ঈদযাত্রার ১৩ দিনে সড়কে ঝরেছে ২৬২ প্রাণ

  • Update Time : ০২:৫৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • / 33

এবারের ঈদুল আজহা ঘিরে ১১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ১৩ দিনে ২৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬২ জন নিহত ও অন্তত ৫৪৩ জন আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (২৪ জুন) দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

এতে বলা হয়েছে, নিহতের মধ্যে নারীর সংখ্যা ৩২ ও শিশু ৪৪।

ঈদযাত্রায় ১২৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০৪ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আগের বছরের চেয়ে এবার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ১৩ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়েছে। এবার দুর্ঘটনায় ৪৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ২৮ জন, অর্থাৎ ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এই সময়ে সাতটি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। ১৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় ৯৯৮ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে—ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঈদযাত্রার ১৩ দিনে সড়কে ঝরেছে ২৬২ প্রাণ

Update Time : ০২:৫৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

এবারের ঈদুল আজহা ঘিরে ১১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ১৩ দিনে ২৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬২ জন নিহত ও অন্তত ৫৪৩ জন আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (২৪ জুন) দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

এতে বলা হয়েছে, নিহতের মধ্যে নারীর সংখ্যা ৩২ ও শিশু ৪৪।

ঈদযাত্রায় ১২৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০৪ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আগের বছরের চেয়ে এবার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ১৩ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়েছে। এবার দুর্ঘটনায় ৪৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ২৮ জন, অর্থাৎ ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এই সময়ে সাতটি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। ১৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় ৯৯৮ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে—ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে।