উইগুর নির্যাতনে চীনকে সাহায্য করছে প্রায় ৩০টি দেশ

  • Update Time : ১১:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
  • / 167

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

শুধু জিনজিয়াং প্রদেশে নয়, বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশে উইগুরদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে চীন। ওইসব দেশের সরকার মূলত বেইজিংয়ের ক্ষমতা এবং প্রভাবকে ভয় পায়।

‘নো স্পেস লেফট টু রান’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উইগুরদের ওপর চীনের দমন-পীড়ন আর তাদের কণ্ঠ রোধ করানোর জন্য চীন যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছে তা উঠে এসেছে।

রাইটস গ্রুপ অক্সাস সোসাইটি ফর সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স এবং উইগুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্ট যৌথভাবে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশ উইগুরদের হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শনের সঙ্গে জড়িত। মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো এক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ উদাহরণ।

অক্সাস সোসাইটির গবেষণা পরিচালক এবং প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক ব্র্যাডলি জার্ডাইন ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, বেইজিং অন্যান্য দেশে বসবাসকারী উইগুরদের ভয় দেখানোর জন্য বেশ কয়েকটি পদ্ধতি ব্যবহার করে, যার মধ্যে স্পাইওয়্যার ব্যবহার এবং হ্যাকিং থেকে শুরু করে ইন্টারপোলের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাল নোটিশ প্রকাশ করা পর্যন্ত সবকিছু রয়েছে।

তিনি ইমেইলের মাধ্যমে ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, ২০১৭ সাল থেকে বিদেশি ভিন্নমতকে স্তব্ধ করানোর সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি হচ্ছে চীনের সীমানার মধ্যে বসবাসকারী একজন ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনকে আটকের হুমকি দেওয়া।

জার্ডাইন বলেন, উইগুরদের ওপর আন্তর্জাতিক দমনপীড়নের সবচেয়ে বড় অপরাধী হচ্ছে পাকিস্তান, মিশর, সৌদি আরব এবং তুরস্কের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।

প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানে এ ধরনের প্রথম ঘটনা ঘটে, যখন পাকিস্তান সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অভিযুক্ত ১৪ উইগুরকে বেইজিংয়ে নির্বাসিত করে। চীনে পৌঁছানোর পর ১৪ জনকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে চীন ২৩টি দেশের ৮৫১ জনেরও বেশি উইগুরকে চীনের হাতে তুলে দিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে বেইজিংয়ের কর্মকাণ্ড নাটকীয়ভাবে প্রসারিত হয়েছে, যার ফলে কমপক্ষে ৬৯৫ জন উইগুরকে ১৫টি পৃথক দেশ থেকে চীন আটক করতে পেরেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

উইগুর নির্যাতনে চীনকে সাহায্য করছে প্রায় ৩০টি দেশ

Update Time : ১১:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

শুধু জিনজিয়াং প্রদেশে নয়, বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশে উইগুরদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে চীন। ওইসব দেশের সরকার মূলত বেইজিংয়ের ক্ষমতা এবং প্রভাবকে ভয় পায়।

‘নো স্পেস লেফট টু রান’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উইগুরদের ওপর চীনের দমন-পীড়ন আর তাদের কণ্ঠ রোধ করানোর জন্য চীন যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছে তা উঠে এসেছে।

রাইটস গ্রুপ অক্সাস সোসাইটি ফর সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স এবং উইগুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্ট যৌথভাবে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশ উইগুরদের হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শনের সঙ্গে জড়িত। মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো এক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ উদাহরণ।

অক্সাস সোসাইটির গবেষণা পরিচালক এবং প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক ব্র্যাডলি জার্ডাইন ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, বেইজিং অন্যান্য দেশে বসবাসকারী উইগুরদের ভয় দেখানোর জন্য বেশ কয়েকটি পদ্ধতি ব্যবহার করে, যার মধ্যে স্পাইওয়্যার ব্যবহার এবং হ্যাকিং থেকে শুরু করে ইন্টারপোলের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাল নোটিশ প্রকাশ করা পর্যন্ত সবকিছু রয়েছে।

তিনি ইমেইলের মাধ্যমে ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, ২০১৭ সাল থেকে বিদেশি ভিন্নমতকে স্তব্ধ করানোর সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি হচ্ছে চীনের সীমানার মধ্যে বসবাসকারী একজন ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনকে আটকের হুমকি দেওয়া।

জার্ডাইন বলেন, উইগুরদের ওপর আন্তর্জাতিক দমনপীড়নের সবচেয়ে বড় অপরাধী হচ্ছে পাকিস্তান, মিশর, সৌদি আরব এবং তুরস্কের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।

প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানে এ ধরনের প্রথম ঘটনা ঘটে, যখন পাকিস্তান সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অভিযুক্ত ১৪ উইগুরকে বেইজিংয়ে নির্বাসিত করে। চীনে পৌঁছানোর পর ১৪ জনকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে চীন ২৩টি দেশের ৮৫১ জনেরও বেশি উইগুরকে চীনের হাতে তুলে দিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে বেইজিংয়ের কর্মকাণ্ড নাটকীয়ভাবে প্রসারিত হয়েছে, যার ফলে কমপক্ষে ৬৯৫ জন উইগুরকে ১৫টি পৃথক দেশ থেকে চীন আটক করতে পেরেছে।