খাদ্যে ভেজালকারীরা জাতীর শত্রু : এনএফএস

  • Update Time : ১২:০৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২
  • / 164

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খাদ্যে ভেজালকারীদের জাতীয় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি (এনএফএস)।

সোমবার ( ২৮ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘পবিত্র রমজান মাসে ভেজালমুক্ত খাদ্য চাই’ শিরোনামে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের বন্ধুরা এ দাবি করেন।

মানববন্ধেনে সংগঠনের বন্ধুরা বলেন, খাদ্যে ভেজাল জাতীয় সমস্য হিসেবে দেখতে হবে। যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তারা দেশ-জাতির শত্রু। নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। যারা খাদ্যে ভেজাল করে তারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে। দিন-দিন খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে বীরের জাতিকে রুগ্ম জাতিতে পরিণত করছে। ভেজাল খেয়ে নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে দেশের মানুষজন। পবিত্র রমজান মাস, সিয়াম সাধনার মাস। আমরা আশা করবো রমজান মাসে ব্যাবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল দেয়া থেকে বিরত থাকবে।

এসময় সংগঠনের সভাপতি গণবন্ধু রাহাত হুসাইন বলেন, ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত হোটেল রেস্টুরেন্ট বা নামিদামি ব্রান্ডের পণ্যও এখন ভেজালমুক্ত নয়। ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে দেশে হেপাটাইটিস, কিডনি, লিভার ও ফুসফুস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। ভেজাল প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে হবে। খাদ্যে ভেজালকারী ব্যক্তি- প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় শুত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। খাদ্যে ভেজালকারীদের কোনো প্রকার ছাড় না দিতে আমরা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করছি। ভেজালকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। ভেজালকারীদের মূলোৎপাটনে সরকারের পাশাপাশি জনগণ সাধারণকেও সচেতন হতে হবে। জনগণ যদি সচেতন হয় তাহলে আমাদের সমাজে কেউ খাদ্যে ভেজাল দিতে পারবে না। পবিত্র রমজান মাসে শিক্ষা নিয়ে ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল দেয়া থেকে বিরত থাকুক , এটাই আমাদের কাম্য।

সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তিকে ভেজালবিরোধী আন্দোলনে নামতে হবে। জনস্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা প্রদর্শনের কোনো অবকাশ নেই। বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা অনুয়াযী রমজান মাসে হাটে-ঘাটে-মাঠে ও বাজারে ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। খাদ্যে ভেজালকারী প্রতিষ্ঠানের শুধু জরিমানা করলে হবে না, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে খাদ্যে ভেজাল দেয়া এবং ভেজাল খাদ্য বিক্রির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা প্রয়োগ করার কোনো নজির নেই। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে এই আইনের প্রয়োগ করতে হবে। ভেজাল রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির (এনএফএস) সভাপতি রাহাত হুসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সহ সভাপতি পাভেল হাসান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক ভিস্তী, ইসমাইল হোসেন টিটু, কোষাধ্যক্ষ সাইফ আহমেদ সানি, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব আলম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক কাজী সাকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক খ.ম আল আমিনসহ অন্যরা।

Please Share This Post in Your Social Media

খাদ্যে ভেজালকারীরা জাতীর শত্রু : এনএফএস

Update Time : ১২:০৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খাদ্যে ভেজালকারীদের জাতীয় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি (এনএফএস)।

সোমবার ( ২৮ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘পবিত্র রমজান মাসে ভেজালমুক্ত খাদ্য চাই’ শিরোনামে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের বন্ধুরা এ দাবি করেন।

মানববন্ধেনে সংগঠনের বন্ধুরা বলেন, খাদ্যে ভেজাল জাতীয় সমস্য হিসেবে দেখতে হবে। যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তারা দেশ-জাতির শত্রু। নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। যারা খাদ্যে ভেজাল করে তারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে। দিন-দিন খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে বীরের জাতিকে রুগ্ম জাতিতে পরিণত করছে। ভেজাল খেয়ে নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে দেশের মানুষজন। পবিত্র রমজান মাস, সিয়াম সাধনার মাস। আমরা আশা করবো রমজান মাসে ব্যাবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল দেয়া থেকে বিরত থাকবে।

এসময় সংগঠনের সভাপতি গণবন্ধু রাহাত হুসাইন বলেন, ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত হোটেল রেস্টুরেন্ট বা নামিদামি ব্রান্ডের পণ্যও এখন ভেজালমুক্ত নয়। ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে দেশে হেপাটাইটিস, কিডনি, লিভার ও ফুসফুস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। ভেজাল প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে হবে। খাদ্যে ভেজালকারী ব্যক্তি- প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় শুত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। খাদ্যে ভেজালকারীদের কোনো প্রকার ছাড় না দিতে আমরা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করছি। ভেজালকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। ভেজালকারীদের মূলোৎপাটনে সরকারের পাশাপাশি জনগণ সাধারণকেও সচেতন হতে হবে। জনগণ যদি সচেতন হয় তাহলে আমাদের সমাজে কেউ খাদ্যে ভেজাল দিতে পারবে না। পবিত্র রমজান মাসে শিক্ষা নিয়ে ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল দেয়া থেকে বিরত থাকুক , এটাই আমাদের কাম্য।

সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তিকে ভেজালবিরোধী আন্দোলনে নামতে হবে। জনস্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা প্রদর্শনের কোনো অবকাশ নেই। বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা অনুয়াযী রমজান মাসে হাটে-ঘাটে-মাঠে ও বাজারে ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। খাদ্যে ভেজালকারী প্রতিষ্ঠানের শুধু জরিমানা করলে হবে না, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে খাদ্যে ভেজাল দেয়া এবং ভেজাল খাদ্য বিক্রির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা প্রয়োগ করার কোনো নজির নেই। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে এই আইনের প্রয়োগ করতে হবে। ভেজাল রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির (এনএফএস) সভাপতি রাহাত হুসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সহ সভাপতি পাভেল হাসান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক ভিস্তী, ইসমাইল হোসেন টিটু, কোষাধ্যক্ষ সাইফ আহমেদ সানি, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব আলম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক কাজী সাকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক খ.ম আল আমিনসহ অন্যরা।