চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সামনে গলা কেটে যুবককে হত্যা

  • Update Time : ০৯:২৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০
  • / 331

চাঁদপুর পৌরসভার ভোটগ্রহণ চলাকালে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে ইয়াছিন মোল্লা (১৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোহেলসহ কমপক্ষে ৬-৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

নিহত ইয়াছিন শহরের কোড়ালিয়া রোডের মো. হারুন মোল্লার ছেলে। হারুন মোল্লা গ্রামীণফোন সেন্টারের দারোয়ান। তার তিন ছেলের মধ্যে ইয়াছিন বড় এবং দর্জির কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে কেন্দ্রের ভেতরে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েলের সমর্থকরা নিজেদের মধ্যেই বড়-ছোট নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে সাঈদ নামের এক যুবক ইয়াছিনের গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করেন। তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ঢাকা পাঠান চিকিৎসক। ঢাকা নেয়ার পথে শহরতলী বাবুরহাট এলাকায় তিনি মারা যান।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, ওই যুবকের অবস্থা গুরুতর ছিল। ছুরিকাঘাতে তার গলার রগ কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ইয়াছিনের বাবা হারুন মোল্লা বলেন, আমার ছেলে যখন ভোটকেন্দ্রের সামনে আসে তখনই সহিংসতার মধ্যে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে ছুরিকাঘাত করেন কোড়ালিয়া এলাকার মফিজ মিজির ছেলে মো. শাহাদাত মিজি। এতে আমার ছেলের মৃত্যু হয়।

চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. নাসিম উদ্দিন বলেন, এটি কোনো নির্বাচনী সংঘাত নয়। নিজেদের মধ্যে বড়-ছোট নিয়ে সংঘর্ষে সাঈদ নামের এক যুবক ইয়াছিনের গলা ও শরীরে ছুরিকাঘাত করেন। চাঁদপুর সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেয়ার পথে ইয়াছিন মারা যান। ঘটনায় জড়িত সাঈদকে খুঁজছি আমরা। তাকে গ্রেফতার করা হবে।

সূত্রঃ জাগো নিউজ

 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সামনে গলা কেটে যুবককে হত্যা

Update Time : ০৯:২৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০

চাঁদপুর পৌরসভার ভোটগ্রহণ চলাকালে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে ইয়াছিন মোল্লা (১৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোহেলসহ কমপক্ষে ৬-৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

নিহত ইয়াছিন শহরের কোড়ালিয়া রোডের মো. হারুন মোল্লার ছেলে। হারুন মোল্লা গ্রামীণফোন সেন্টারের দারোয়ান। তার তিন ছেলের মধ্যে ইয়াছিন বড় এবং দর্জির কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে কেন্দ্রের ভেতরে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েলের সমর্থকরা নিজেদের মধ্যেই বড়-ছোট নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে সাঈদ নামের এক যুবক ইয়াছিনের গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করেন। তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ঢাকা পাঠান চিকিৎসক। ঢাকা নেয়ার পথে শহরতলী বাবুরহাট এলাকায় তিনি মারা যান।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, ওই যুবকের অবস্থা গুরুতর ছিল। ছুরিকাঘাতে তার গলার রগ কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ইয়াছিনের বাবা হারুন মোল্লা বলেন, আমার ছেলে যখন ভোটকেন্দ্রের সামনে আসে তখনই সহিংসতার মধ্যে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে ছুরিকাঘাত করেন কোড়ালিয়া এলাকার মফিজ মিজির ছেলে মো. শাহাদাত মিজি। এতে আমার ছেলের মৃত্যু হয়।

চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. নাসিম উদ্দিন বলেন, এটি কোনো নির্বাচনী সংঘাত নয়। নিজেদের মধ্যে বড়-ছোট নিয়ে সংঘর্ষে সাঈদ নামের এক যুবক ইয়াছিনের গলা ও শরীরে ছুরিকাঘাত করেন। চাঁদপুর সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেয়ার পথে ইয়াছিন মারা যান। ঘটনায় জড়িত সাঈদকে খুঁজছি আমরা। তাকে গ্রেফতার করা হবে।

সূত্রঃ জাগো নিউজ