করোনায় সঙ্কটে শিক্ষাব্যবস্থা

  • Update Time : ০১:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
  • / 232
ইসরাত জাহান:
বৈশ্বিক মহামারী করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থা। কারোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এই বছরের প্রায় প্রথম থেকেই বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।বিভিন্ন পরীক্ষার সময় পিছিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এটি নিয়ে কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।কবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে,কবে পরীক্ষা নেওয়া হবে এসব নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত না নেওয়ায় সন্তানদের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন অভিভাবকেরা। তবে শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনি জানিয়েছিলপন,”চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। সেই সঙ্গে পরের শিক্ষাবর্ষ কমিয়ে নয় মাস করার কথা ভাবা হচ্ছে।”
.
তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে নি।শিক্ষাকার্যক্রম চালু করার পর একটির পর একটি তারিখ ঘোষণা করা হলেও সেই তারিখ আসার পূর্বেই পূর্ববর্তী তারিখ পরিবর্তন করে নতুন তারিখ ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
.
দেশ পরিচালনার কারিগর তৈরির সবচেয়ে বড় উৎস বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।মহামারী করোনার জন্য থমকে আছে এই উৎস।চুপিসারে ঘুমিয়ে আছে শিক্ষা কার্যক্রম।প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতির বিবেকের সাথে তুলনা করা হয়।মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বন্ধ,নিস্তেজ হয়ে গেল জাতির বিবেক।
.
২০০৯সালের পূর্বে প্রতিষ্ঠানভেদে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট ছিল দেড় থেকে দুই বছরের ও বেশি।কিন্তু ২০১২ সালের মধ্যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেশনজট হয়েছে উধাও।কিন্তু COVID-19 এর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবারও এই কালো ছায়া পরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।গত ১৭ই মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
.
শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে স্কুল-কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও,বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।সিদ্ধান্তহীনতার কারণে গত প্রায় ৮মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের উপর চিন্তার পাহাড় নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সরকারের উচিত খুব দ্রুত কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়া।
.
লেখক: শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


করোনায় সঙ্কটে শিক্ষাব্যবস্থা

Update Time : ০১:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
ইসরাত জাহান:
বৈশ্বিক মহামারী করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থা। কারোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এই বছরের প্রায় প্রথম থেকেই বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।বিভিন্ন পরীক্ষার সময় পিছিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এটি নিয়ে কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।কবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে,কবে পরীক্ষা নেওয়া হবে এসব নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত না নেওয়ায় সন্তানদের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন অভিভাবকেরা। তবে শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনি জানিয়েছিলপন,”চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। সেই সঙ্গে পরের শিক্ষাবর্ষ কমিয়ে নয় মাস করার কথা ভাবা হচ্ছে।”
.
তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে নি।শিক্ষাকার্যক্রম চালু করার পর একটির পর একটি তারিখ ঘোষণা করা হলেও সেই তারিখ আসার পূর্বেই পূর্ববর্তী তারিখ পরিবর্তন করে নতুন তারিখ ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
.
দেশ পরিচালনার কারিগর তৈরির সবচেয়ে বড় উৎস বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।মহামারী করোনার জন্য থমকে আছে এই উৎস।চুপিসারে ঘুমিয়ে আছে শিক্ষা কার্যক্রম।প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতির বিবেকের সাথে তুলনা করা হয়।মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বন্ধ,নিস্তেজ হয়ে গেল জাতির বিবেক।
.
২০০৯সালের পূর্বে প্রতিষ্ঠানভেদে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট ছিল দেড় থেকে দুই বছরের ও বেশি।কিন্তু ২০১২ সালের মধ্যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেশনজট হয়েছে উধাও।কিন্তু COVID-19 এর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবারও এই কালো ছায়া পরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।গত ১৭ই মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
.
শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে স্কুল-কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও,বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।সিদ্ধান্তহীনতার কারণে গত প্রায় ৮মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের উপর চিন্তার পাহাড় নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সরকারের উচিত খুব দ্রুত কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়া।
.
লেখক: শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ।