটার।আর বর্ষাকারে চারপাশে পানি।ছোট বাচ্চা বিড়াল থাকবে কোথায়?সেজন্য আমি নিয়ে এসেছি। শোন,তোর কাজটা খারাপ না।তবে তোর মায়ের অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাবা.. তুই বিড়ালটা তোর কাছে রাখিস।বিড়ালটাকে অনেক আদর করবি। এ তো আমার ভদ্র বাবা। এবার খেয়ে নে ,বিড়ালটাকে ও খাবার দে। ঠিক আছে। তারপর থেকে তন্দ্রার কাছে বিড়ালটি থাকে।তন্দ্রা বিড়ালটিকে যত্ন করে।তন্দ্রা বিদ্যালয়ে গেলে তার মা বিড়ালটির যত্ন করে।তন্দ্রার সাথে বিড়ালের ভালো একটি সম্পর্ক গড়ে উঠে।আর তন্দ্রার দিন এভাবে কেটে যায়।
.
লেখক: শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল কলেজ।