মিনা পাল থেকে মিষ্টি মেয়ে হওয়ার গল্প
- Update Time : ০৫:০০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
- / 211
পাপ্পু কুমার:
সারাহ বেগম কবরী বা মিনা পাল তিনি সফল একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র পরিচালক এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি বিংশ শতাব্দীর ষাট ও সত্তরের দশকের বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের নায়িকা ছিলেন।২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ -৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
আসল নাম মিনা পাল ১৯৫০ সালের ১৯শে জুলাই চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলাতে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মস্থান বোয়ালখালী হলেও তিনি শৈশব ও কৈশোর বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম নগরীতে। তার পিতা শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল এবং মা শ্রীমতি লাবণ্য প্রভা পাল। কবরী প্রথমে চিত্ত চৌধুরীকে বিয়ে করেন। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি সফিউদ্দীন সরোয়ারকে বিয়ে করেন। ২০০৮ সালে তাঁদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী পাঁচ সন্তানের মা ছিলেন।
১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে তার জীবন শুরু করেন। তিনি একটি অভিনয় ও আজীবন সম্মাননাসহ দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছয়টি বাচসাস পুরস্কার এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্নাননা পুরস্কার অর্জন করেছেন।
১৯৬৪ সালে সুতরাং চলচ্চিত্রে কবরী
এক নজরে কবরী
১৯৬৪ সালে সুতরাং চলচ্চিত্রে কবরী
জন্ম মিনা পাল
১৯ জুলাই ১৯৫০
বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
মৃত্যু ১৭ এপ্রিল ২০২১ (বয়স ৭০)
ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তা বাংলাদেশ
অন্যান্য নাম সারাহ বেগম কবরী, কবরী সারোয়ার
পেশা অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ
কর্মজীবন ১৯৬৪–২০২১
দাম্পত্য সঙ্গী চিত্ত চৌধুরী, সফিউদ্দীন সারোয়ার (১৯৭৮-২০০৮)
সন্তান ৫
পিতা-মাতা শ্রীকৃষ্ণদাস পাল
লাবণ্য প্রভা পাল।
কবরীর (১৯৬৪) চলচ্চিত্রে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘ সুতরাং’ ছবির অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয়। এরপর অভিনয় করেছেন হীরামন, ময়নামতি, চোরাবালি, পারুলের সংসার, বিনিময়, আগন্তুক -সহ জহির রায়হানের তৈরি উর্দু ছবি ‘বাহানা’ এবং ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উল্লেখযোগ্য।
তবে কবরী ‘বাহানা’ ও ‘সোয়া নদীয়া জাগে পানি’ এবং লোককাহিনি নির্ভর ‘সাত ভাই চাম্পা’ (১৯৬৮) দিয়ে সফল ভাবে সফলতা অর্জন করেন। তাছাড়াও আবির্ভাব (১৯৬৮)চলচ্চিত্র দিয়ে রাজ্জকের সাথে তার জুটি গড়ে ওঠে। তারা দুই জন অনেক জনপ্রিয় ও সফল চলচ্চিত্রগুলো দিয়ে আসছেন আমাদের মাঝে। যেমনঃ ১৯৬৯তেে ময়না মতি ও নীল আকাশের নীচে, ১৯৭০রে ক খ গ ঘ ঙ ও দর্প চূর্ণ এবং কাচঁ কাটা হীরা। ১৯৭১ রে স্মৃতিটুকু থাক , ১৯৭৩ রে রাংবাজ সহ নানা ছবি তে তাদের দেখা যায়।
তিনি লালন ফকির (১৯৭২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।সাহিত্যনির্ভর তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩)-এর রাজার ঝি এবং সারেং বৌ (১৯৭৮)-এর নবিতুন তার অন্যতম সমাদৃত দুটি কাজ। দ্বিতীয়োক্ত কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগের জাতীয় চলচ্চিত্র পুুুুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি সুজন সখি (১৯৭৫) ও দুুই জীবন (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য আরও দুটি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।