বাবার অপমানের প্রতিশোধ নিতে শিশুকে নৌকায় বেঁধে ডুবিয়ে হত্যা

  • Update Time : ০৬:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
  • / 210

মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরায় মাহিদ নামে ৭ বছরের একটি শিশুকে নৌকায় বেঁধে ডুবিয়ে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ নবগঙ্গা নদীতে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুটির কোনো খোঁজ না পেয়ে রোববার সকাল থেকে আবারও তল্লাশি করছে।

সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর সকালে মাগুরার সদর উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের মজিরুল মোল্যার ছেলে মাহিদ নিখোঁজ হয়। ওই দিনই শিশুটির বাবা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

কিন্তু পরদিন মোবাইল ফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় তার কাছে। ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে ওই গ্রাম থেকেই অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া রোহান (১৪) নামে এক কিশোর এবং তার বাবা ইমরান আলি আসলামকে আটক করে।

পরে কিশোর রোহান পুলিশের কাছে স্বীকার করে, সে হনুমান দেখতে যাওয়ার কথা বলে মাহিদকে বাড়ির সামনে থেকে নিয়ে যায়। তাকে বাড়ির পাশের নবগঙ্গা নদীর ঘাটে নিয়ে আগে থেকে ভিড়িয়ে রাখা একটি ডিঙি নৌকায় বেঁধে ডুবিয়ে দেয়া হয়।

আটক রোহান নিখোঁজ শিশুটির প্রতিবেশী। কিছুদিন আগে রোহানের বাবাকে শিশু মাহিদের বাবা অপমান করায় তার প্রতিশোধ নিতে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।

তবে তাদের মধ্যে পুরনো কোনো শত্রুতা নেই বলে জানিয়েছেন নিখোঁজ মাহিদের চাচা নিরো মোল্যা।

মাগুরা সদর থানার এসআই আলমগীর হোসেন জানান, থানায় মামলা হয়নি। কেবল জিডির প্রেক্ষিতেই তদন্ত চলছে। আটক রোহানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালানোর পরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রোববার সকাল থেকে আবারও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাবার অপমানের প্রতিশোধ নিতে শিশুকে নৌকায় বেঁধে ডুবিয়ে হত্যা

Update Time : ০৬:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরায় মাহিদ নামে ৭ বছরের একটি শিশুকে নৌকায় বেঁধে ডুবিয়ে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ নবগঙ্গা নদীতে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুটির কোনো খোঁজ না পেয়ে রোববার সকাল থেকে আবারও তল্লাশি করছে।

সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর সকালে মাগুরার সদর উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের মজিরুল মোল্যার ছেলে মাহিদ নিখোঁজ হয়। ওই দিনই শিশুটির বাবা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

কিন্তু পরদিন মোবাইল ফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় তার কাছে। ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে ওই গ্রাম থেকেই অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া রোহান (১৪) নামে এক কিশোর এবং তার বাবা ইমরান আলি আসলামকে আটক করে।

পরে কিশোর রোহান পুলিশের কাছে স্বীকার করে, সে হনুমান দেখতে যাওয়ার কথা বলে মাহিদকে বাড়ির সামনে থেকে নিয়ে যায়। তাকে বাড়ির পাশের নবগঙ্গা নদীর ঘাটে নিয়ে আগে থেকে ভিড়িয়ে রাখা একটি ডিঙি নৌকায় বেঁধে ডুবিয়ে দেয়া হয়।

আটক রোহান নিখোঁজ শিশুটির প্রতিবেশী। কিছুদিন আগে রোহানের বাবাকে শিশু মাহিদের বাবা অপমান করায় তার প্রতিশোধ নিতে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।

তবে তাদের মধ্যে পুরনো কোনো শত্রুতা নেই বলে জানিয়েছেন নিখোঁজ মাহিদের চাচা নিরো মোল্যা।

মাগুরা সদর থানার এসআই আলমগীর হোসেন জানান, থানায় মামলা হয়নি। কেবল জিডির প্রেক্ষিতেই তদন্ত চলছে। আটক রোহানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালানোর পরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রোববার সকাল থেকে আবারও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।