নবীনগর পৌর শহরের দেয়ালগুলোতে শোভা পাচ্ছে শিক্ষার্থীদের নান্দনিক চিত্রকর্ম

  • Update Time : ০৫:০০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • / 45

শুভ চক্রবর্ত্তী, নবীনগর প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের আঁকা নান্দনিক চিত্রকর্ম তথা গ্রাফিতি শোভা পাচ্ছে পৌর শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও প্রধান সড়কের পাশের দেয়ালগুলোতে।

এসব গ্রাফিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তুলে ধরা তাৎপর্যপূর্ণ স্লোগান ও দেশের বিভিন্ন অসঙ্গতি ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় গ্রাফিতিগুলো পথ চলা মানুষদের দারুণভাবে উজ্জীবিত করে তুলছে।

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছে নবীনগর সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, সামাজিক সংগঠন ‘ড্রিমস অব নবীনগর’ ও ‘অক্টোপাস’র সদস্যরা। অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী নিজস্ব অর্থায়নে রঙতুলি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে শহরের স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে এসব নান্দনিক গ্রাফিতি ফুটিয়ে তুলছে।

গ্রাফিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আত্মদানকারী শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধের ছবি স্থান পেয়েছে। জুলাইতে শুরু হওয়া আন্দোলন প্রলম্বিত হয়ে আগস্টের ৫ তারিখ আন্দোলনত শিক্ষার্থীদের বিজয় অর্জিত হয়; যার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাফিতিতে ‘৩৬ জুলাই’ অঙ্কন করা হয়েছে। অঙ্কন করা হয়েছে বিজয়ের উল্লাসরত পতাকা হাতে শিক্ষার্থীর ছবি। পাশাপাশি ‘মেধার বিজয়’, ‘স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনব’,‘তারা কি ফিরিবে আর?’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’,‘স্বাধীন হয়েছি সময় এখন সভ্য হওয়ার’, ‘বিকল্প কে? তুমি আমি আমরা’, ‘শপথ নিয়েছি দেশ গড়ার’, ‘পানি লাগবে পানি?’, ‘ধর্ম যার যার দেশ সবার’, ‘দেশকে ভালোবেসে আগলে রাখো’, ‘শহীদেরা আমাদের শক্তি’, ‘কল্পনা চাকমা পাহাড়ের কথা বলে’, ‘justice’ ‘স্বাধীনতার সূর্যোদয়’, ‘ঘুষ চাইলেই কানের নিচে’ ‘BY THE PEOPLE FOR THE PEOPLE OF THE PEOPLE’, ‘বন্ধনহীন জন্মস্বাধীন নিত্যমুক্ত শতদল’ ইত্যাদি স্লোগান শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতিতে স্থান করে নিয়েছে।

নবীনগর পৌর শহরে গ্রাফিতি অঙ্কনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের নানান অসঙ্গতি, বৈষম্য দূর করে, সকল সংকট কাটিয়ে উঠার মাধ্যমেই আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ব। সেই প্রত্যাশাতেই আমরা রঙ তুলি দিয়ে তা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আমরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সোচ্চার হলেই বাংলাদেশ হবে সত্যিকারের সোনার বাংলা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নবীনগর পৌর শহরের দেয়ালগুলোতে শোভা পাচ্ছে শিক্ষার্থীদের নান্দনিক চিত্রকর্ম

Update Time : ০৫:০০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

শুভ চক্রবর্ত্তী, নবীনগর প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের আঁকা নান্দনিক চিত্রকর্ম তথা গ্রাফিতি শোভা পাচ্ছে পৌর শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও প্রধান সড়কের পাশের দেয়ালগুলোতে।

এসব গ্রাফিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তুলে ধরা তাৎপর্যপূর্ণ স্লোগান ও দেশের বিভিন্ন অসঙ্গতি ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় গ্রাফিতিগুলো পথ চলা মানুষদের দারুণভাবে উজ্জীবিত করে তুলছে।

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছে নবীনগর সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, সামাজিক সংগঠন ‘ড্রিমস অব নবীনগর’ ও ‘অক্টোপাস’র সদস্যরা। অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী নিজস্ব অর্থায়নে রঙতুলি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে শহরের স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে এসব নান্দনিক গ্রাফিতি ফুটিয়ে তুলছে।

গ্রাফিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আত্মদানকারী শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধের ছবি স্থান পেয়েছে। জুলাইতে শুরু হওয়া আন্দোলন প্রলম্বিত হয়ে আগস্টের ৫ তারিখ আন্দোলনত শিক্ষার্থীদের বিজয় অর্জিত হয়; যার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাফিতিতে ‘৩৬ জুলাই’ অঙ্কন করা হয়েছে। অঙ্কন করা হয়েছে বিজয়ের উল্লাসরত পতাকা হাতে শিক্ষার্থীর ছবি। পাশাপাশি ‘মেধার বিজয়’, ‘স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনব’,‘তারা কি ফিরিবে আর?’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’,‘স্বাধীন হয়েছি সময় এখন সভ্য হওয়ার’, ‘বিকল্প কে? তুমি আমি আমরা’, ‘শপথ নিয়েছি দেশ গড়ার’, ‘পানি লাগবে পানি?’, ‘ধর্ম যার যার দেশ সবার’, ‘দেশকে ভালোবেসে আগলে রাখো’, ‘শহীদেরা আমাদের শক্তি’, ‘কল্পনা চাকমা পাহাড়ের কথা বলে’, ‘justice’ ‘স্বাধীনতার সূর্যোদয়’, ‘ঘুষ চাইলেই কানের নিচে’ ‘BY THE PEOPLE FOR THE PEOPLE OF THE PEOPLE’, ‘বন্ধনহীন জন্মস্বাধীন নিত্যমুক্ত শতদল’ ইত্যাদি স্লোগান শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতিতে স্থান করে নিয়েছে।

নবীনগর পৌর শহরে গ্রাফিতি অঙ্কনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের নানান অসঙ্গতি, বৈষম্য দূর করে, সকল সংকট কাটিয়ে উঠার মাধ্যমেই আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ব। সেই প্রত্যাশাতেই আমরা রঙ তুলি দিয়ে তা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আমরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সোচ্চার হলেই বাংলাদেশ হবে সত্যিকারের সোনার বাংলা।