লামার আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী ও হুমকির অভিযোগ

  • Update Time : ১১:২১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 6

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে ৩০৩নং ডলুছড়ি মৌজার ডিগ্রীখোলা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিনগং এর বিরুদ্ধে প্রবাসী ব্যবসায়ী ও বাগান মালিক মনজুর আলম কোম্পানীর নিকট থেকে বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী মনজুর আলম কোম্পানী বলেন,উপজেলার সরই ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডে ভূমি দালাল চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু নাছির মেম্বারগং কর্তৃক চাঁদাবাজী ও হুমকির শিকার হয়েছি। আমি প্রবাসী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।বেশ কিছু বছর পূর্বে ৩০৩নং ডলুছড়ি মৌজার ডিগ্রীখোলা এলাকায় বিভিন্ন হোল্ডিং এর মোট ২৮ একর জমি কিনে সেখানে বেলজিয়ম,একাশিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির বনায়ন সৃজন করে ভোগ দখল করে আসছিলাম। উক্ত জায়গা ও বনায়ন দেখাশুনা করার জন্য আমি একই এলাকার মৃত মৌলভী মোঃ ইছাকের ছেলে বশির আহমদ,নুরুল হুদা, মোস্তফা,আইনুল হক ও মুনির আহাম্মদের ছেলে ফরহাদুল ইসলাম,মুছাকে আমার ক্রয়কৃত জায়গায় অস্থায়ী বসত বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করার জন্য সুযোগ করে দিয়েছিলাম।

কিছুদিন পরে আমার ক্রয়কৃত উক্ত জায়গা এবং সেখানে সৃজিত বনায়নের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে। এলাকার চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু সরই ইউনিয়নের মেম্বার ও ৬নং ওয়ার্ড আওমীলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন ও আওয়ামীলীগ নেতা সাহাব মিয়া,কাশেমগং এর বিরুদ্ধে। ইউপি সদস্য নাছির ও সাহাব মিয়া বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে আমার নিকট হইতে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। আমি তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় নাছির মেম্বার ও সাহাব মিয়া আমার মালিকানাধীন জায়গা থেকে আমাকে গায়ের জোরে উচ্ছেদ করে সেখানে বশির আহমদ,নুরুল হুদা,মোস্তফা,আইনুল হক,ফরহাদুল ইসলাম,মুছাকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দিবেন মর্মে হুমকি ধামকি দিয়ে শক্তি ও সাহস দিয়ে যাচ্ছে। আমার মালিকানাধীন উল্লেখিত জায়গা জবর দখলের প্রচেষ্টা ও গাছ চুরি করে কেটে নিয়ে যায়। সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের কাজে বাঁধা প্রদান করে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতা নাছির ও সাহাব মিয়ার আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে আমার জায়গায় বসবাস করা অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জবর দখল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২১-০৯-২০২৪ইং তারিখ আনুমান সকাল ১১ টা দিকে আমার মালিকানাধীন উল্লেখিত জায়গায় বিদ্যমান গাছপালা এবং নতুনভাবে সৃজিত বাগান কয়েকজন সঙ্গীসহ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম বসবাসরত উল্লেখিত লোকজন আমাকে সেখান থেকে চলে যাইতে বলে এবং পরিদর্শনে বাঁধা প্রদান করে। এর কিছুক্ষণ পর নাছির মেম্বার ও সাহাব মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তারা আগামী ১সপ্তাহের মধ্যে বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে। চাঁদা না দিলে সেই জায়গায় যেতে নিষেধ করেছে। গেলে হামলা ও হয়রানি শিকার হওয়ার হুমকির ধামকি দিতে থাকে। আওয়ামী লীগ নেতা নাছিরগং ধারাবাহিক চাঁদাবাজী ও হুমকির শিকার হয়ে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করি।

স্থানীয়রা বাসিন্দা ফুল মিয়া বলেন,অনেক বছর আগে মনজুর আলম কোম্পানী এই জায়গাটি কিনে নিয়ে গাছপালা রোপন করেছেন। এখন প্রবাস থেকে আসার পর বাগানে গেলে হুমকি ধমকির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছির মেম্বারের যোগসাজশে এই জায়গা জবর দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে শুনেছি।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নাছির উদ্দীন বলেন,আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ কেন করা হচ্ছে জানি না। মনজুর আলম কোম্পানি সাথে আমার কোন ঝামেলা না থাকলেও তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমি কোন চাঁদা দাবী করিনি। তিনি কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে এসেছে শুনেছি ওনার জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার সংশ্লিষ্টতা নাই।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

