রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান অব্যাহত থাকবে : শাহরিয়ার

  • Update Time : ০৪:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০
  • / 205

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আদালতের রায় কার্যকর করতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য মার্কিন প্রশাসনকে অনুরোধ করা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ।

গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো গভীর ও প্রসারিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ রোববার প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করি, মার্কিন প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো গণতান্ত্রিক দেশ কোনো হত্যাকারীকে আশ্রয় দেবে না বা একজন ঘাতককে সমর্থন করবে না।’

শাহরিয়ার বলেন, ‘অতীতেও মার্কিন সরকারকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল এবং রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রত্যাশা আরো বাড়ছে।’

উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগানের বাংলাদেশ সফরের সময়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, স্বস্বীকৃত খুনি রাশেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র কোনো হত্যাকারীদের আবাসভূমি হতে পারে না।

সেসময় বিগান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরীকে স্বদেশ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও তাদের বৈঠকে মার্কিন উপপররাষ্ট্র সচিবের কাছেও বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন এবং হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরীকে স্বদেশ প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চেয়েছিলেন।

রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি দল গত ১০ বছরে ক্ষমতায় ছিল এবং উভয় সরকারের প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক ছিল।

অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘কিছু সাধারণ ক্ষেত্রে (সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ থাকবে।’

টিকফায় বাংলাদেশের তেমন কোনো সুবিধা পায় না। তবে আগামীতে বাংলাদেশি পণ্য বিশ্ববাজারে কোনো বৈষম্য দেখবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।

জো বাইডেনকে পাঠানো এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, আমি আপনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, হিংস্র উগ্রবাদ, বিদ্বেষ, রোহিঙ্গাদের মতো জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতকরণের মতো ঘটনা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা এবং কার্যকর ও উন্নত বিশ্ব তৈরিতে কাজ করতে চাই।’

জো বাইডেন এবং দেশটির ফার্স্ট লেডি ড. জিল বাইডেনকে বাংলাদেশে আসার জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ তার নিজের প্রচেষ্টা, জনগণের সামর্থ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধু রাষ্ট্রের সমর্থন পেয়ে দেশের সামগ্রিক যে অগ্রগতি হয়েছে, তা পরিদর্শন ও জানার জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান অব্যাহত থাকবে : শাহরিয়ার

Update Time : ০৪:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আদালতের রায় কার্যকর করতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য মার্কিন প্রশাসনকে অনুরোধ করা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ।

গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো গভীর ও প্রসারিত হয়েছে উল্লেখ করে আজ রোববার প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করি, মার্কিন প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো গণতান্ত্রিক দেশ কোনো হত্যাকারীকে আশ্রয় দেবে না বা একজন ঘাতককে সমর্থন করবে না।’

শাহরিয়ার বলেন, ‘অতীতেও মার্কিন সরকারকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল এবং রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রত্যাশা আরো বাড়ছে।’

উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগানের বাংলাদেশ সফরের সময়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, স্বস্বীকৃত খুনি রাশেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র কোনো হত্যাকারীদের আবাসভূমি হতে পারে না।

সেসময় বিগান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরীকে স্বদেশ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও তাদের বৈঠকে মার্কিন উপপররাষ্ট্র সচিবের কাছেও বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন এবং হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরীকে স্বদেশ প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চেয়েছিলেন।

রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি দল গত ১০ বছরে ক্ষমতায় ছিল এবং উভয় সরকারের প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক ছিল।

অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘কিছু সাধারণ ক্ষেত্রে (সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ থাকবে।’

টিকফায় বাংলাদেশের তেমন কোনো সুবিধা পায় না। তবে আগামীতে বাংলাদেশি পণ্য বিশ্ববাজারে কোনো বৈষম্য দেখবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।

জো বাইডেনকে পাঠানো এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, আমি আপনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, হিংস্র উগ্রবাদ, বিদ্বেষ, রোহিঙ্গাদের মতো জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতকরণের মতো ঘটনা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা এবং কার্যকর ও উন্নত বিশ্ব তৈরিতে কাজ করতে চাই।’

জো বাইডেন এবং দেশটির ফার্স্ট লেডি ড. জিল বাইডেনকে বাংলাদেশে আসার জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ তার নিজের প্রচেষ্টা, জনগণের সামর্থ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধু রাষ্ট্রের সমর্থন পেয়ে দেশের সামগ্রিক যে অগ্রগতি হয়েছে, তা পরিদর্শন ও জানার জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি।