মঙ্গলবার, সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আইন অনুসারে প্রথমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। এরপর স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে। যেহেতু বিচারাধীন বিষয়, তাই তার বিষয়ে কোর্টের আদেশ আমলে নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। মন্দ কাজ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। তিনি কোন দলের, কি পদবীধারী তা বিবেচনা করা হবে না।
এক প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন, যে কাউন্সিলরের কথা আপনারা জানতে চাচ্ছেন, সে অভিযোগ আমাদের কাছে নথিভুক্ত হয়েছে এবং প্রসেস হচ্ছে। সম্ভবত আইন অনুযায়ী আজকেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মামলায় গতকাল সোমবার হাজী সেলিমের ছেলে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফানের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। ৮তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে অভিযান চলে। ইরফানের বাসা থেকে বেশ কিছু অবৈধ জিনিস উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র, যেটা অবৈধ। সেটির কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া ৫-৬ লিটার মদ ও ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় বেশ কিছু বিয়ারের ক্যান।
অভিযান চালিয়ে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে ইরফানকে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডাদেশ দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। আর জাহিদুলকে অবৈধ ওয়াকিটকি বহনের দায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন ইরফান। বিদেশে লেখাপড়া করে আসা ইরফান বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের পরিচালকদের একজন।