দক্ষিণ আফ্রিকায় আলুর দাম চার মাসে ১৪০ গুণ বৃদ্ধি

  • Update Time : ০৪:৪৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০
  • / 183

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মহামারি করোনাকালে লকডাউনে কৃষি কার্যক্রম বন্ধ থাকা ও মৌসুমে অতিমাত্রায় শীতের কারণে উৎপাদন না হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় সবজি বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

আলু উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার লিম্পোপোতে অস্বাভাবিক শীতের কারণে ফসলের প্রথম অংশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফলে আলুর দাম চার মাসে ১৪০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

চলতি বছরের জুনের মাঝামাঝি থেকে আলুর দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় গড়ে ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। চার মাসে প্রতিদশ কেজি আলুর ব্যাগের গড় বাজার মূল্য ৩৫ রেন্ড (স্থানীয় মুদ্রা) এর থেকে ৮৩ রেন্ডে পৌঁছায় যা এখন ১১০ রেন্ডে।

দক্ষিণ আফ্রিকা আলু শিল্প সমিতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আন্ড্রে জুস্ট বলেছেন, জুনের মাঝামাঝি থেকে আলুর দাম গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ ভাগ বেশি ছিল। সম্প্রতি মূল্যবৃদ্ধি ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের শুরুতে আলুর দাম বৃদ্ধি অতীত রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।

তিনি বলেন, তাপমাত্রা স্থিতিশীল না হওয়ার কারণে তুলনামূলকভাবে আলু উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আলু শিল্প সমিতির প্রধান জুস্ট বলেছেন, সরবরাহের সামান্য পরিবর্তন আলুর দামের বড় পরিবর্তন হতে পারে। একটি প্রাথমিক কৃষিপণ্য হিসেবে আলুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম।

তিনি বলেন, মহামারির কারণে পারিবারিক উপার্জন হ্রাস পেয়েছে। চিপসের জন্য আলুর প্রধান উপভোগকারী- ফাস্টফুড আউটলেটগুলি লকডাউনের প্রথম দিকে বন্ধ থাকলেও এই সময়ে এসে সেগুলো পুনরায় খোলার কারণে আলুর চাহিদা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় উৎপাদনের প্রায় ৮ শতাংশ আলু প্রতিবেশী দেশগুলিতে রফতানি করে আসছে।

এছাড়াও নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়ামের মতো ইউরোপীয় উৎপাদনকারী ফ্রেঞ্চ ফ্রাই উপযোগী আলু আমদানি করে দেশটি।

জুস্ট বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ইতোমধ্যে নির্দিষ্ট ইউরোপীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে এই আমদানিতে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে। স্থানীয় কৃষকদের আগামী মাসগুলিতে পরিশ্রমী হতে হবে।

কোভিড-১৯ এর প্রভাবে ইউরোপীয় উৎপাদকরীরা তাদের নিজেদে চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা কৃষি বাজার বিশ্লেষক এএমটি সূত্র দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মিষ্টি আলুর দাম সাধারণ আলুর মতো একইরকম। আলুর দাম গত চার মাসে ১৪০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

দক্ষিণ আফ্রিকায় আলুর দাম চার মাসে ১৪০ গুণ বৃদ্ধি

Update Time : ০৪:৪৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মহামারি করোনাকালে লকডাউনে কৃষি কার্যক্রম বন্ধ থাকা ও মৌসুমে অতিমাত্রায় শীতের কারণে উৎপাদন না হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় সবজি বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

আলু উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার লিম্পোপোতে অস্বাভাবিক শীতের কারণে ফসলের প্রথম অংশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফলে আলুর দাম চার মাসে ১৪০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

চলতি বছরের জুনের মাঝামাঝি থেকে আলুর দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় গড়ে ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। চার মাসে প্রতিদশ কেজি আলুর ব্যাগের গড় বাজার মূল্য ৩৫ রেন্ড (স্থানীয় মুদ্রা) এর থেকে ৮৩ রেন্ডে পৌঁছায় যা এখন ১১০ রেন্ডে।

দক্ষিণ আফ্রিকা আলু শিল্প সমিতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আন্ড্রে জুস্ট বলেছেন, জুনের মাঝামাঝি থেকে আলুর দাম গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ ভাগ বেশি ছিল। সম্প্রতি মূল্যবৃদ্ধি ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের শুরুতে আলুর দাম বৃদ্ধি অতীত রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।

তিনি বলেন, তাপমাত্রা স্থিতিশীল না হওয়ার কারণে তুলনামূলকভাবে আলু উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আলু শিল্প সমিতির প্রধান জুস্ট বলেছেন, সরবরাহের সামান্য পরিবর্তন আলুর দামের বড় পরিবর্তন হতে পারে। একটি প্রাথমিক কৃষিপণ্য হিসেবে আলুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম।

তিনি বলেন, মহামারির কারণে পারিবারিক উপার্জন হ্রাস পেয়েছে। চিপসের জন্য আলুর প্রধান উপভোগকারী- ফাস্টফুড আউটলেটগুলি লকডাউনের প্রথম দিকে বন্ধ থাকলেও এই সময়ে এসে সেগুলো পুনরায় খোলার কারণে আলুর চাহিদা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় উৎপাদনের প্রায় ৮ শতাংশ আলু প্রতিবেশী দেশগুলিতে রফতানি করে আসছে।

এছাড়াও নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়ামের মতো ইউরোপীয় উৎপাদনকারী ফ্রেঞ্চ ফ্রাই উপযোগী আলু আমদানি করে দেশটি।

জুস্ট বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ইতোমধ্যে নির্দিষ্ট ইউরোপীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে এই আমদানিতে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে। স্থানীয় কৃষকদের আগামী মাসগুলিতে পরিশ্রমী হতে হবে।

কোভিড-১৯ এর প্রভাবে ইউরোপীয় উৎপাদকরীরা তাদের নিজেদে চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা কৃষি বাজার বিশ্লেষক এএমটি সূত্র দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মিষ্টি আলুর দাম সাধারণ আলুর মতো একইরকম। আলুর দাম গত চার মাসে ১৪০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।