কারফিউতে আটকে পড়া ২০ হাজার পর্যটকদের বাড়ি পৌঁছে দিলেন  ট্যুরিস্ট পুলিশ

  • Update Time : ০৪:৪৪:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
  • / 49

এরফান হোছাইন:

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার৷  যেখানে দেশ ও বিদেশ থেকে পর্যটকেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য  উপভোগ করতে ও অবসর সময় কাটাতে ছুটে আসেন।আর সেই ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা গত এক সপ্তাহ ধরে আটকে পড়েছিলেন কক্সবাজারে।

সম্প্রতি কারফিউর কারণে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে আটকে পড়া হাজার হাজার পর্যটককে নিরাপদে স্বঘরে পৌঁছাতে ট্যুরিস্ট পুলিশ একটি অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা কারফিউর কারণে কক্সবাজারে আটকে পড়লে ট্যুরিস্ট পুলিশ তাদের পাশে দাঁড়ায়।ট্যুরিস্ট পুলিশের তথ্য কেন্দ্র বা ‘ইনফরমেশন টার্মিনাল’এর মাধ্যমে আটকে পড়া পর্যটকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হয়।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সালমান ও রামিসা সহ একাধিক ভ্রমণপিপাসু জানিয়েছেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের তথ্য টার্মিনাল তাদের জন্য কতটা সহায়ক হয়েছে। তারা বলেন, এই টার্মিনালের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, যা তাদের ভ্রমণকে আরও সুন্দর করে তুলেছে।পর্যটকরা জানান, তারা এই টার্মিনাল থেকে মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ, যাতায়াতের ব্যবস্থা, হোটেলের ভাড়া, খাবারের ব্যবস্থা সহ নানাবিধ তথ্য পেয়েছেন। এছাড়াও সব কিছুতেই ট্যুরিস্ট পুলিশ সহায়তা করেছে।

বিদেশি পর্যটকদের বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় পুলিশ স্কর্টের মাধ্যমে। দেশি পর্যটকদের জন্য যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয় এবং ভাড়া যেন অতিরিক্ত না হয় সেদিকে নজর রাখা হয়। এছাড়াও, রেস্টুরেন্টগুলোতে যাতে অতিরিক্ত দাম না নেওয়া হয় সে বিষয়েও নজর রাখা হয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক গাজী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, গত ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার পর্যটককে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে ১৯ জুলাই ২৪টি, ২০ জুলাই ১০০টি, ২১ জুলাই ৬৫টি, ২২ জুলাই ১০০টি এবং ২৩ জুলাই ১৪৩টি বাসে করে পর্যটকদের নিজ নিজ গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও অনেকে নিজস্ব গাড়িতে করেও চলে গেছে।

হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম জানান, ট্যুরিস্ট পুলিশের উদ্যোগে ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকলের যৌথ সহযোগিতায় পর্যটকদের তেমন সমস্যা হয়নি। যার ফলে নিরাপদেই বাড়ি পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে কক্সবাজারে আটকে পড়া হাজারো পর্যটকরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের এসপি মনজুর মোরশেদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা সর্বাত্তক চেষ্টা করেছেন। কোনো পর্যটক যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ যাতে অতিরিক্ত কিছু না নেয় সে বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।গত পাঁচ দিনে প্রায় সতেরো হাজারের বেশি পর্যটককে নিরাপত্তায় স্বঘরে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রমাণ করেছে যে তারা কেবল নিরাপত্তা রক্ষাই করে না, প্রয়োজনে মানবিক সেবাও প্রদান করে।

Please Share This Post in Your Social Media


কারফিউতে আটকে পড়া ২০ হাজার পর্যটকদের বাড়ি পৌঁছে দিলেন  ট্যুরিস্ট পুলিশ

Update Time : ০৪:৪৪:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

এরফান হোছাইন:

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার৷  যেখানে দেশ ও বিদেশ থেকে পর্যটকেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য  উপভোগ করতে ও অবসর সময় কাটাতে ছুটে আসেন।আর সেই ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা গত এক সপ্তাহ ধরে আটকে পড়েছিলেন কক্সবাজারে।

সম্প্রতি কারফিউর কারণে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে আটকে পড়া হাজার হাজার পর্যটককে নিরাপদে স্বঘরে পৌঁছাতে ট্যুরিস্ট পুলিশ একটি অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা কারফিউর কারণে কক্সবাজারে আটকে পড়লে ট্যুরিস্ট পুলিশ তাদের পাশে দাঁড়ায়।ট্যুরিস্ট পুলিশের তথ্য কেন্দ্র বা ‘ইনফরমেশন টার্মিনাল’এর মাধ্যমে আটকে পড়া পর্যটকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হয়।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সালমান ও রামিসা সহ একাধিক ভ্রমণপিপাসু জানিয়েছেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের তথ্য টার্মিনাল তাদের জন্য কতটা সহায়ক হয়েছে। তারা বলেন, এই টার্মিনালের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, যা তাদের ভ্রমণকে আরও সুন্দর করে তুলেছে।পর্যটকরা জানান, তারা এই টার্মিনাল থেকে মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ, যাতায়াতের ব্যবস্থা, হোটেলের ভাড়া, খাবারের ব্যবস্থা সহ নানাবিধ তথ্য পেয়েছেন। এছাড়াও সব কিছুতেই ট্যুরিস্ট পুলিশ সহায়তা করেছে।

বিদেশি পর্যটকদের বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় পুলিশ স্কর্টের মাধ্যমে। দেশি পর্যটকদের জন্য যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয় এবং ভাড়া যেন অতিরিক্ত না হয় সেদিকে নজর রাখা হয়। এছাড়াও, রেস্টুরেন্টগুলোতে যাতে অতিরিক্ত দাম না নেওয়া হয় সে বিষয়েও নজর রাখা হয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক গাজী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, গত ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার পর্যটককে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে ১৯ জুলাই ২৪টি, ২০ জুলাই ১০০টি, ২১ জুলাই ৬৫টি, ২২ জুলাই ১০০টি এবং ২৩ জুলাই ১৪৩টি বাসে করে পর্যটকদের নিজ নিজ গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও অনেকে নিজস্ব গাড়িতে করেও চলে গেছে।

হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম জানান, ট্যুরিস্ট পুলিশের উদ্যোগে ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকলের যৌথ সহযোগিতায় পর্যটকদের তেমন সমস্যা হয়নি। যার ফলে নিরাপদেই বাড়ি পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে কক্সবাজারে আটকে পড়া হাজারো পর্যটকরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের এসপি মনজুর মোরশেদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা সর্বাত্তক চেষ্টা করেছেন। কোনো পর্যটক যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ যাতে অতিরিক্ত কিছু না নেয় সে বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।গত পাঁচ দিনে প্রায় সতেরো হাজারের বেশি পর্যটককে নিরাপত্তায় স্বঘরে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রমাণ করেছে যে তারা কেবল নিরাপত্তা রক্ষাই করে না, প্রয়োজনে মানবিক সেবাও প্রদান করে।