১০৫ জন অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক থাকা স্বত্বেও ডিন হওয়ার অভিযোগ কুবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে
- Update Time : ১০:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
- / 52
কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ জন অধ্যাপক ও ৭৫ জন সহযোগী অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও উপাচার্য ড. আব্দুল মঈনের বিরুদ্ধে ডিন হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। উপাচার্যের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান ও ডিন নিয়োগ দিয়ে একাডেমিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট করেছেন উপাচার্য। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তিন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান ও দুইটি অনুষদে ডিন নিয়োগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ জন অধ্যাপক এবং প্রায় ৭৫ জন সহযোগী অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও উপাচার্য নিজেই আইন অনুষদের ডিনের দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বঞ্চিত করে তিনি আইন অনুষদের ডিন হিসেবে নিজেই ইউজিসির খণ্ডকালীন শিক্ষক হয়েছেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধন আইন-২০১৩ ধারা ২২ (৫) অনুযায়ী ভাইস-চ্যান্সেলর, সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, প্রত্যেক অনুষদের জন্য উহার বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকের মধ্যে হইতে, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে, পালা ক্রমে ২ বৎসর মেয়াদের জন্য নিযুক্ত করিবেন।” এদিকে ধারা ২২(৬) অনুযায়ী গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আব্দুল মঈন আইন অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ধারায় বলা আছে, ‘ছুটি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে ডিনের পদ শূন্য হলে ভাইস-চ্যান্সলর ডিন পদের দায়িত্ব পালনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’ তবে শিক্ষকদের দাবি প্রায় ৪০ জন অধ্যাপক ও ৭৫ জন সহযোগী অধ্যাপক থাকা স্বত্বেও উপাচার্য নিজের হস্তক্ষেপে আইন অনুষদের ডিন হয়েছেন।
জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে কোনো শিক্ষক নিয়োজিত না থাকায় কুবি উপাচার্য ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু পূর্বেও ভিন্ন বিভাগ তথা লোকপ্রশাসন বিভাগ ও অর্থনীতি বিভাগের দুই শিক্ষককে আইন অনুষদের ডিন নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের বলেন, উপাচার্য তখনি ডিন হতে পারবেন যখন কোনো অনুষদে অধ্যাপক কিংবা সহযোগী অধ্যাপক না থাকবেন। তবে অনুষদগুলোতে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক থাকা স্বত্বেও তিনি ডিন হয়েছেন। যা সম্পূর্ণ প্রশ্নবিদ্ধ ও উপাচার্য পদের মর্যাদার অবমাননা। এছাড়াও এর মাধ্যমে তিনি অন্যান্য শিক্ষকদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপাচার্য ড. এএফএম আব্দুল মঈনকে একাধিকবার কল দেওয়া হলে প্রতিবেদকের কল ধরেননি।