রাণীনগরে মাটি ভরাট করে ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ হাজার বিঘা জমির পানি নিষ্কাশন নিয়ে শঙ্কা

  • Update Time : ১০:১৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / 57

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট করে একটি বড় ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পুরো ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। সম্প্রতি উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের সলিায়া গ্রামে ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামের ফসলের মাঠের প্রায় এক হাজার বিঘা জমির পানি নিষ্কাশন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সলিয়া-তিলাবুদুরী পাকা সড়কের সলিয়া গ্রাম এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল ও মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের আওতায় বেশ কয়েক বছর আগে ত্রানের একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। সেই থেকে ওই এলাকার মানুষ ও যানবাহন ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করে আসছে। আর ব্রিজটি থাকার ফলে বর্ষার মৌসুমে সলিয়া, দৈউলা, মানিকাহার, পানলাসহ কয়েকটি ফসলের মাঠের পানি ওই ব্রিজ দিয়ে নিষ্কাশন হতো। কিন্তু এরই মধ্যে হটাৎ করে কিছুদিন আগে সলিয়া গ্রামের ওয়াহেদ নামে এক ব্যক্তি তার ক্রয়কৃত জমিসহ ব্রিজের মুখে মাটি দিয়ে ভরাট করেন। এতে করে ব্রিজটির উত্তর দিকের মুখ মাটিতে পুরোটাই বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ব্রিজের মুখে মাটি দিয়ে ভরাট করার সময় আমরা ওয়াহেদকে নিষেধ ও বাধা দিলে তিনি কোন কর্নপাত না করে জোর করে মাটি ভরাট করেছে। ফলে এলাকার কয়েকটি ফসলের মাঠের পানি নিষ্কাশন নিয়ে শঙ্কায় পরেছি। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান, কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানোর পরেও কোন প্রতিকার মেলেনি।

মাটি ভরাট করে ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াহেদ বলেন, আমি গরীব মানুষ বাড়ি করার জন্য ওই জায়গায় মাটি ভরাট করেছি। প্রয়োজনে পানি নিষ্কাশনের জন্য মাটির নিচ দিয়ে রিং পাইপ দিয়ে দিবো।

বড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, বিষয়টি জানার পর ওয়াহেদকে বার বার ব্রিজের মুখ থেকে মাটি সরিয়ে ফেলার কথা বললেও তিনি এখন পর্যন্ত মাটি সরিয়ে নেননি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক বলেন, ব্রিজের মুখ থেকে মাটি সরিয়ে না নিলে বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার কৃষকরা পানি নিষ্কাশন নিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরবে। দ্রুত বিষয়টি ইউএনও স্যারকে বলে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, মাটি দিয়ে ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে খবর পেয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাণীনগরে মাটি ভরাট করে ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ হাজার বিঘা জমির পানি নিষ্কাশন নিয়ে শঙ্কা

Update Time : ১০:১৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট করে একটি বড় ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পুরো ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। সম্প্রতি উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের সলিায়া গ্রামে ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামের ফসলের মাঠের প্রায় এক হাজার বিঘা জমির পানি নিষ্কাশন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সলিয়া-তিলাবুদুরী পাকা সড়কের সলিয়া গ্রাম এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল ও মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের আওতায় বেশ কয়েক বছর আগে ত্রানের একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। সেই থেকে ওই এলাকার মানুষ ও যানবাহন ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করে আসছে। আর ব্রিজটি থাকার ফলে বর্ষার মৌসুমে সলিয়া, দৈউলা, মানিকাহার, পানলাসহ কয়েকটি ফসলের মাঠের পানি ওই ব্রিজ দিয়ে নিষ্কাশন হতো। কিন্তু এরই মধ্যে হটাৎ করে কিছুদিন আগে সলিয়া গ্রামের ওয়াহেদ নামে এক ব্যক্তি তার ক্রয়কৃত জমিসহ ব্রিজের মুখে মাটি দিয়ে ভরাট করেন। এতে করে ব্রিজটির উত্তর দিকের মুখ মাটিতে পুরোটাই বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ব্রিজের মুখে মাটি দিয়ে ভরাট করার সময় আমরা ওয়াহেদকে নিষেধ ও বাধা দিলে তিনি কোন কর্নপাত না করে জোর করে মাটি ভরাট করেছে। ফলে এলাকার কয়েকটি ফসলের মাঠের পানি নিষ্কাশন নিয়ে শঙ্কায় পরেছি। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান, কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানোর পরেও কোন প্রতিকার মেলেনি।

মাটি ভরাট করে ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াহেদ বলেন, আমি গরীব মানুষ বাড়ি করার জন্য ওই জায়গায় মাটি ভরাট করেছি। প্রয়োজনে পানি নিষ্কাশনের জন্য মাটির নিচ দিয়ে রিং পাইপ দিয়ে দিবো।

বড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, বিষয়টি জানার পর ওয়াহেদকে বার বার ব্রিজের মুখ থেকে মাটি সরিয়ে ফেলার কথা বললেও তিনি এখন পর্যন্ত মাটি সরিয়ে নেননি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক বলেন, ব্রিজের মুখ থেকে মাটি সরিয়ে না নিলে বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার কৃষকরা পানি নিষ্কাশন নিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরবে। দ্রুত বিষয়টি ইউএনও স্যারকে বলে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, মাটি দিয়ে ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে খবর পেয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।