লামার আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী ও হুমকির অভিযোগ

Update Time : ১১:২১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে ৩০৩নং ডলুছড়ি মৌজার ডিগ্রীখোলা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিনগং এর বিরুদ্ধে প্রবাসী ব্যবসায়ী ও বাগান মালিক মনজুর আলম কোম্পানীর নিকট থেকে বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী মনজুর আলম কোম্পানী বলেন,উপজেলার সরই ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডে ভূমি দালাল চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু নাছির মেম্বারগং কর্তৃক চাঁদাবাজী ও হুমকির শিকার হয়েছি। আমি প্রবাসী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।বেশ কিছু বছর পূর্বে ৩০৩নং ডলুছড়ি মৌজার ডিগ্রীখোলা এলাকায় বিভিন্ন হোল্ডিং এর মোট ২৮ একর জমি কিনে সেখানে বেলজিয়ম,একাশিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির বনায়ন সৃজন করে ভোগ দখল করে আসছিলাম। উক্ত জায়গা ও বনায়ন দেখাশুনা করার জন্য আমি একই এলাকার মৃত মৌলভী মোঃ ইছাকের ছেলে বশির আহমদ,নুরুল হুদা, মোস্তফা,আইনুল হক ও মুনির আহাম্মদের ছেলে ফরহাদুল ইসলাম,মুছাকে আমার ক্রয়কৃত জায়গায় অস্থায়ী বসত বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করার জন্য সুযোগ করে দিয়েছিলাম।

কিছুদিন পরে আমার ক্রয়কৃত উক্ত জায়গা এবং সেখানে সৃজিত বনায়নের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে। এলাকার চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু সরই ইউনিয়নের মেম্বার ও ৬নং ওয়ার্ড আওমীলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন ও আওয়ামীলীগ নেতা সাহাব মিয়া,কাশেমগং এর বিরুদ্ধে। ইউপি সদস্য নাছির ও সাহাব মিয়া বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে আমার নিকট হইতে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। আমি তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় নাছির মেম্বার ও সাহাব মিয়া আমার মালিকানাধীন জায়গা থেকে আমাকে গায়ের জোরে উচ্ছেদ করে সেখানে বশির আহমদ,নুরুল হুদা,মোস্তফা,আইনুল হক,ফরহাদুল ইসলাম,মুছাকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দিবেন মর্মে হুমকি ধামকি দিয়ে শক্তি ও সাহস দিয়ে যাচ্ছে। আমার মালিকানাধীন উল্লেখিত জায়গা জবর দখলের প্রচেষ্টা ও গাছ চুরি করে কেটে নিয়ে যায়। সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের কাজে বাঁধা প্রদান করে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতা নাছির ও সাহাব মিয়ার আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে আমার জায়গায় বসবাস করা অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জবর দখল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২১-০৯-২০২৪ইং তারিখ আনুমান সকাল ১১ টা দিকে আমার মালিকানাধীন উল্লেখিত জায়গায় বিদ্যমান গাছপালা এবং নতুনভাবে সৃজিত বাগান কয়েকজন সঙ্গীসহ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম বসবাসরত উল্লেখিত লোকজন আমাকে সেখান থেকে চলে যাইতে বলে এবং পরিদর্শনে বাঁধা প্রদান করে। এর কিছুক্ষণ পর নাছির মেম্বার ও সাহাব মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তারা আগামী ১সপ্তাহের মধ্যে বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে। চাঁদা না দিলে সেই জায়গায় যেতে নিষেধ করেছে। গেলে হামলা ও হয়রানি শিকার হওয়ার হুমকির ধামকি দিতে থাকে। আওয়ামী লীগ নেতা নাছিরগং ধারাবাহিক চাঁদাবাজী ও হুমকির শিকার হয়ে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করি।

স্থানীয়রা বাসিন্দা ফুল মিয়া বলেন,অনেক বছর আগে মনজুর আলম কোম্পানী এই জায়গাটি কিনে নিয়ে গাছপালা রোপন করেছেন। এখন প্রবাস থেকে আসার পর বাগানে গেলে হুমকি ধমকির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছির মেম্বারের যোগসাজশে এই জায়গা জবর দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে শুনেছি।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নাছির উদ্দীন বলেন,আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ কেন করা হচ্ছে জানি না। মনজুর আলম কোম্পানি সাথে আমার কোন ঝামেলা না থাকলেও তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমি কোন চাঁদা দাবী করিনি। তিনি কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে এসেছে শুনেছি ওনার জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার সংশ্লিষ্টতা নাই।