শহীদ তানভীর’র পরিবারের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় মহেশখালী থানায় মামলা

  • Update Time : ১০:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / 15

চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা কালারমারছড়া বাজার এলাকায় চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আশেকানে সরকারী আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের ছাত্র শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চিংড়ি মাছের ফিশিং ও বীর নিবাসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।

৭ অক্টোবর (সোমবার) সকালে ফিশিং এর মালিক শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর চাচা বাইতুল মোস্তফা বাদি হয়ে তানভীর হত্যার আসামি তারেক চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে মাস্টার মাইন্ড নোমান শরীফ, কালাবদা ও ক্লাস বাহিনীর প্রধান সন্ত্রাসী একরাম উদ্দীন জুয়েলকে ৪ নং করে ২৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২,তারিখ ০৭.১০.২০২৪ইং।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় আওয়ামীলীগের গডফাদার তারেক চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় থাকা উপজেলার কালারমারছড়ার ফকিরজুম পাড়া কেন্দ্রীক আর্দশ গ্রাম পরিচালনা কমিটি নামে ক্লাস বাহিনীর গ্যাং লিডার জুয়েলের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসীরা দফায় দফায় হামলা করে । এসময় তারা একই কায়দায় কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এছাড়াও বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য কল্যাণ সংস্থার সদস্যদের উপহার দেওয়া শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর বীর নিবাস ভাঙচুর করেন।

উল্লেখ্য,শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ৮ টা থেকে গভীর রাত ১২ টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। লুটপাঠ তাণ্ডব চলাকালে তারা কালারমারছড়া বাজারে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাজারের ব্যবসায়ীরা জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দ্রুত দোকান পাঠ বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। পরে খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।

মামলার বাদী শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর চাচা বাইতুল মোস্তফা জানান, সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা ফকিরজুম পাড়া গ্রামের ক্লাস বাহিনীর প্রধান জুয়েলের নেতৃত্বে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি। তারা শহীদ বীর নিবাসে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর করে। আমরা বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।
তিনি আরও বলেন সন্ত্রাসীদের মহড়া চলাকালে ভিড়িও ফুটোজ রয়েছে ফুটোজ দেখে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবির পাশাপাশি অস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানাচ্ছি প্রশাসনের নিকট।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

শহীদ তানভীর’র পরিবারের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় মহেশখালী থানায় মামলা

Update Time : ১০:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা কালারমারছড়া বাজার এলাকায় চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আশেকানে সরকারী আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের ছাত্র শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চিংড়ি মাছের ফিশিং ও বীর নিবাসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।

৭ অক্টোবর (সোমবার) সকালে ফিশিং এর মালিক শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর চাচা বাইতুল মোস্তফা বাদি হয়ে তানভীর হত্যার আসামি তারেক চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে মাস্টার মাইন্ড নোমান শরীফ, কালাবদা ও ক্লাস বাহিনীর প্রধান সন্ত্রাসী একরাম উদ্দীন জুয়েলকে ৪ নং করে ২৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২,তারিখ ০৭.১০.২০২৪ইং।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় আওয়ামীলীগের গডফাদার তারেক চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় থাকা উপজেলার কালারমারছড়ার ফকিরজুম পাড়া কেন্দ্রীক আর্দশ গ্রাম পরিচালনা কমিটি নামে ক্লাস বাহিনীর গ্যাং লিডার জুয়েলের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসীরা দফায় দফায় হামলা করে । এসময় তারা একই কায়দায় কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এছাড়াও বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য কল্যাণ সংস্থার সদস্যদের উপহার দেওয়া শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর বীর নিবাস ভাঙচুর করেন।

উল্লেখ্য,শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ৮ টা থেকে গভীর রাত ১২ টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। লুটপাঠ তাণ্ডব চলাকালে তারা কালারমারছড়া বাজারে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাজারের ব্যবসায়ীরা জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দ্রুত দোকান পাঠ বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। পরে খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।

মামলার বাদী শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর চাচা বাইতুল মোস্তফা জানান, সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা ফকিরজুম পাড়া গ্রামের ক্লাস বাহিনীর প্রধান জুয়েলের নেতৃত্বে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি। তারা শহীদ বীর নিবাসে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর করে। আমরা বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।
তিনি আরও বলেন সন্ত্রাসীদের মহড়া চলাকালে ভিড়িও ফুটোজ রয়েছে ফুটোজ দেখে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবির পাশাপাশি অস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানাচ্ছি প্রশাসনের নিকট।