নৌ ধর্মঘটে বন্দরে আটকে আছে ২১ লাখ টন ভোগ্যপণ্য

  • Update Time : ১০:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০
  • / 218
নিজস্ব প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে সারা দেশে নদীপথে পণ্য পরিবহণ কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হওয়া প্রায় ২১ লাখ টন ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল আটকে পড়েছে।
.

এর মধ্যে বহির্নোঙরে পণ্য স্থানান্তর করতে না পারায় ৪০টি বিদেশি সমুদ্রগামী বড় জাহাজে প্রায় ৯ লাখ টন ও ৩৮টি ঘাটে অবস্থান করা ৮৭৪টি লাইটার জাহাজে ১২ লাখ টন পণ্য রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে সমুদ্রগামী বড় জাহাজ থেকেও পণ্য স্থানান্তর কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, বন্দরের বহির্নোঙরে ৪০টি বড় জাহাজে শস্যদানা, গম, চিনি, ডালজাতীয় খাদ্যপণ্য ছাড়াও সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল ক্লিংকার, চুনাপাথর ও জিপসাম, পাথর ইত্যাদি পণ্য রয়েছে। নৌ-পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে এসব খাদ্য ও শিল্পের কাঁচামাল মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে  পণ্য স্থানান্তর করে সারা দেশে পরিবহণ করা যাচ্ছে না।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবি আদায়ে গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। এ ধর্মঘটের অবসানে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকেও কোনো সুরাহা হয়নি এখনো।

এদিকে, পাল্টা ৬ দফা দাবি তুলে ধরেছে মালিকপক্ষ। তারা জানিয়েছে, শ্রমিকদের দাবি অযৌক্তিক। অন্যদিকে, ১১ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা।

কাজ বন্ধ থাকায় লাইটারেজ জাহাজ, বালু-সিমেন্টবাহী বাল্কহেড, ট্রলারসহ পণ্যবাহী শ্রমিকরা সকাল থেকেই অলস সময় পার করছেন। তাছাড়া, নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাল্কহেড শ্রমিকরা। আর, নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন স্থলপথে পণ্যবাহী পরিবহণের শ্রমিকরা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নৌ ধর্মঘটে বন্দরে আটকে আছে ২১ লাখ টন ভোগ্যপণ্য

Update Time : ১০:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে সারা দেশে নদীপথে পণ্য পরিবহণ কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হওয়া প্রায় ২১ লাখ টন ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল আটকে পড়েছে।
.

এর মধ্যে বহির্নোঙরে পণ্য স্থানান্তর করতে না পারায় ৪০টি বিদেশি সমুদ্রগামী বড় জাহাজে প্রায় ৯ লাখ টন ও ৩৮টি ঘাটে অবস্থান করা ৮৭৪টি লাইটার জাহাজে ১২ লাখ টন পণ্য রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে সমুদ্রগামী বড় জাহাজ থেকেও পণ্য স্থানান্তর কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, বন্দরের বহির্নোঙরে ৪০টি বড় জাহাজে শস্যদানা, গম, চিনি, ডালজাতীয় খাদ্যপণ্য ছাড়াও সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল ক্লিংকার, চুনাপাথর ও জিপসাম, পাথর ইত্যাদি পণ্য রয়েছে। নৌ-পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে এসব খাদ্য ও শিল্পের কাঁচামাল মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে  পণ্য স্থানান্তর করে সারা দেশে পরিবহণ করা যাচ্ছে না।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবি আদায়ে গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। এ ধর্মঘটের অবসানে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকেও কোনো সুরাহা হয়নি এখনো।

এদিকে, পাল্টা ৬ দফা দাবি তুলে ধরেছে মালিকপক্ষ। তারা জানিয়েছে, শ্রমিকদের দাবি অযৌক্তিক। অন্যদিকে, ১১ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা।

কাজ বন্ধ থাকায় লাইটারেজ জাহাজ, বালু-সিমেন্টবাহী বাল্কহেড, ট্রলারসহ পণ্যবাহী শ্রমিকরা সকাল থেকেই অলস সময় পার করছেন। তাছাড়া, নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাল্কহেড শ্রমিকরা। আর, নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন স্থলপথে পণ্যবাহী পরিবহণের শ্রমিকরা।