ঘুষ নেওয়ায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

  • Update Time : ১২:১৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২
  • / 149

জেলা প্রতিনিধিঃ

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। তাদের প্রত্যাহার করে রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত শুক্রবার রাত ৯টার সময় জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে শনিবার রাতে নিশ্চিত করেছেন মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাসুদ রানা।

প্রত্যাহারকৃতরা হলেন- এসআই নজরুল ইসলাম ও এএসআই সাহাজুল ইসলাম।

এই দুজনের বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়াই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে পুলিশ লাইনে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চুনিয়াপাড়া গ্রামে হামদুল নামের এক ব্যক্তি সরকারি খাসজমির ওপরে ব্যক্তিমালিকানাধীন সাবমার্সেবল পাম্প বসানোর চেষ্টা করছিলেন। গ্রামবাসী তাতে বাধা দেয় এবং মুন্ডুমালা পৌর মেয়রের কাছে একই জায়গায় বড় পাম্প বসানোর দাবি করেন গ্রামের মানুষ। এতে করে পুরো গ্রামবাসীর খাওয়ার পানির ব্যবস্থা হবে। মেয়র সাইদুর রহমান গ্রামবাসীর পক্ষে মত দিয়ে পাম্প বসানোর প্রতিশ্রতি দেন।

এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে হঠাৎ মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত এসআই নজরুল ইসলাম ও এএসআই সাহাজুল ইসলাম ব্যক্তিমালিকানাধীন হামদুলের পক্ষ নিয়ে তার কাছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সরকারি জায়গায় পাম্প বসানোর কাজ শেষ করেন।

এদিকে শুক্রবার বিকালে দুই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে মিছিল করতে এলাকাবাসী মুন্ডুমালা বাজারে জড়ো হয়। বিষয়টি টের পেয়ে পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমান জেলা পুলিশ সুপারকে মোবাইলে বিষয়টি অবহিত করেন।

এর পর পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার গোদাগাড়ী সার্কেল আসাদুজ্জামানকে ঘটনাস্থলে পাঠান। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসেন তানোর থানা ওসি কামরুজ্জামান মিয়া। তারা প্রাথমিক তদন্ত করে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ঘুস নেওয়ার সত্যতা পান।

তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়ে শুক্রবার রাতে তাদের পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঘুষ নেওয়ায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

Update Time : ১২:১৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২

জেলা প্রতিনিধিঃ

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। তাদের প্রত্যাহার করে রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত শুক্রবার রাত ৯টার সময় জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে শনিবার রাতে নিশ্চিত করেছেন মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাসুদ রানা।

প্রত্যাহারকৃতরা হলেন- এসআই নজরুল ইসলাম ও এএসআই সাহাজুল ইসলাম।

এই দুজনের বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়াই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে পুলিশ লাইনে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চুনিয়াপাড়া গ্রামে হামদুল নামের এক ব্যক্তি সরকারি খাসজমির ওপরে ব্যক্তিমালিকানাধীন সাবমার্সেবল পাম্প বসানোর চেষ্টা করছিলেন। গ্রামবাসী তাতে বাধা দেয় এবং মুন্ডুমালা পৌর মেয়রের কাছে একই জায়গায় বড় পাম্প বসানোর দাবি করেন গ্রামের মানুষ। এতে করে পুরো গ্রামবাসীর খাওয়ার পানির ব্যবস্থা হবে। মেয়র সাইদুর রহমান গ্রামবাসীর পক্ষে মত দিয়ে পাম্প বসানোর প্রতিশ্রতি দেন।

এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে হঠাৎ মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত এসআই নজরুল ইসলাম ও এএসআই সাহাজুল ইসলাম ব্যক্তিমালিকানাধীন হামদুলের পক্ষ নিয়ে তার কাছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সরকারি জায়গায় পাম্প বসানোর কাজ শেষ করেন।

এদিকে শুক্রবার বিকালে দুই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে মিছিল করতে এলাকাবাসী মুন্ডুমালা বাজারে জড়ো হয়। বিষয়টি টের পেয়ে পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমান জেলা পুলিশ সুপারকে মোবাইলে বিষয়টি অবহিত করেন।

এর পর পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার গোদাগাড়ী সার্কেল আসাদুজ্জামানকে ঘটনাস্থলে পাঠান। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসেন তানোর থানা ওসি কামরুজ্জামান মিয়া। তারা প্রাথমিক তদন্ত করে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ঘুস নেওয়ার সত্যতা পান।

তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়ে শুক্রবার রাতে তাদের পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।