নড়াইলে কলেজছাত্রী উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

  • Update Time : ১২:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০
  • / 126
মো: মিনহাজুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক:
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
.
শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেন। এর আগে ওইদিন রাত ৯ টার দিকে নড়াইল শহরের এস.এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তারপর, মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাড়ি নড়াইলের চাঁচুড়ি ইউনিয়নের আরাজি বাঁশগ্রামে এবং নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
.
ভূক্তভোগী মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়ে প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে বাড়ি থেকে নড়াইল শহরে প্রাইভেট পড়তে আসে। দুপুরে বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ওইদিন (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে মেয়েটির নতুন ফোন নাম্বর (০১৬০৮-৪৭৬৪৬০) থেকে তার বাবার নাম্বারে ফোন করে মেয়ের মুক্তিপণের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। ঘটনাটি পুলিশকে অবগত করা হয়।
.
ভূক্তভোগীর স্বজনেরা জানান, ঘটনাস্থল থেকে অনার্স পড়ুয়া মেয়েকে উদ্ধারের পর কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে সে। তার মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। স্বাভাবিক কথা বলতে পারছে না।
.
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু জানান, মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহৃ দেখা যায়নি। এছাড়া তাকে ধর্ষণ বা শারীরিক ভাবে অন্য কোনো ক্ষতি করা হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষার পর জানা যাবে।
.
নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে সদর থানায় শনিবার রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নড়াইলে কলেজছাত্রী উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

Update Time : ১২:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০
মো: মিনহাজুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক:
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
.
শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেন। এর আগে ওইদিন রাত ৯ টার দিকে নড়াইল শহরের এস.এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তারপর, মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাড়ি নড়াইলের চাঁচুড়ি ইউনিয়নের আরাজি বাঁশগ্রামে এবং নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
.
ভূক্তভোগী মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়ে প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে বাড়ি থেকে নড়াইল শহরে প্রাইভেট পড়তে আসে। দুপুরে বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ওইদিন (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে মেয়েটির নতুন ফোন নাম্বর (০১৬০৮-৪৭৬৪৬০) থেকে তার বাবার নাম্বারে ফোন করে মেয়ের মুক্তিপণের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। ঘটনাটি পুলিশকে অবগত করা হয়।
.
ভূক্তভোগীর স্বজনেরা জানান, ঘটনাস্থল থেকে অনার্স পড়ুয়া মেয়েকে উদ্ধারের পর কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে সে। তার মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। স্বাভাবিক কথা বলতে পারছে না।
.
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু জানান, মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহৃ দেখা যায়নি। এছাড়া তাকে ধর্ষণ বা শারীরিক ভাবে অন্য কোনো ক্ষতি করা হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষার পর জানা যাবে।
.
নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে সদর থানায় শনিবার রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।