পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

  • Update Time : ১১:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 9

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগ আমলে দাপটে থাকা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (ডিএমপি) বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা পালিয়ে যান। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এখনও ১৮৭ কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি। অনেকে ৫ আগস্টের পর হাজিরা দিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন।

ডিএমপি জানিয়েছে, কাজে যোগ না দেওয়া পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। গঠন করা হয়েছে আলাদা কমিটি। পাশাপাশি ডিএমপি বলছে, কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ও বদলির কারণে পুলিশি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে হারুন অর রশীদ, মনিরুজ্জামান, বিপ্লব কুমার সরকার, খোন্দকার নুরনবী, মেহেদী হাসান, সঞ্জিত কুমার রায়, প্রলয় কুমার জোর্য়াদার, মারুফ হোসেন এখনও কাজে যোগ দেননি।

এছাড়া ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী, এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামানসহ অন্তত ২৩ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

যেসব কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি ও যারা ফৌজদারি মামলার আসামি তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান বলেন, ‘বিভাগীয় মামলা হওয়ার ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই মামলাগুলো হবে। অনুমতি ছাড়া যারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক তদন্ত করা হয়, কারণ দর্শানোর সুযোগ দেওয়া হয়।’

কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ও বদলির কারণে কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে নতুন পদায়ন ও প্রমোশনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান ডিএমপির এই উপ-পুলিশ কমিশনার। বলেন, ‘আশাকরি আগামী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থানার স্থাপনাগুলোর সংস্কার কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন আমাদের সেবার মান আরও বাড়বে। পাশাপাশি আমাদের যেসব সেবা প্রত্যাশী আছেন তারাও সেবা পাবেন। তবে আমাদের যে বর্তমান যে পরিস্থিতি আছে, সেবা পেতে কারও কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি মেরামত ও নতুন গাড়ি পেলে টহল আরও জোরদার করা যাবে বলে বলছেন ডিএমপি কর্মকর্তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

Update Time : ১১:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগ আমলে দাপটে থাকা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (ডিএমপি) বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা পালিয়ে যান। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এখনও ১৮৭ কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি। অনেকে ৫ আগস্টের পর হাজিরা দিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন।

ডিএমপি জানিয়েছে, কাজে যোগ না দেওয়া পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। গঠন করা হয়েছে আলাদা কমিটি। পাশাপাশি ডিএমপি বলছে, কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ও বদলির কারণে পুলিশি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে হারুন অর রশীদ, মনিরুজ্জামান, বিপ্লব কুমার সরকার, খোন্দকার নুরনবী, মেহেদী হাসান, সঞ্জিত কুমার রায়, প্রলয় কুমার জোর্য়াদার, মারুফ হোসেন এখনও কাজে যোগ দেননি।

এছাড়া ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী, এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামানসহ অন্তত ২৩ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

যেসব কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি ও যারা ফৌজদারি মামলার আসামি তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান বলেন, ‘বিভাগীয় মামলা হওয়ার ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই মামলাগুলো হবে। অনুমতি ছাড়া যারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক তদন্ত করা হয়, কারণ দর্শানোর সুযোগ দেওয়া হয়।’

কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ও বদলির কারণে কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে নতুন পদায়ন ও প্রমোশনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান ডিএমপির এই উপ-পুলিশ কমিশনার। বলেন, ‘আশাকরি আগামী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থানার স্থাপনাগুলোর সংস্কার কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন আমাদের সেবার মান আরও বাড়বে। পাশাপাশি আমাদের যেসব সেবা প্রত্যাশী আছেন তারাও সেবা পাবেন। তবে আমাদের যে বর্তমান যে পরিস্থিতি আছে, সেবা পেতে কারও কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি মেরামত ও নতুন গাড়ি পেলে টহল আরও জোরদার করা যাবে বলে বলছেন ডিএমপি কর্মকর্তারা।