চাঁদপুরে ভাতিজা হত্যা মামলায় চাচাসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

  • Update Time : ০৩:২৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০
  • / 263

চাঁদপুরে শিশু মাহিব হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক। রোববার বিকেলে বিচারক এস এম জিয়াউর রহমান এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জামাল হোসেন ও সজিব আলম। জামাল মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘোনা এলাকার প্রধানীয়া বাড়ির মুকবুল হোসের ছেলে এবং সজিব একই এলাকার সহিদ উল্ল্যাহর ছেলে।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর দুপুরে মাহিব ঘোনা স্কুল মাঠে খেলতে যায়। সন্ধ্যার পরেও সে আর বাসায় ফিরে না আসলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাহিবকে আর পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় জেঠা জামাল হোসেন ৪ ডিসেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু কোথাও তার হদিস পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয় যুবক সজিব হোসেনকে আটক করে পুলিশ। সজিবের দেয়া তথ্য মতে ঘটনার সাতদিন পর ১০ ডিসেম্বর বাড়ির পাশের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে মাহিবের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সজিবের স্বীকারোক্তিমূলক জবাবন্দিতে জেঠা জামাল হোসেনের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপর দীর্ঘ শুনানি এবং ২৫ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য শেষে রোববার বিকেলে বিচারক দুই আসামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন।

মাহিবের বাবা মো. মাসুদ রানা বলেন, বড় ভাই জামাল হোসেনের সঙ্গে আমার ছেলের কথা কটাকাটি হয়। এর জের ধরেই আমার আদরের ছেলেকে খুন করে আমার ভাই। দীর্ঘ দুই বছর অপেক্ষা করেছি ন্যায় বিচারের আশায়। ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন সরকারের কাছে দাবি যেন দ্রুত এ বিচারের রায় কার্যকর করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর রনজিত কুমার রায় চৌধুরী বলেন, জামাল হোসেন প্রথমে নিজে সাধু সাজার চেষ্টা করেছে কিন্তু পুলিশি তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে। শেষ অবদি সাজা হওয়ায় আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চাঁদপুরে ভাতিজা হত্যা মামলায় চাচাসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

Update Time : ০৩:২৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০

চাঁদপুরে শিশু মাহিব হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক। রোববার বিকেলে বিচারক এস এম জিয়াউর রহমান এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জামাল হোসেন ও সজিব আলম। জামাল মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘোনা এলাকার প্রধানীয়া বাড়ির মুকবুল হোসের ছেলে এবং সজিব একই এলাকার সহিদ উল্ল্যাহর ছেলে।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর দুপুরে মাহিব ঘোনা স্কুল মাঠে খেলতে যায়। সন্ধ্যার পরেও সে আর বাসায় ফিরে না আসলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাহিবকে আর পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় জেঠা জামাল হোসেন ৪ ডিসেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু কোথাও তার হদিস পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয় যুবক সজিব হোসেনকে আটক করে পুলিশ। সজিবের দেয়া তথ্য মতে ঘটনার সাতদিন পর ১০ ডিসেম্বর বাড়ির পাশের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে মাহিবের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সজিবের স্বীকারোক্তিমূলক জবাবন্দিতে জেঠা জামাল হোসেনের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপর দীর্ঘ শুনানি এবং ২৫ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য শেষে রোববার বিকেলে বিচারক দুই আসামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন।

মাহিবের বাবা মো. মাসুদ রানা বলেন, বড় ভাই জামাল হোসেনের সঙ্গে আমার ছেলের কথা কটাকাটি হয়। এর জের ধরেই আমার আদরের ছেলেকে খুন করে আমার ভাই। দীর্ঘ দুই বছর অপেক্ষা করেছি ন্যায় বিচারের আশায়। ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন সরকারের কাছে দাবি যেন দ্রুত এ বিচারের রায় কার্যকর করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর রনজিত কুমার রায় চৌধুরী বলেন, জামাল হোসেন প্রথমে নিজে সাধু সাজার চেষ্টা করেছে কিন্তু পুলিশি তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে। শেষ অবদি সাজা হওয়ায় আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।